Barak UpdatesHappeningsCultureBreaking News
১০ সামাজিক সংস্থার একযোগে ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন মেহেরপুরে
ওয়ে টু বরাক, ২৩ জুলাই ঃ মেহেরপুর অঞ্চলের দশটি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা যথাক্রমে সুকান্ত সরণি উন্নয়ন সমিতি, এপোলো ক্লাব, পূর্বাশা, আমার স্বজন, মধ্য-মেহেরপুর সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা, আশাকিরণ ডেভেলপমেন্ট কমিটি, জয় রাধে সেবা সমিতি, দুর্গাপল্লি উন্নয়ন সমিতি, আনন্দধারা ও নয়া গ্রুপ-এর সম্মিলিত প্রয়াসে সুকান্ত সরণিতে “২১-জুলাই মাতৃভাষা শহিদ দিবস” যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়।
ওইদিন সকাল ৮টায় সুকান্ত সরণির “ভাষা শহিদ বেদিতে” মাল্যদান, পুষ্পার্ঘ নিবেদন ও আমার স্বজনের শিল্পীদের সমবেত সংগীত, শিশু কিশোর কিশোরীদের আবৃত্তি এবং ২১-জুলাই ও বরাকের ভাষা শহিদদের আত্মবলিদান নিয়ে পুণ্যব্রত দাস, রাহুল দাশগুপ্ত, সাধন দাস ও রত্নজ্যোতি চক্রবর্তীর প্রাসঙ্গিক আলোচনার মাধ্যমে ভাষা শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এই শ্রদ্ধার্ঘ অনুষ্ঠানে সুকান্ত সরণি সহ মেহেরপুর অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যক্তি, সমাজকর্মী, শিল্পী যথাক্রমে রঞ্জিত কুমার দাস, কল্যাণকান্তি ধর, দিলীপ চন্দ, হিমাদ্রি দেব, বিমল দেবনাথ, গৌরী দাশগুপ্ত, সোমা আচার্য, সুভাষ দাস, আমিরলাল গোয়ালা, সুধারঞ্জন নাথ, ননী চক্রবর্তী, কিশোর রায়চৌধুরী, বিষ্ণু চক্রবর্তী, মানিক দাস, শিবানী শর্মা, শংকরী ভট্টাচার্য, পিয়ালী চক্রবর্তী,সন্তোষী বাসফর, শিল্পী ভৌমিক, নন্দা দাস, ললিতা রায়, সুলেখা দে, মনি রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যায় শহিদ বেদিতে প্রদীপ প্রজ্জলন ও “আমার স্বজন”-এর শিল্পীদের সমবেত সংগীত ও পুণ্যব্রত দাসের স্বাগত ভাষণের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বরাকের মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলন ও আজকের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে সারগর্ভ বক্তব্য রাখেন বরাকের বিশিষ্ট সমাজসেবী, ভাষা আন্দোলনের নেতা সাধন পুরকায়স্থ ও আসাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান দেবাশিস ভট্টাচার্য। এই অনুষ্ঠানে সমবেত কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, নৃত্য এবং গানে অংশগ্রহণ করেন অভয় ভট্টাচার্য, দীপশিখা চন্দ, স্নেহা বিশ্বাস, নেহা বিশ্বাস, প্রিয়াঙ্কা দেবনাথ, দিশা ভট্টাচার্য, নির্ঝর চক্রবর্তী, সুতপা পাল দাস, কেয়া দাস, মেঘা রায়, অদিতি দাস, শুভজ্যোতি চক্রবর্তী, মাম্পি চৌধুরী, গৌতম রায়, পুলক দেব সহ জয়রাধে সেবা সমিতির শিল্পীরা।
ভাষা শহিদ বরাক স্মরণে রচিত উপত্যকার শ্রদ্ধেয় কবিদের কবিতায় আমন্ত্রিত বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী মঞ্জুশ্রী দাস ও বিধান লস্কর নিজেদের সুরারোপে সৃষ্ট সংগীত পরিবেশন করেন। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন বিধান লস্কর, পরিমল দাস ও মিলন দাস। অনুষ্ঠান সমন্বয় ও ঘোষণায় ছিলেন রত্নজ্যোতি চক্রবর্ত্তী (যিশু) ও নিম্মি চক্রবর্ত্তী। সুকান্ত সরণি উন্নয়ন সমিতির সভাপতি সুভাষ দাসের ধন্যবাদসূচক ভাষণের মধ্য দিয়ে “২১-জুলাই ভাষা শহিদ” জগন্ময় দেব ( জগণ) ও দিব্যেন্দু দাস ( যিশু) স্মরণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।