Barak UpdatesHappeningsBreaking News
হাইলাকান্দিতে ক্রমে কমছে প্রসূতি ও শিশুমৃত্যুর হার
ওয়েটুবরাক, ৭ নভেম্বর : হাইলাকান্দি জেলায় প্রসবকালীন মায়ের মৃত্যুর হার ক্রমে কমে এসেছে। ২০২১-২২ সালে ১৮ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়, ২০২২-২৩ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ এবং চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ছয়জনের প্রসবকালীন মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি শিশুমৃত্যুর হারও কমে এসেছে। ২০২১-২২ এ যেখানে ২৩৫ টি শিশুর মৃত্যু হয় জেলায়, সেখানে ২০২২ -২৩ এ সংখ্যাটি দাঁড়ায় ১২৪ । চলতি এক অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৩০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
হাইলাকান্দিতে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন কমিটির নভেম্বর মাসের সভায় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এই তথ্য জানানো হয়৷ তাঁরা বলেন, জেলায় শনাক্ত করা ৩৫৩ জন যক্ষা রোগীর মধ্যে ১৪৬ জনকে সদাশয় ব্যক্তিরা দত্তক নিয়ে পুষ্টি খাবার বন্টন করছেন।
সভায় আরও জানানো হয়, এসপিরেশন্যাল ডিস্ট্রিক্ট প্রোগ্রামের আওতায় জেলার ৭০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভবন নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে।
জেলায় বিভিন্ন বিভাগের চলতি উন্নয়ন প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নে সমস্যা ও অগ্রগতি নিয়ে এ দিন পর্যালোচনা করা হয়। সভায় পৌরোহিত্য করেন জেলাশাসক নিসর্গ হিভারে৷ তিনি সবকটি উন্নয়নমুখী বিভাগকে চলতি শুষ্ক মৌসুমে তাদের প্রকল্প গুলোর বাস্তবায়নে গতি আনার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি জেলার রাজস্ব আদায়কারী বিভাগগুলিকে তাদের রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ বাড়াতেও জোর দেন। এছাড়া নির্দিষ্ট মেয়াদের ফ্লেগশিপ প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নেও গুরুত্ব আরোপ করেন।
ক্রীড়া বিভাগ থেকে জেলায় খেল মহারণ নামক যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলছে, এর অগ্রগতি জানানো হয়৷ তারা বলেন, গাঁও পঞ্চায়েত পর্যায়ে খেল মহারণ এগিয়ে চলেছে। আগামী ১৫ই নভেম্বর পর্যন্ত গাও পঞ্চায়েত পর্যায়ে এই প্রতিযোগিতা চলবে। ইতিমধ্যে কবাডি ও ভলিবল প্রতিযোগিতা শেষ হলেও ৮ নভেম্বর থেকে খোখো খেলা এবং ১০ নভেম্বর থেকে ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হবে। এই প্রতিযোগিতা পরিচালনার জন্য জেলার সব জিপিকে ১০হাজার টাকা করে অর্থ দেওয়া হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।
স্কিল ডেভেলপমেন্ট মিশন থেকে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত জেলার ২৫৯৭ জনকে দক্ষতা বিকাশের তিন মাসের প্রশিক্ষণ দিয়ে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। ভেটেরিনারি বিভাগের কল এটেন্ড করা জরুরি পরিষেবার দুটি অ্যাম্বুলেন্স গাড়ির টেলিফোন নম্বর ১৯৬২ এর ব্যাপক প্রচার করতে জেলা আয়ুক্ত বিভাগকে নির্দেশ দেন। সভায় পিএইচ ই বিভাগের জল জীবন মিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জলদূত হিসাবে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয় এ দিনের সভায়। এই জলদূতরা পানীয় জল ও স্বচ্ছতা সম্পর্কে প্রচার চালাবেন।