India & World UpdatesHappeningsBreaking News
সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে ৪১ কর্মীর মুক্তি উদযাপন, অনেকের চোখে আনন্দাশ্রু
ওয়েটুবরাক, ২৯ নভেম্বর : ১৭ দিন পর উত্তরকাশীর ভাঙা সুড়ঙ্গ থেকে ৪১ কর্মী বেরিয়ে এলেন। উৎকণ্ঠার শেষে কান্না-হাসি-আনন্দের মধ্যেই মুক্তি উদ্যাপন করলেন। যুদ্ধ জয়ের হাসি উদ্ধারকর্মীদের চোখেমুখে। কারও আনন্দাশ্রু।
১২ নভেম্বর উত্তরকাশী জেলার ব্রহ্মতাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে কাজ করছিলেন শ্রমিকদের একটি দল। সাড়ে আট মিটার উঁচু এবং প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ সেই সুড়ঙ্গে হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে ধস নামার আওয়াজ পান কর্মীরা। ধসে পড়ে সুড়ঙ্গের একাংশ। অন্ধকার সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়েন ৪১ জন কর্মী। আটকে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন আসামের দুই বাসিন্দাও৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় প্রশাসন। উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় বাহিনী। উদ্ধারকাজে হাত লাগান ইন্দো-টিবেটান পুলিশ এবং বর্ডার রোডওয়েজ়ের বাহিনীও। লড়াই শুরু হয় সুড়ঙ্গের দু’প্রান্তে। এক প্রান্তে কর্মীদের সুস্থ ভাবে উদ্ধার করার লড়াই। অন্য প্রান্তে অন্ধকার সুড়ঙ্গে বেঁচে থাকার লড়াই।
উদ্ধারকাজের প্রথম পর্যায়েই ধাক্কা খান উদ্ধারকারীরা। তিন দিনের মাথায় উত্তরকাশীর ভাঙা সুড়ঙ্গে পাইপ ঢোকাতে গিয়ে বিপত্তি বাধে। নতুন করে ধসও নামে। উদ্ধারকারী দলের দু’জন সদস্য জখম হন। থমকে যায় উদ্ধারকাজ। দিল্লি থেকে নতুন যন্ত্র এনে আবার উদ্ধারকাজ শুরু হয়।
তবে পাইপের মাধ্যমে আটকে থাকা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন উদ্ধারকারীরা। পাইপের মাধ্যমেই পৌঁছে দেওয়া হয় খাবার-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। তাদের কথা বলিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের সঙ্গেও। অক্সিজেন পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হয়।
এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়েই সোমবার থেকে টানা খননকাজ চালাতে থাকেন উদ্ধারকারীরা। সেই পদ্ধতিতেই সাফল্য এল। মঙ্গলবার সুড়ঙ্গ থেকে বাইরে বেরিয়ে এলেন ৪১ কর্মী। ১৭ দিনের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেলেন তাঁরা।