India & World UpdatesHappeningsBreaking News

শাস্ত্রীয় আচার মেনে রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা প্রধানমন্ত্রী মোদির

অযোধ্যা, ২২ জানুয়ারি : শাস্ত্রীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে  সোমবার ঐতিহাসিক রামমন্দিরের উদ্বোধন এবং রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সকাল ৯টার কিছুক্ষণ আগেই শুরু হয় প্রাণ প্রতিষ্ঠার বিশেষ কার্যক্রম। এরপর যথাসময়ে মন্দিরে এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি মন্দির উদ্বোধন ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। শাস্ত্রবিধি পালন করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষ পুরোহিত ও শাস্ত্রজ্ঞরা। তাঁদের উপস্থিতিতে দুপুর ১২টা ২৯ মিনিট নাগাদ প্রধানমন্ত্রী প্রাণ প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম শুরু করেন। তাঁর পাশে ছিলেন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও রাজপাল আনন্দীবেন প্যাটেল।

আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন দেশের সেরা তারকা অভিনেতা, ক্রীড়াবিদ ও শিল্পপতিরা। ছিলেন দেশের সকল প্রধান আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি সহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। ভগবান রামের জন্মস্থান অযোধ্যার বিশাল মন্দিরে অনুষ্ঠানের জন্য ৮০০০-এরও বেশি অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন  ক্রিকেটার শ্চীন তেন্ডুলকর, বলিউড শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন ও পুত্র অভিষেক বচ্চন, রজনীকান্ত, জ্যাকিশ্রফ, সঙ্গীত শিল্পী সোনু নিগম সহ বিশিষ্টরা।

এদিন গর্ভগৃহে প্রবেশ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি রামলালার মূর্তিকে প্রদক্ষিণ করে প্রাণ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন। প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় বৈদিক আচার মেনে মূর্তিকে শোধন করা হয়। এরপর বস্ত্রের অবগুন্ঠন খুলে প্রথমবার চক্ষু উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে মন্দির প্রাঙ্গণে আকাশ থেকে পুষ্প বৃষ্টি করা হয়। তবে এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি লালকৃষ্ণ আদবানি। তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি বলে দাবি করা হয়েছে।

প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর মন্দির চত্বরে ভাষণ দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত ও প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি ভাষণের শুরুতে বলেন, “নতুন ইতিহাসের সূচনা করল দেশ। বহু শতাব্দীর অপেক্ষার পর রাম আমাদের কাছে এলেন। রাম আর তাঁবুতে নয়, মন্দিরে থাকবেন। আজ ২২ জানুয়ারি নতুন কালচক্রের সূচনা হল। আমাদের ত্যাগ, তপস্যার খামতি ছিল। বহু শতাব্দী সময় লেগে গেছে। ভগবান রাম নিশ্চয় আমাদের ক্ষমা করবেন। এই রামমন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে বহু আইনি লড়াই চলেছে। ন্যায় বিচারের জন্য বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। শ্রীরামের আদর্শ, মূল্য, শিক্ষা সর্বত্র সমান। আজ বিজয়ের নয়, বিনয়ের দিন। রামমন্দির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতীক। গর্ভগৃহে ঐশ্বরিক চেতনার সাক্ষী হলাম।“

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker