NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
রাজদীপ রায়কে ক্ষমা চাইতে বলল কাগজ কল ইউনিয়নস
২৬ সেপ্টেম্বর: সাংসদ রাজদীপ রায়কে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে বলল জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি অফ রিকগনাইজড ইউনিয়নস, নগাঁও ও কাছাড় পেপার মিল৷ সভাপতি মানবেন্দ্র চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক আনন্দ বরদলৈ বলেন, গত কয়েক বছর থেকে বরাক-ব্রহ্মপুত্রের জনগণ দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে রাষ্ট্রের দুটি বৃহৎ শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর বরাক বনধ পালন করেন৷ লক্ষ লক্ষ মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে শিল্প দুটিকে বাঁচিয়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷ কিন্তু রাজদীপ রায় আন্দোলনে যুক্ত সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করার চক্রান্ত করছেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর সংসদে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে অতি নিকৃষ্ট ভাষায় আন্দোলনকারীদের দায়ী করার অপচেষ্টা করেছেন৷
তাঁরা বলেন, মোদি সরকার ২০১৫-র ২০ অক্টোবর যখন কাছাড় কাগজ কলে উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ দেয় তখন মিলে প্রায় ১০০ কোটি টাকার কাঁচামাল মজুদ ছিল, যা আজ ধ্বংসপ্রায়৷ নগাঁও কাগজ কল ২০১৭-র ১৩ মার্চ বন্ধ করা হয়৷ তার পরই চিন থেকে অত্যাধিক মূল্যে কাগজ আমদানি করা শুরু হয়, যা আজও অব্যাহত আছে।
তাঁদের কথায়, রাজদীপ রায় সাংসদ হওয়ার আগে ও পরে বারবার দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দেওয়ার দাবি করেছেন৷ এখন কাগজকল বাঁচানোর সংগ্রামে যুক্ত আপামর জনগণের মাথায় মিল ধ্বংসের দোষ চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছেন।
তাদের প্রশ্ন, কাগজ কলের নামে বিনিয়োগ করা ৪ হাজার ১৪১ কোটি টাকা কোথায় গেল? কারা নয়ছয় করল এই বিশাল পরিমাণের বিনিয়োগ ? সংসদে মঞ্জুর হওয়া শ্রমিক-কর্মচারীর বেতনের ৯০ কোটি টাকা আটকে রাখা হয়েছে কেন? ৭১ জন শ্রমিককে বিনা চিকিৎসায় অকালে মৃত্যুবরণ করতে বাধ্য করা হল কেন?
মানবেন্দ্রবাবু বলেন, কাগজ কল বন্ধ হওয়ার নেপথ্যে সম্ভাব্য কারণ জানিয়ে ভারত সরকার আজ অবধি হলফনামা বা জবাব জমা করেনি৷ রাজদীপ রায়কে তাঁর আহবান, আদালতে হলফনামা দাখিল করতে ভারত সরকারকে তিনি যেন রাজি করান৷