Barak UpdatesIndia & World UpdatesHappenings
যত ধর্ম হবে ততই মঙ্গল, বললেন উপাচার্য আত্মপ্রিয়ানন্দ মহারাজ
বিবেকানন্দ শিলা স্মারকের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভার্চুয়াল বক্তৃতা
২৯ সেপ্টেম্বর: বৈদিক ধর্ম যত দিন থাকবে পৃথিবী ততদিন বাঁচবে । বিবেকানন্দ শিলা স্মারকের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বরাক ও ত্রিপুরার নাগরিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ ভাবেই নিজের অভিমত তুলে ধরেন বিবেকানন্দ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য স্বামী আত্মপ্রিয়ানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, সমগ্র ধর্মের সৃষ্টি বৈদিক ধর্ম থেকে৷ তাই পৃথিবী রক্ষার জন্য সনাতন বা বৈদিক ধর্মকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। সব ধর্মকে রক্ষা করার দায়িত্ব বা ক্ষমতা যেমন বৈদিক ধর্মের, ঠিক তেমনি সব ধর্ম টিঁকে থাকার জন্য বৈদিক ধর্মকে টিঁকিয়ে রাখতে হবে ।
আত্মপ্রিয়ানন্দ মহারাজ বলেন, যত ধর্ম হবে ততই মঙ্গল৷ মানুষ নিজ নিজ ধর্মের অনুসারে চলবে৷ হিংসা বিদ্বেষ থাকবে না। তিনি ধর্মকে ব্যাখ্যা করেন নীতি, সততা, সৎ চিন্তা, শুভ বুদ্ধি হিসাবে৷
তিনি জানান, স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে যাওয়ার আগে পদব্রজে ভারত ভ্রমণ করে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তিন সাগরের মধ্যে শিলাতে তিনদিন ধ্যান করেছিলেন৷ স্বামীজীর জন্ম শতবর্ষে সেখানে গড়ে ওঠে বিবেকানন্দ শিলা স্মারক (রক মেমোরিয়াল)৷ সেখান থেকে বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে গিয়ে যে ভ্রাতৃত্বের বার্তা দিয়েছেন একে অবলম্বন করেই আজ গোটা বিশ্ব অগ্রগতির দিকে চলছে৷ পৃথিবী যতদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকবে, স্বামী বিবেকানন্দের চিন্তাধারা নিয়েই চলতে হবে । স্বামী আত্মপ্রিয়ানন্দজির তাঁর ভার্চুয়াল বক্তৃতার শেষদিকে বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ সে সময়ে ভগিনী নিবেদিতাকে পেয়েছিলেন, আর আজ আমরা আর এক ভগিনী নিবেদিতাকে পেলাম বলে তিনি বিবেকানন্দ কেন্দ্র কন্যাকুমারীর সহ-সভানেত্রী নিবেদিতা ভিড়ের কথা তুলে ধরেন ।
নিবেদিতা ভিড়ে বলেন, বিবেকানন্দ শিলা স্মারক গড়তে ৫০ বছর আগে কী কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছিল। একনাথ রানাডের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সমগ্র ভারতবাসীর সহযোগিতায় তা আজ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এই শিলাখণ্ডের উপরেই গৌরবময় ভারতবর্ষের একটি নতুন দিশা উন্মোচন হয়েছিল এবং ভারতের আধ্যাত্মবাদের দ্বারা তিনি সমগ্র বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিবেকানন্দ শিলা স্মারক প্রতিষ্ঠাতা একনাথ রানাডের উপর একটি তথ্যচিত্র তুলে ধরা হয়। মঙ্গলাচরণ (মন্ত্র পাঠ) দিয়েই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ করেন বরাক বিভাগের সম্পর্কপ্রমুখ কথামিতা ভট্টাচার্য। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বরাক বিভাগ প্রমুখ নিহারেন্দু ধর, সংগীত পরিবেশন করেন ত্রিপুরার ধর্মনগরের অসীম ভট্টাচার্য। সঞ্চালনা করেন বরাক বিভাগের প্রশিক্ষকপ্রমুখ প্রশান্ত চক্রবর্তী ।