Barak UpdatesBreaking News
মেডিক্যালে ধুন্ধুমার, ধর্মঘট, রোগীর ভোগান্তি
রোগীর মৃত্যু ঘিরে সোমবার রাতে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঠেলাধাক্কা, মারপিট, ভাঙচুর। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের মধ্যে আজ সকালে মেডিক্যাল পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্মঘট করেন। তাঁদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অন্যান্য চিকিতসকরাও বহির্বিভাগে যাননি। তাতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। পরে অধ্যক্ষা শিল্পীরানি বর্মন আন্দোলনকারীদের ডেকে কথা বলেন। শেষে আন্দোলন প্রত্যাহার হয়।
ঘটনার সূত্রপাত ফয়জুল হক নামে এক রোগীর মৃত্যু হলে। সোমবার সকালেই তাঁর পেসমেকার বসানো হয়েছিল। সন্ধ্যায় তিনি প্রাণ হারান। পরিজনদের বক্তব্য, চিকিতসার গাফিলতিতে ফয়জুল হকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে তীব্র বিতণ্ডার মধ্যে তাঁরা হৃদরোগ চিকিতসক আহমেদ হোসেন চৌধুরীকে শারীরিক নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ছাত্রাবাস থেকে দলে দলে জুনিয়র ডাক্তার, ছাত্ররা ছুটে আসেন। রিপন লস্কর নামে এক মৃতের এক আত্মীয়কে তাঁরা আটকে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রিপনকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। উভয় পক্ষে থানায় এফআইআর করা হয়েছে।
এ দিকে, আজ জুনিয়র ডাক্তাররা ২৪ ঘণ্টার নিরাপত্তার দাবিতো সোচ্চার হন। তাঁদের বক্তব্য, উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে ডাঃ আহমেদ হোসেনকে হেনস্তার মুখে পড়তে হতো না। তাঁরা গতকালের ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। সেইসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে সিসিটিভি বসানোরও অনুরোধ জানান। বৈঠকে জেলা প্রশাসনের পক্ষে ম্যাজিস্ট্রেট বাসবী ঠাকুরিয়া উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, উভয় তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ফলে পুলিশ তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মেডিক্যাল কলেজের গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু ঘটলে সামান্য উত্তেজনা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। যাদের আপনজন চিরতরে দুনিয়া থেকে বিদায় নেন, তাঁরা ওই মুহূর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করতেই পারে। ওইটুকুই ঘটেছিল কাল। আহমেদ হোসেনকে শারীরিক নিগ্রহের প্রশ্নই ওঠে না। কোনও ভাঙচুরও কেউ করেনি। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে জুনিয়র ডাক্তার ও মেডিক্যাল পড়ুয়ারা লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। তাতে তাদের বেশ কয়েকজন গুরুতর চোট পান। তাঁরা এই ঘটনার সুবিচার দাবি করেন।