Barak UpdatesHappeningsBreaking News

মেডিকেল কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়নে অধ্যক্ষকে বিডিএফের কড়া দাবিপত্র

১২ ফেব্রুয়ারি: শিলচর মেডিকেল কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিতে এবার সরব হল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। এদিন এই ইস্যুতে অধ্যক্ষের সাথে দেখা করে তাঁদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেন।

এই প্রসঙ্গে বিডিএফ-এর মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন, বরাক উপত্যকার এই একমাত্র মেডিক্যাল কলেজে এখন অব্দি কার্ডিওলজি, নিউরোলজি বা নেফ্রোলজির চিকিৎসা হয় না। এই উপত্যাকার চল্লিশ লক্ষ লোকের জন্য এ একই সঙ্গে দুর্ভাগ্য আর লজ্জার কথা। শুধু চিকিৎসা পরিকাঠামোর অভাবে এখানে প্রতিদিন অকালে ঝরে পড়ছে তাজা প্রাণ। যেখানে গুয়াহাটি এবং ডিব্রুগড় মেডিক্যাল কলেজে এইসব চিকিৎসা সেবা লভ্য, সেখানে শুধু দিসপুরের বৈষম্যমূলক আচরণের মাশুল দিতে হচ্ছে এই উপত্যকার জনগণকে।

অধ্যক্ষ বাবুল বেজবরুয়া বলেন, এই নিয়ে চতুর্থ বার ক্যাথল্যাবের টেন্ডার দেওয়া হয়েছে৷ যেসব কোম্পানি টেন্ডার দিচ্ছে, তাদের শর্তাবলীর সাথে রাজ্য সরকারের স্থিরীকৃত স্পেসিফিকেশন না মেলায় ব্যাপারটি আটকে আছে। তিনি এও বলেন, শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ডি এম , কার্ডিওলজি কোর্স চালু করার ব্যাপারে তিনি তদ্বির করছেন। কিন্তু ক্যাথল্যাব এর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় সব কিছুই ঝুলন্ত।

এছাড়া নিউরোলজি , নেফ্রোলজি ইত্যাদি বিভাগের ব্যাপারে ডাঃ বেজবরুয়া বলেন, এসএমসিএইচকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল স্তরে উন্নীত করার দাবি নিয়ে শিলচরের নাগরিক হারাণ দের একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তাঁর কাছে একটি প্রজেক্ট রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি রিপোর্ট পাঠান তিনি। কিন্তু এরপর কেউ তদ্বির না করার জন্য এই ব্যাপারটি আর এগোয়নি৷  এটি বাস্তবায়িত হলে এই উপত্যকা তথা পার্শ্ববর্তী রাজ্যের নাগরিকরা নেফ্রোলজি, নিউরোলজি সহ সব চিকিৎসার সুবিধা পেতেন।

হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা রোগীদের থেকে অনৈতিক ভাবে টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগ করেন বিডিএফ আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে। উত্তরে অধ্যক্ষ এই ব্যাপারে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছেন ও আরও নেবেন বলে আশ্বাস দেন।

পরে বাইরে এসে বিডিএফ আহ্বায়ক জহর তারণ, জয়দীপ ভট্টাচার্য, যুব শাখার আহ্বায়ক দেবরাজ দাশগুপ্ত, ইকবাল নাসিম চৌধুরী প্রমুখ শিলচর মেডিকেল কলেজের ব্যাপারে সরকারি উদাসীনতার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একবছর আগে অধ্যক্ষের তরফে পাঠানো প্রজেক্ট রিপোর্টের ব্যাপারে নির্বিকার কেন এখানকার জনপ্রতিনিধি তথা সরকার ? তারা বলেন, শিলচরের সাংসদ এই ব্যাপারে ওয়াকিবহাল ছিলেন। নিজে ডাক্তার হয়েও কেন তিনি এই ব্যাপারে কোনো ভূমিকা নিতে ব্যর্থ হলেন ? এখানকার জনগণের প্রতি তাঁর কি কোনো দায়বদ্ধতা নেই ? যতদিন এই হাসপাতালকে সুপার স্পেশালিটি স্তরে উন্নীত করা না হবে ততদিন তাদের আন্দোলন চলবে বলে বিডিএফ জানিয়ে দিয়েছে। এছাড়া ক্যাথল্যাবের ব্যাপারেও তারা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,  মধ্যের এইসব জটিলতা সরকার কী করে সমাধান করবে, সেটা তাদের  ব্যাপার। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ক্যাথল্যবের ব্যাপারে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলে এরপর আন্দোলনে উত্তাল হবে এই উপত্যকা ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker