Barak UpdatesHappeningsBreaking News

মিলেট বর্ষ উদযাপনে শিলচরে ওয়াকাথন-প্রদর্শনী

ওয়ে টু বরাক, ৬ অক্টোবর : রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের নির্দেশনা অনুসারে ২০২৩ বছর আন্তর্জাতিক মিলেট বছর হিসেবে পালন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে খাদ্য সুরক্ষা ও মানব কল্যাণের উদ্দেশ্যে এবং এরজন্য মিলেট শস্য ব্যবহারকে প্রসারিত করতে শুক্রবার শিলচর সার্কিট হাউস রোডের এক বিবাহ ভবনে দুদিনব্যাপী (৬ এবং ৭ অক্টোবর) “ইট রাইট মিলেট মেলা, শিলচর ২০২৩” শীর্ষক ওয়াকাথন অনুষ্ঠিত হয়।

রাজ্যের কমিশনারেট অব ফুড সেফটি কাছাড়ের জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় “ওয়াকাথন” (পথচলা)-এর পাশাপাশি কাছাড়ের অতিরিক্ত কমিশনার খালেদা সুলতানা আহমেদের পৌরোহিত্যে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এই সভায় অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার তথা স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক জোনালি দেবী, জেলা যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক আশুতোষ বর্মন, ফুড সেফটি বিভাগের বিভূতিভূষণ দাস, সমীরণ বরুয়া, অনিল শর্মা, কাছাড়ের জেলা কৃষি আধিকারিক ড. রফিক আহমেদ, কাটিগড়ার বিধায়কের প্রতিনিধি শামিম আহমেদ তালুকদার, সার্কল অফিসার মারিয়া তানিম এবং ড. দিব্যেন্দু শর্মা অংশ নেন।

এই অনুষ্ঠানে কাছাড়ের অতিরিক্ত কমিশনার খালেদা সুলতানা আহমেদ জানান, “ইট রাইট মিলেট মেলা” একটি নতুন ধারণা। জেলার বিভিন্ন আত্মসহায়ক গোষ্ঠী, কৃষিবিভাগ এবং বিভাগীয় বিভিন্ন মিলেটের উপর স্টলগুলি পরিদর্শন করে তিনি বলেন, মিলেটের উপকারিতা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ধারণা আরও দৃঢ় করে তোলা উচিত। তিনি এই অনুষ্ঠানে চিত্র প্রদর্শনীর উল্লেখ করে বলেন, এই চিত্রগুলিতে মিলেটের বিস্তারিত বিষয় জেনে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কীভাবে উপকারে আসতে পারে এর ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক স্তরে মিলেটকে মানুষ বিকল্প খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন, কারণ এর উপকারিতা রয়েছে এবং খাদ্যগুণ থাকায় বিভিন্ন রোগ থেকে নিষ্পত্তি পাওয়া যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে আমাদের অঞ্চলেও মিলেটের উৎপাদন শুরু করা হবে এবং এ ব্যাপারে জেলা কৃষি বিভাগ বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে। তিনি বলেন, আমাদের অঞ্চলের মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে নিতে পারলে বিভিন্ন ভয়ানক রোগ শোক থেকে নিষ্পত্তি পাওয়া যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক আশুতোষ বর্মন, সমীরণ বরুয়া, অনিল শর্মা প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী সঞ্জীব দাস। অনুষ্ঠানে তিনি সংগীত পরিবেশন করেন এবং শুরুতে উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন সমীরণ বরুয়া।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker