Barak UpdatesHappeningsCulture
মহর্ষি বিদ্যামন্দিরে লাচিত বরফুকনের জন্মজয়ন্তী পালন
ওয়ে টু বরাক, ২৪ নভেম্বর ঃ মধ্যযুগের শেষ পর্বে আসামকে মোগলের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করে আসামের মানুষের ধর্ম, কৃষ্টি, সংস্কৃতি প্রভৃতি বাঁচিয়ে ছিলেন লাচিত বরফুকন। লাচিত বরফুকন যদি না থাকতেন তাহলে আজকে আসামের ইতিহাস অন্যরকম হয়ে যেত। লাচিত বরফুকনের ৪০০ তম জন্মজয়ন্তী পালন উপলক্ষে এই অভিমত ব্যক্ত করেন মহর্ষি বিদ্যামন্দিরের অধ্যক্ষা সমিতা দত্ত।
স্কুল চত্বরে এ দিন প্রথমে প্রদীপ প্রজ্বলন ও বীর লাচিত বরফুকনের প্রতিকৃতিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়। উল্লেখ্য, এই প্রতিকৃতিটি অঙ্কন করেন বিদ্যালয়ের চিত্রকলার শিক্ষক প্রদ্যুৎ দে। আসামের রাজ্য সঙ্গীত ‘ও মোর আপনার দেশ’ পরিবেশন করেন স্কুলের শিক্ষিকা সুজাতা দত্তগুপ্ত। শরাইঘাটের যুদ্ধক্ষেত্রে কর্তব্যে অবহেলার জন্য ‘নিজের দেশ থেকে মামা বড় নয়’ বলে লাচিত বরফুকন নিজের মামার শিরচ্ছেদ করেছিলেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কস্তুরি পাল তাঁর বক্তব্যে লাচিত বরফুকনের এই ঘটনাটি উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন বিদ্যালয়ের ছাত্রী মেঘা কানু ও মৃণালিকা দেবনাথ। দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক অর্ঘরাজ ভট্টাচার্য ও ছাত্র ঋষভ গুপ্ত। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বর্ণালী পুরকায়স্থ শরাইঘাটের যুদ্ধের ইতিহাস মাইকের মাধ্যমে মর্ণিং অ্যাসেম্বলিতে সকল ছাত্রছাত্রীকে শোনান। সবশেষে বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা সমবেত দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
বিদ্যালয়ে এ দিন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে লাচিত বরফুকনের ওপর রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সমস্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শতাক্ষী ভট্টাচার্য ও দশম শ্রেণির ছাত্রী অনুষ্কা গুপ্ত। এই অনুষ্ঠানকে সফল করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্কুলের শিক্ষিকা পারমিতা দাস চৌধুরী ও সুস্মিতা সেন। তাছাড়াও লাইট ও সাউন্ড সিস্টেমে ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্জুলাল দাস ও সুমিত কুমার দেওয়ানজি।