Barak UpdatesHappeningsBreaking News

ব্রহ্মাকুমারী : জেউতি কলিতার বিরুদ্ধে গুচ্ছ অভিযোগ আনলেন রিপন-রামানুজ

ওয়েটুবরাক, ১৮ ফেব্রুয়ারি : ব্রহ্মাকুমারী শিলচর চান্দমারি সেন্টারের পরিচালিকা জেউতি কলিতার বিরুদ্ধে উত্থাপিত কিছু অভিযোগকে ঘিরে ক্রমেই সরগরম হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। চলতি মাসের গোড়ার দিকে এক ওয়েব পোর্টালে শিলচরের এক সংবাদকর্মী ও বিমা অধিকর্তার বিরুদ্ধে জেউতি কলিতাকে অবৈধ লেনদেনে সহায়তার অভিযোগ উঠেছিল। কয়েকদিন নীরব থাকার পর অবশেষে সর্বসমক্ষে এসেছেন অভিযুক্ত সেই সংবাদকর্মী ও বিমা অধিকর্তা। তাঁরা জেউতি কলিতাকে অবৈধ লেনদেনে মদতের অভিযোগ খণ্ডন করেছেন। সেই সঙ্গে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে এমন সব তথ্য তুলে ধরেছেন, যা জেউতি কলিতার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগকে আরও পোক্ত করছে।
রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ব্রহ্মাকুমারী শিলচর চান্দমারি সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত সংবাদকর্মী রিপন নাথ ও বিমা অধিকর্তা রামানুজ ভট্টাচার্য জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সর্বপ্রথম শিলচরের একটি সংবাদ পোর্টালে চান্দমারি সেন্টারের পরিচালিকা জেউতি কলিতা সহ সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনকে জড়িয়ে একটি সংবাদ পরিবেশন করা হয়। এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি বদরপুরের এবং ১১ ফেব্রুয়ারি শিলচরের একটি ওয়েবপোর্টালে ব্রহ্মাকুমারী, চান্দমারি সেন্টার নিয়ে একই সংবাদ প্রকাশিত হয়। যেখানে ওই সেন্টারের পরিচালিকা জেউতি কলিতাকে জড়িয়ে কিছু অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি তারাপুর এলাকার একজন বিমা অধিকর্তা এবং একজন সংবাদকর্মীর প্রসঙ্গ এসেছে। যদিও প্রকাশিত তিনটি সংবাদেই একমাত্র জেউতি কলিতা ছাড়া অন্য কারোর নাম উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু বাস্তব হচ্ছে, ব্রহ্মাকুমারী চান্দমারি সেন্টারের সঙ্গে জড়িত একমাত্র বিমা অধিকর্তা হচ্ছেন রামানুজ ভট্টাচার্য। অপর দিকে, এই সেন্টারের সদস্য রিপন নাথ হলেন একমাত্র ব্যক্তি, যিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত। তবে তাঁকে সংবাদকর্মী বলা হলেও মূলত তিনি একটি কাগজের প্রকাশক।
রামানুজ ভট্টাচার্য জানান, তিনি ২০২১ এবং রিপন নাথ ২০১৭ সাল থেকে ব্রহ্মাকুমারী শিলচর চান্দমারি সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত। ফলে প্রকাশিত সংবাদে কারোর নামোল্লেখ না থাকলেও নিশানায় যে তাঁরা দু’জনই, এটা জলের মত পরিস্কার। তিনি আরও বলেন, সংবাদে জেউতি কলিতার দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাওয়া সংস্থা-বিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কে বলা হয়েছে। আর পরোক্ষে তাদের দুজনকে তুলে ধরা হয়েছে জেউতি কলিতার মদতদাতা হিসেবে। যা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।
রামানুজবাবুর কথার সূত্র ধরে রিপন নাথ বলেন, পুরো বিষয়টি পরিষ্কার করে বলতে গেলে জেউতি কলিতার গত কুড়ি বছরের কর্মকালের প্রসঙ্গটাকে টানতে হবে। কারণ, এই কুড়ি বছরে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। অসংখ্য বার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই সবকিছু ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। উল্টে, প্রতিবাদকারী ‘ভাইবোনকে’ সেন্টার থেকে বিতাড়ন করেছেন জেউতি কলিতা। অথচ কান পাতলে শোনা যায়, তিনি উপত্যকাবাসীর সরলতার সুযোগ নিয়েছেন বার বার। আরও একটি ঘটনা হচ্ছে, মাস দুয়েক আগে শিলচর শহরের বিভিন্ন স্থানে জেউতি কলিতার বিরুদ্ধে দু’টি বেনামী লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। লিফলেটগুলি দক্ষ হাতের লেখা। ধারণা করা হচ্ছে, গত কুড়ি বছর ধরে জেউতি কলিতার কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে তাঁর রোষের বলি হওয়া কোনও ভাইবোন হতাশার বশবর্তী হয়ে প্রতিবাদের কোনও রাস্তা না পেয়ে লিফলেটগুলো লিখে বিলি করেছেন।
যদিও এভাবে বেনামী লিফলেট বিলি করা নীতিবিরুদ্ধ, বলেন রিপন। তিনি উল্লেখ করেন, পোর্টালে যে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে সেটা মূলত লিফলেটে বর্ণিত জেউতি কলিতার সংস্থা-বিরোধী কার্যকলাপের বিবরণ। লিফলেটে বলা হয়েছে, জেউতি কলিতা বিনা রসিদে অর্থ আদায় করেন। এটা ঠিক, সংস্থার ভাইবোন ছাড়াও সংস্থার বাইরের লোক, যারা কোনও ভাবেই ব্রহ্মাকুমারীর সঙ্গে যুক্ত নন, তাদের কাছ থেকেও গত কুড়ি বছর ধরে বিনা রসিদে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেছেন জেউতি কলিতা । এমনকি  রিপন নাথ নিজে ২০১৭-তে হাইলাকান্দি সেন্টারে একটা বড় অঙ্কের অর্থের সহায়তা করেন এবং ২০১৯-এ তার থেকেও বড় অঙ্কের অর্থ শিলচর সেন্টারে সহায়তা করেন। অর্থ বছরের শেষে যখন আয়কর জমা করার জন্য আয়কর ছাড়ের নির্দিষ্ট সার্টিফিকেট চান, তখন তাঁকে জেউতি কলিতা বলেন, এটা তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা করে দিয়েছেন। তাই আয়কর ছাড়ের সার্টিফিকেট দিতে পারবেন না। তিনি যে বেআইনি ভাবে ব্যক্তিগত অ্যকাউন্টে ভাইবোনের টাকা জমা নেন এটা তার জলজ্যান্ত উদাহরণ বলে রিপণ অভিযোগ করেন। তাঁর কথায়, “আমি এবার এই বিষয়টি নিয়ে আদালতের কড়া নাড়ব। আমারটা না হয় হতে পারে অল্প টাকা, কিন্তু এই শিলচর চাঁদমারি সেন্টারে অনেক ভাইবোন আছেন, যাদের এক-একজন দশ লক্ষাধিক টাকা দিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রেও যদি এরকম ঘটে থাকে, তাহলে তো এসবের প্রতিবাদ করা উচিত।”
রিপন নাথ বলেন, ব্রহ্মাকুমারী চান্দমারি সেন্টারের বাড়িটি যিনি দান করেছেন সেই কণিকা শর্মার বয়স আজ ৮০ বছরেরও অধিক। স্বামীহারা সহজ সরল নিঃসন্তান এই ধর্মপ্রাণ মহিলা বলতে গেলে চলাফেরা করতে পারেন না। কথা ছিল, তিনি আমৃত্যু সেন্টারের নিচের তলার এক অংশে বাস করবেন। কিন্তু এই মহিলাকে ফুঁসলিয়ে, ধর্মের জিগির তুলে ছয় মাস আগে সেন্টার থেকে বের করে দিয়েছেন এই জেউতি কলিতা।
রিপন আরও বলেন, চাঁদা তুলে সেন্টারের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করা হয়। অথচ সংস্থার সদস্য ছাড়া কারও কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করার নিয়ম নেই। সংস্থার সংবিধানে বারণ করা আছে যে, যারা ব্রহ্মাকুমারীর সঙ্গে যুক্ত নন, তাদের কাছ থেকে কোনও অর্থ আদায় করা যাবে না। অথচ চলতি মাসে অনুষ্ঠিতব্য সিলভার জুবিলিকে উপলক্ষ করে চাঁদা সংগ্রহ চলেছে ছয় মাস আগে থেকেই। সংস্থার বরিষ্ঠ এক ভাইকে সঙ্গে নিয়ে জেউতি কলিতা সংস্থা বহির্ভূত অনেক লোকের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেছেন বলে কানাঘোসা চলছে। রিপনের দাবি, “আমরা কিন্তু তাঁকে চাঁদা আদায়ে মোটেই সঙ্গ দিইনি। এমনকি আমরা এই সিলভার জুবিলি অনুষ্ঠানের পক্ষে বা বিপক্ষে নই। কারণ আমরা জানি, এই সিলভার জুবিলি অনুষ্ঠান শিলচরের ভাইবোন তথা শিলচরের মানুষের কোনও উপকারে আসবে না।”
গুয়াহাটি আঞ্চলিক সেন্টারের গুডবুকেও এই জেউতি কলিতার নাম নেই। তাই এটা পরিষ্কার যে, নিজের হৃত-গৌরব ফেরাতেই গরিব ভাইবোনদের উপর চাপ সৃষ্টি করে এই সিলভার জুবিলি অনুষ্ঠানের আয়োজন।
লিফলেটে বর্ণিত বয়ানের সূত্র ধরে রিপন নাথ আরও বলেন, হাইলাকান্দি সেন্টারে কয়েক মাস আগে একটা প্রিন্টার কেনার জন্য ৮ হাজার টাকার প্রয়োজন ছিল। হাইলাকান্দি সেন্টারের সব ভাইবোনদের তিনি ফরমান জারি করলেন, প্রিন্টারের জন্য টাকা দিতে হবে। সবাই মিলে দিলেন ৮ হাজার টাকা। তারপর এই একই প্রিন্টার বাবদ হাইলাকান্দির এক মহিলার কাছ থেকেও নিলেন আরও ৮ হাজার টাকা। এখানেই শেষ নয়। শেষে পাকড়াও করলেন রাজনৈতিক নেতা গৌতম গুপ্তকে। এই একই প্রিন্টারের জন্য সেই গৌতমবাবুর কাছ থেকে আদায় করলেন আরও ১১ হাজার টাকা। রিপনের মন্তব্য, “আমরা গৌতমবাবুর কাছে খবর নিয়ে দেখলাম বিষয়টি সম্পূর্ণ সত্য৷ লিফলেটে বর্ণিত অনেক বিষয়কেই সত্যি বলে মেনে নিতে আমরা বাধ্য। কেননা, আমাদের ঈশ্বরীয় সেবার অর্থে উনি দুবাই-লন্ডন ভ্রমণ করেছেন। এমনকি গোটা ভারতবর্ষ ভ্রমণ করেছেন। এসব কথা তো সেন্টারে আসা সব ভাইবোনদের জানা। ঈশ্বরীয় সেবার অর্থে নিজের আরাম-আয়েশের জন্য ১২ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের একটি বিলাসী গাড়িও কিনেছেন অতি সম্প্রতি। যে বিলাসী গাড়িটি শুধু বিভিন্ন গীতা পাঠশালার ভাণ্ডারির অর্থ সংগ্রহ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। ঈশ্বরীয় সেবার জন্য আমরা সেন্টারে অর্থ প্রদান করি। তিনি এসব অর্থ ব্যয় করে নিজের বোন, ভাই, ভাইপোকে সেন্টারে এনে দীর্ঘদিন লালন পালন করেন। এসব বিষয়ও লুকানো নয়।”

রামানুজ ভট্টাচার্য উষ্মার সুরে বলেন, জেউতি কলিতার বিরুদ্ধে যখনই দুর্নীতি নিয়ে আওয়াজ উঠেছে তখনই তিনি উদাহরণ টেনে আনেন ব্রহ্মাকুমারীর প্রতিষ্ঠাতা লেখরাজ কৃপালণির প্রসঙ্গ। বলেন, লেখরাজ কৃপালণির সঙ্গেও মানুষের ক্লেশ হয়েছিল। কিন্তু লেখরাজ কৃপালণির কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। কোথায় জেউতি কলিতার দু’হাত ভরে অর্থ আদায় আর কোথায় লেখরাজ কৃপালণির নারী সশক্তিকরণের লড়াই ! লেখরাজ নিজের সমস্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ব্রহ্মাকুমারী সংস্থার যজ্ঞে আহুতি দিয়েছেন আর জেউতি কলিতা দুহাত দিয়ে খামছে অর্থ আদায় করে চলেছেন। কার সঙ্গে কার তুলনা ! তাঁর ছোট বোন নীলিমা কলিতাকে বরাক উপত্যকার অনেক গীতা পাঠশালা সামলাবার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যেমন হাইলাকান্দির লালা সেন্টারের দায়িত্ব কয়েক মাস পালন করার পর সেখানের ভাইবোনের সঙ্গে আর্থিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে লালা ছেড়ে চলে আসেন লক্ষ্মীপুর সেন্টারে। সেখানের ভাইবোনের সঙ্গেও একই কারণে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে সেখান থেকে চলে যান গুয়াহাটি আঞ্চলিক সেন্টারে। সেখানে বেশিদিন টিকতে পারেননি। চলে আসেন হাইলাকান্দি সেন্টারে। কয়েক মাস পর সেখানেও একই পরিস্থিতির উদ্ভব হলে সেখান থেকেও বিতাড়িত। আজ হাইলাকান্দি সেন্টার বলতে গেলে বন্ধ।  রামানুজ জানান, হাইলাকান্দি সেন্টারের অধিকাংশ ভাইবোন মিলে মাস খানেক আগে গুয়াহাটি রূপনগরের আঞ্চলিক সেন্টারে জেউতি কলিতা এবং নীলিমা কলিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন। অভিযোগ পত্রে এই দুই বোনের কবল থেকে মুক্তি চেয়েছেন। এর আগেও অনেকবার হাইলাকান্দি সেন্টার থেকে অভিযোগ পত্র পাঠানো হয়েছিল কিন্তু গুয়াহাটি আঞ্চলিক সেন্টার সেসবের কোনও গুরুত্ব দেয়নি।
উল্লেখ্য , ২০২০ সালে শিলচরের প্রায় দেড় শতাধিক ভাইবোন মিলে এই জেউতি কলিতার থেকে মুক্তি পেতে গুয়াহাটি আঞ্চলিক সেন্টারে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছিলেন কিন্ত কোনও অদৃশ্য অঙ্গুলি হেলনে জেউতি কলিতার বিরুদ্ধে ওঠা এইসব অভিযোগের কোনও সঠিক বিচার পাওয়া যায়নি৷ উল্টে শিলচর সেন্টারকে দুই ভাগে বিভক্ত করে দেওয়া হল। ২০২০ সালে পার্থ সাহা, পিয়ালি সাহা, শচীন দাস, সুমন্ত্র পাল, সুব্রত নন্দী সহ প্রায় দেড় শতাধিক ভাইবোন দস্তুরমত যুদ্ধ করে এই জেউতি কলিতার বিরুদ্ধে হার মেনে আজ বলতে গেলে ঘরে বসে রয়েছেন। এই দেড়শো ভাইবোন দোষী আর জেউতি কলিতা নির্দোষ এটা কি করে মেনে নেওয়া যায় !

কয়েক মাস আগের এক রাতের ঘটনার উল্লেখ করে রিপন-রামানুজ একযোগে জানান, এক জুয়েলারি দোকানের কর্মচারী রাত দশটায়  চান্দমারি সেন্টারে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করলে পাড়ার প্রায় শখানেক লোক জমায়েত হয়ে যায়। শেষে যে ছেলেটি এসে রাতেরবেলা চিৎকার চেঁচামেচি করে গেল, তার আত্মীয় স্বজনরা গেয়ে বেড়াচ্ছেন যে, জেউতি কলিতা নাকি ঈশ্বরীয় সেবার নাম করে ওই ছেলেটির দু’লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা এবং কয়েক ভরি সোনাদানা হাতিয়ে নিয়ে নিঃস্ব করে এখন আর তাকে সেন্টারে ঢুকতে দেন না। কিন্তু, ছেলেটা কিছুদিন পর পর এসে সেন্টারে প্রবেশের চেষ্টা করে। অথচ তাঁরা কয়েকজন থানায় এজাহার দেবার কথা বললে, জেউতি রহস্যজনক কারণে  তা এড়িয়ে যান।

রিপন-রামানুজ শোনান, “আমরা জেউতি কলিতার অর্থ সংগ্রহে সঙ্গ দিইনি বা মদতও করিনি। ঢাকঢোল পিটিয়ে রৌপ্যজয়ন্তী পালন করলেই প্রমাণ হয় না যে, ব্রহ্মাকুমারী সংস্থার বিস্তার হচ্ছে৷ কারণ শিলচর সেন্টার দিন দিন খালি হচ্ছে, এবং এটাই সত্য। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ, যেহেতু অধিকাংশ ভাইবোন জেউতি কলিতার প্রতি বিরাগভাজন হয়ে ব্রহ্মাকুমারীর উৎকৃষ্ট জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হয়ে আজ ঘরে বসে রয়েছেন সেই হেতু তাঁকে শিলচর থেকে সরিয়ে অন্য কোনও বোনকে এখানে দেবার ব্যবস্থা করলে শিলচরে ব্রহ্মাকুমারীর বিস্তারের যে সেবামূলক কাজ দীর্ঘদিন থেকে থেমে রয়েছে তা গতিপ্রাপ্ত হবে।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker