Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বিহাড়ার রেল ট্র্যাক ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক ছাঁটাই, মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিবাদী সভা
ওয়েটুবরাক, ২৪ মে : অন্যায়ভাবে কাছাড় জেলার বিহাড়াতে থাকা রেলট্র্যাক কংক্রিট প্রোডাক্টস্ প্রাইভেট লিমিটেডের শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন বুধবার বিহাড়া সংলগ্ন বাবুরবাজারে এক জনসভা করে৷ সুব্রত সুত্রধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভার শুরুতে উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন ফরিদ আহমেদ।
সভায় বিভিন্ন বক্তা তাঁদের বক্তব্যে কোম্পানির শ্রমিক বিরোধী আচরণের নিন্দা জানান।এবং অবিলম্বে শ্রমিকদের বিনাশর্তে কাজে পুন:নিয়োগের দাবি উত্থাপন করেন।
উল্লেখ্য ,রেলট্র্যাক কংক্রিট প্রোডাক্টস্ প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রকের ও প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের (পিএমও) তদারকিতে কাছাড়ের বিহাড়া ফ্যাক্টরিতে রেলওয়ে স্লিপার উৎপাদন করে বাংলাদেশ ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন প্রকল্পে সরবরাহ করে। কোম্পানিতে কর্মরত শ্রমিকদের ম্যানেজমেন্টের কর্মীদের দ্বারা শোষন ও দমনের শিকার হতে হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে তাঁরা ম্যানেজমেন্ট, ইউনিয়ন ও সরকারী প্রতিনিধি হিসাবে অ্যাসিস্টেন্ট লেবার কমিশনার বর্ণালী চেঙকাকতির মধ্যস্থতায় ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেন। কিন্তু কোম্পানি ম্যানেজমেন্ট সেই চুক্তিও অমান্য করে৷ শ্রমিকরা চুক্তি সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী করার দাবিতে অনেক বার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে এবং অ্যাসিস্টেন্ট লেবার কমিশনারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চাপ সৃষ্টি করে৷ গত ১৭ মে আলোচনার জন্য কাছাড়ের এসপি অফিসে ডেকে নিয়ে ম্যানেজমেন্ট ৫জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের চিঠি ধরিয়ে দেয়৷ পরের দিন স্থানীয় ৯১ জন শ্রমিককে কাজে আসতে বারণ করে৷ এ ভাবে স্থানীয় শ্রমিকদের বঞ্চিত করে বাইরে থেকে নিয়ে আসা সস্তা শ্রমিকদের দিয়ে ফ্যাক্টরির কাজ অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে৷
তাঁদের কথায়, বর্তমানে কাজ না পেয়ে শ্রমিক পরিবারগুলির অবস্থা করুণ এবং বরাক উপত্যকায় যেখানে নুতন কোনও শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে না, সেখানে স্থানীয় শ্রমিকরা বঞ্চিত হলে এর সরাসরি প্রভাব পরবে স্থানীয় অর্থনীতির উপর৷
ইউনিয়ন নেতারা জানান, সভায় উপস্থিত স্থানীয় প্রতিনিধিরা টেলিফোন যোগে অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনার বর্ণালী চেঙকাকতির কাছে এই অন্যায়ের সুরাহা চাইলে তিনি কোনও উত্তর দিতে পারেননি। পরে সভায় উপস্থিত জনতা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং বিহাড়াবাসীর স্বপ্ন এই রেল ট্র্যাক ফ্যাক্টরি বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তোলার পক্ষে মত ব্যক্ত করেন।
এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন সুব্রত সুত্রধর, মৃণাল কান্তি সোম , মুসলিম উদ্দিন বরভূঁইয়া, অরিন্দম দেব, তরুণ বাবু সিংহ, ফারুক লস্কর, নূমান আহমেদ, শান্তনু দাস, ইউসুফ আলী তালুকদার, মানস দাস, ইস্তাক আহমেদ, বলরাম বিশ্বাস, নজমুল হক বড়ভূঁইয়া, রাখি দাস, বিশ্বজিত দাশ, কমলজিত তেলী, বিষ্ণু সাঁওতাল, নজরুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ নাথ প্রমুখ।