Barak UpdatesHappeningsBreaking News
প্রিপেইড স্মার্ট মিটার ইস্যুতে শনিবার শিলচরে মানব বন্ধন
ওয়েটুবরাক, ৩০ জুনঃ প্রেপেইড স্মার্ট মিটার চালুর প্রতিবাদে আগামী শনিবার শিলচরে মানব বন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেছে অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাছাড় জেলা কো-অর্ডিনেশন কমিটি। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে কমিটির উপদেষ্টা, প্রাক্তন বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভুইয়া জানান, বিকাল চারটায় গোলদীঘি মলের সামনে এই মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।
মন্মথ নাথ জানান, প্রিপেইড মিটার চালু করে সরকার জটিলতা বাড়াতে চায় ৷ মূল লক্ষ্য, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রকে বেসরকারি করা৷ এই গভীর চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷
সাধন পুরকায়স্থ বর্তমান সরকারকে এক হাত নিয়ে বলেন, “এই সরকার সব সময় আমাদের সমস্যায় ফেলে রাখতে চায়৷ তুঘলকী রাজত্ব চলছে৷”
এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হিল্লোল ভট্টাচার্য, কিশোর ভট্টাচার্য, অতনু ভট্টাচার্য, হায়দর হোসেন, অরিন্দম দেব, মৃণালকান্তি সোম, বনানী রায়চৌধুরী, সঞ্জীব রায়, অসীম নাথ, মলয় পাল, অঞ্জন চন্দ, ডা. শান্তিকুমার সিং, ড. নিরঞ্জন দত্ত প্রমুখ৷
তাঁরা বিদ্যুৎ (উপভোক্তা অধিকার) আইন-২০২০ সংশোধন করে ‘টাইম অফ ডে’ ( টি ও ডি) নীতি প্রণয়ন করে দিনের ও রাতের বিদ্যুৎ মাশুল আলাদা করার যে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে এর তীব্ৰ বিরোধিতা করেন ৷ বলেন, এই ‘টি ও ডি’ নীতি বিদ্যুতের মাশুল দিনের বেলায় ১০-২০ শতাংশ হ্ৰাস করলেও রাতে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করবে। সাধারণ মানুষের বিদ্যুতের প্ৰয়োজন রাতেই বেশি। সারা দিনের পরিশ্রম শেষে মানুষ সন্ধ্যার পর ঘরে ফিরে আলো, পাখা, টিভি ইত্যাদির প্রয়োজনে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের পড়াশোনার জন্য রাতেই বিদ্যুতের প্রয়োজন বেশি পড়ে। ফলে মানুষের বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্ৰয়োজনীয় সময়ে ২০ শতাংশ বেশি মাশুল দিতে হবে। সাধারণ মানুষকে লুন্ঠন করা এবং কর্পোরেটদের রেহাই দিতে এই নীতি প্ৰবৰ্তন করা হচ্ছে। সরকারের এই নীতি সাধারণ মানুষকে যেমন বিপদে ফেলবে, তেমনি ক্ষুদ্ৰ উদ্যোগ যেখানে দিনে – রাতে দুটো সিফটে কাজ চলে তারা রাতের সিফট বন্ধ করতে বাধ্য হবে। এতে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে।
তাঁদের কথায়, প্ৰিপেইড স্মাৰ্ট মিটার প্রতিস্থাপনের পর এই নীতি কার্যকর হলে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সরকারি ভৰ্তুকি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ মাশুল নির্ধারণের ক্ষেত্ৰে নিয়ন্ত্ৰন পদ্ধতির (রেগুলেটারি মেকানিজম) ভূমিকাও প্ৰায় শেষ হয়ে যাবে এবং গ্ৰাহকদের খোলা বাজারে ছেড়ে দেওয়া হবে। এর ফলে ঘন ঘন মাশুল বৃদ্ধি পাবে এবং বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের মুনাফার পাহাড় জমবে। তাই গ্ৰাহক স্বাৰ্থ বিরোধী এই ‘টি ও ডি’ নীতি প্রত্যাহারেরও জোরালো দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি বিদ্যুৎ গ্ৰাহকদের উপর নেমে আসা একের পর এক আক্ৰমণের বিরুদ্ধে তীব্র গ্ৰাহক আন্দোলন গড়ে তুলতে জনসাধারণের প্ৰতি আহ্বান জানান।