Barak UpdatesHappeningsBreaking News
পুরোহিতদের আগেই কোভিড টেস্ট করান, দুদিন আগে বিপদে ফেলবেন না, আর্জি অসমঞ্জ-তমালের
৪ অক্টোবর: অম্বিকাপুর পূর্বপাড়া ও হাসপাতাল রোড দুর্গাপূজা কমিটি এই শহরের অন্যতম প্রাচীন বারোয়ারি পুজো। গত বছরই এরা পার করে এসেছে গৌরবের শতবর্ষ। কিন্তু ১০১ বছরে পা রাখার মুহূর্তে বড় কঠিন সমস্যা। গোটা বিশ্ব কোভিড ১৯ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে।এই লড়াই কোথায় গিয়ে থামবে, কেউ জানেন না। দীর্ঘদিন দেশ লকডাউনের কবলে। যার ফলে অর্থনৈতিক চাকাও স্তব্ধ হয়ে পড়ে। সমাজের প্রতিটি বর্গের মানুষ এখন কোভিডের সঙ্গে জীবন-জীবিকার লড়াইয়েও শামিল।
এদিকে, সঙ্কটকালে আনলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কেন্দ্র সরকার চেষ্টায় রয়েছে সবকিছুকে স্রোতে ফেরানোর। এ অবস্থায় অম্বিকাপট্টি অঞ্চলের মানুষের আশা ছিল, দুর্গাপুজার সময় হয়তো কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হবে। কিন্তু প্রশাসনের জারি করা পুজো সংক্রান্ত বিধিনিষেধ অনেককে হতাশ করেছে।এ মর্মে পুজো কমিটিগুলিও পড়েছে শংকায়। মৃৎশিল্পীরা নিজেরাই এসওপি সংক্রান্ত তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন।বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনও এসওপি-টি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে কাছাড় জেলা প্রশাসনকে।
অম্বিকাপুর পূর্বপাড়া ও হাসপাতাল রোড দুর্গাপূজা কমিটির সভাপতি অসমঞ্জ বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক তমালকান্তি বণিক এক প্রেসবার্তায় বলেন, পূজার পুরোহিত ও তাঁর সহকর্মীরা করোনা নেগেটিভ কিনা, তার রিপোর্ট অন্তত পুজোর পাঁচ দিন আগে নির্ধারণ হওয়া উচিত। কারণ এক-দুই দিন আগে টেস্ট করিয়ে যদি কোনও কারণে তাঁদের পজিটিভ রিপোর্ট আসে, তখন আর নতুন পুরোহিত ও সহকর্মীদের খুঁজে নিযুক্ত করার সময় থাকবে না। সমস্যায় পড়বে পুজো কমিটিগুলি।
দ্বিতীয়ত, এবার প্রায় সব পূজাই চাঁদা সংগ্রহ করছে না। পুজো করছেন নিজ উদ্যোগে। এই অবস্থায় এলইডি স্ক্রিন ও সিসিটিভি বসানোর মত আর্থিক বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুক প্রশাসন।
তৃতীয়ত, আর্থিক কারণেই বেশিরভাগ পুজো কমিটির পক্ষে সবসময় অ্যাম্বুলেন্স রাখা সম্ভব হবে না। বরং শহরকে কিছু জোনে বিভক্ত করে এলাকাভিত্তিক নোডাল অফিসার নিযুক্ত করে প্রতিটি জোনে অন্তত একটি করে অ্যাম্বুলেন্স রাখার ব্যবস্থা করুক খোদ প্রশাসন। পুজো কমিটিগুলির জন্য একটি কোভিড ইমার্জেন্সি টোল ফ্রি নম্বর রাখার দাবি জানান তাঁরা।
চতুর্থত, সমস্ত সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাতে দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন, যাতে সমাজের অর্থনৈতিক চাকা রুদ্ধ না হয়ে যায় ।পঞ্চমত, মণ্ডপে দর্শনার্থীদের মধ্যে কোনও সন্দেহজনক রোগী দেখা গেলে তাকে আটকে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানোর দায়িত্ব কমিটির হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক।কারণ জেনেশুনে কেউ কোনও রোগীর সংস্পর্শে যাবেন না৷
ষষ্ঠত, ভাসান যাত্রাতে লোকসংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ একটি ছোট থেকে ছোট কাঠামো তুলতেও অনেক লোকের প্রয়োজন হয়। মনে রাখতে হবে এটা দুর্গা প্রতিমা। সব মিলিয়ে তাঁদের অনুরোধ, এসওপি পুনর্বিবেচনা করুক প্রশাসন। আর, পুনর্বিবেচনার আগে অন্তত শহরের বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে আলোচনা করুক।