Barak UpdatesHappeningsBreaking News
পুজোর আগে এ বারও ছাত্রদের ডেকে যুব সম্মেলন করল শিলচর রামকৃষ্ণ মিশন
ওয়েটুবরাক, ১৬ সেপ্টেম্বরঃ এ বারও দুর্গোৎসবের ঠিক আগে যুব সম্মেলনের আয়োজন করল শিলচর রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম। মূলত অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রদের নিয়েই এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার। মোট ৫৩টি স্কুল থেকে ৬ জন করে ছাত্রছাত্রী তাতে অংশ নেয়। ছিলেন তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। মহারাজদের বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের সূচনা হয়। পরে মিশনের আবাসিক ছাত্ররা পরিবেশন করে উদ্বোধনী সঙ্গীত।
শুরুতেই শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনের এই যুব সম্মেলনের প্রোগ্রাম ইনচার্জ স্বামী বৈকুণ্ঠানন্দ মহারাজ কর্মসূচির উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য বুঝিয়ে বক্তৃতা করেন। প্রধান বক্তা ছিলেন শিলং রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী হিতকামানন্দ মহারাজ। তিনি অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় বলেন, প্রত্যেকের মধ্যে বিরাট সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে৷ কারণ একই ধরনের আত্মা সবার মধ্যে রয়েছে৷ শুধু একে জাগিয়ে দিতে হবে৷ এই কাজটা যে নিজেদেরই করতে হবে, তা তিনি নানা উদাহরণ ও ঘটনার সাহায্যে সকলের সামনে তুলে ধরেন৷
করিমগঞ্জ মিশনের সহসচিব রামভদ্রানন্দ মহারাজ সংক্ষেপে মূল্যবান বক্তৃতা করেন। ‘স্বামীজির মানুষ গড়ার লক্ষ্য’ নিয়ে বক্তব্য রাখেন শিলচর গুরুচরণ কলেজের শিক্ষিকা ড. রাজশ্রী পাল, ‘ভারত পুনর্নির্মাণ’ বিষয়ে বলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তথা কাঁচাকান্তি বিদ্যামন্দিরের অ্যাকাডেমিক ডিরেক্টর হরিহর চক্রবর্তী। কাছাড় কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান ড. রমা পুরকায়স্থ ধন্যবাদসূচক বক্তৃতা করেন। সকলেই তাঁদের ভাষণে ছাত্রছাত্রীদের প্রকৃত মানুষ হতে পরামর্শ দেন৷ স্বদেশের কথা, স্বদেশি আন্দোলনের কথাও উঠে আসে৷
স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ছাত্রছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত বিষয় ছিল দেশপ্রেম। পরে এরা সম্মেলনে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতাও দুয়েককথায় বিবৃত করে। ছিল প্রশ্নোত্তর পর্বও।