Barak UpdatesHappeningsBreaking News
পশ্চিমবঙ্গে উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটি প্যানেলে বরাকের তিন বিশেষজ্ঞ
ওয়েটুবরাক, ৮ জুলাই : পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি গঠনে যে প্যানেল তৈরি হয়েছে, তাতে বরাক উপত্যকার তিন শিক্ষাবিদকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. কল্লোল পাল ( তিনি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম স্থিত সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য), আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য (বাংলা বিষয়ের বিশেষজ্ঞ) এবং আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সজল নাগ।
পশ্চিমবঙ্গে উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে অনেকদিন ধরে রাজভবন ও রাজ্য সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। তা নিরসনে আদালতে একটি জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট মামলা দায়ের হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কাম সিলেকশন কমিটির চেয়ারপার্সন পদে ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতকে নিযুক্ত করেছেন। সর্বোচ্চ আদালত ওই নির্দেশে বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেলও ঘোষণা করে। তাতেই রয়েছে বরাক উপত্যকার তিন কৃতী সন্তানের নাম।
এখন চেয়ারপার্সন একেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ওই প্যানেল থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি তৈরি করবেন। কমিটি প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদের জন্য তিনজনের একটি প্যানেল তৈরি করবেন। প্যানেলের ক্রম হবে নামের আদ্যাক্ষরের ভিত্তিতে। পরে প্যানেল জমা দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তা মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া কারও কাছে জমা দেওয়া যাবে না। এমনকী সংশ্লিষ্ট বিভাগের মন্ত্রীর কাছেও নয় বলে শীর্ষ আদালত এ দিন স্পষ্ট বলে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এ বার তাঁর পছন্দমত ক্রম তৈরি করে রাজভবনে ফাইল পাঠাবেন। রাজ্যপাল ওই ফাইল দেখে ক্রম অনুসারেই উপাচার্য নিযুক্তি দেবেন। কিন্তু প্যানেলটাই যদি রাজ্যপালের পছন্দ না হয়, সে ক্ষেত্রে তিনি অপছন্দের কারণ উল্লেখ করে ফাইলটি মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে ফেরত পাঠাবেন। কোনও প্যানেল নিয়ে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী বিবাদ দেখা দিলে ওই প্যানেল সুপ্রিম কোর্টে জমা করতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালত সিদ্ধান্ত জানাবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন বিচারপতিদ্বয় ।