NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News

নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় প্রস্তাব পেলেই শিলচরে গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট, হিমন্তকে সিন্ধিয়া, আশ্বস্ত রাজদীপ

ওয়েটুবরাক, ১৬ জুন ঃ গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্টের জন্য প্রক্রিয়া মেনে নির্ধারিত ফর্মে প্রস্তাব পাঠানো হয়নি বটে, কিন্তু যে টুকু কাজ এগিয়েছে, এয়ারপোর্ট অথরিটির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিলচরে এসে সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানিয়েছেন সাংসদ ডা. রাজদীপ রায়।

বিভিন্ন পক্ষের সংশয় দূর করে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গত ১২ জুন অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কাছে চিঠি পাঠিয়ে শিলচরের প্রস্তাবিত এয়ারপোর্টের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন। সিন্ধিয়া আজ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্টের নীতিনির্দেশিকা মেনে তাঁরা ফিজিবিলিটি রিপোর্ট চেয়েছিলেন। তিনটি জায়গার ওপর পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে ডলু টি এস্টেটের জমিকেই সবদিক থেকে উপযোগী বলে তাঁর মন্ত্রক জানতে পেরেছে।  অসম সরকার এয়ারপোর্ট অথরিটিকে জমি হস্তান্তর করেছে। তবে সেখানে এখন কিছু কাজ করাতে হবে। এ ছাড়া, এর সঙ্গে আরও কিছু জমি পাওয়া গেলে এ-৩২০ বিমান অবতরণেও সমস্যা হবে না। আরও কিছুটা জমি পাওয়া যায় কিনা, তা দেখতে সিন্ধিয়া মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন। সঙ্গে স্পষ্ট জানিয়েছেন, নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় প্রস্তাব পাঠানো হলে তাঁর মন্ত্রক অনুমোদন জানানোর ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবে।

সুস্মিতা দেব, দেবব্রত শইকিয়া বা ডলু চা বাগান বাঁচাও সমন্বয় সমিতি— কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার নাম না নিয়েই ডা. রাজদীপ বলেন, কারও সন্দেহ-সংশয় বা আশঙ্কার কারণ নেই। তিনি দিল্লিতে এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উচ্চ পদাধিকারীর সঙ্গে কথা বলেছেন, বৈঠক করেছেন। সবাই শিলচরের বিমানবন্দরের অগ্রগতির ব্যাপারে অবগত রয়েছেন। সাংসদ রায় বিভিন্ন পক্ষের সংশয় দূর করতে গিয়ে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল এয়ারপোর্ট অথরিটি এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের কার্যবিবরণীর অংশবিশেষও পড়ে শোনান তিনি। তাতে লেখা রয়েছে, ব্যবসাবাণিজ্য ও ভবিষ্যত সম্ভাবনার কথা ভেবে রাজ্য সরকারকে গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্টের জন্য জমির ব্যবস্থা করতে এয়ারপোর্ট অথরিটির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হচ্ছে।

তখন থেকেই প্রক্রিয়া শুরু। এর আড়াই বছর পর ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী এয়ারপোর্ট অথরিটি অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন।  ততদিনে ফিজিবিলিটি রিপোর্ট জমা পড়েছে। ২২ পৃষ্ঠার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডলু, খরিল ও শিলকুড়ি বাগানের মধ্যে বিভিন্ন দিক থেকে তাঁরা তুলনা করে দেখেছেন, ডলুই সর্বোৎকৃষ্ট। ফলে সবকিছু ঠিকপথেই এগোচ্ছে বলে দাবি করেন সাংসদ রায়। বলেন, এখন নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় প্রস্তাব পাঠানো হবে। আর তা অনুমোদিত হয়ে কাজকর্ম শেষ হতে তিন বছর লাগবে। এর পরই নৈশ অবতরণের জন্য বিমানবাহিনীর মুখাপেক্ষী থাকতে হবে না, টার্মিনালেও যাত্রীদের কষ্ট করে হাঁটাচলা করতে হবে না।

আসাম টি করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাজদীপ গোয়ালা এবং বিজেপির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভ্রজিত চক্রবর্তীও সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker