NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
ট্রাইবুনালে সওয়ালের সময় সিএএর কথা মাথায় রাখতে সরকারি আইনজীবীদের বলবেন হিমন্ত
ওয়েটুবরাক, ১৫ জুলাইঃ সিএএ কার্যকর হলেও ফরেনার্স ট্রাইবুনালের পুরনো মামলায় বিচারকরা কী রায় দেবেন, সে জায়গায় সরকারের কথা বলার অধিকার নেই। তবে সরকারি আইনজীবীদের বলব, তাঁরা ট্রাইবুনালে অভিযুক্তদের শাস্তির জন্য যখন যুক্তি দর্শাবেন, তখন যাতে সিএএ-র কথা মাথায় রাখেন। সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি জানান, সিএএ কার্যকর হয়েছে বলেই ২০১৫ সালের আগে ভারতে আসা হিন্দুদের মামলাগুলি বাদ দিয়ে দেওয়ার কথা বলতে পারে না সরকার।
সিএএ পক্ষে-বিপক্ষ সকলের ধারণা ভুল বলে প্রমাণ করে দিয়েছে, এই মন্তব্য করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সিএএ অনুসারে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য গতমাসে মাত্র আটজন আবেদন করেছেন। তাঁদের মধ্যে মাত্র দুজন ইন্টারভ্যুতে উপস্থিত হয়েছেন। তাঁর কথায়, সিএএ বিরোধীরা এমন আন্দোলন করলেন যে, অসমে ২০-২৫ লক্ষ বিদেশি নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। সিএএ-র সমর্থকরাও মনে করেছিলেন, কয়েক লক্ষ হিন্দু মানুষকে নাগরিকত্ব প্রদান করা সম্ভব হবে। কিন্তু এখন উভয় পক্ষের মান বাঁচাতে তিনি চাইছেন, অন্তত দেড় লক্ষ সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করুক।
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করেই বলেন, বরাক উপত্যকাকে লক্ষ্য করে নানা কথা বলা হচ্ছিল, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, তাঁরা কেউ সিএএর অধীনে আবেদন করতে চাইছেন না। নিজেদের ভারতীয় নাগরিকত্বের দাবি এতটাই পোক্ত যে, সেখানকার হিন্দু বাঙালিরা ট্রাইবুনালে লড়ে নাগরিকত্ব পাওয়ার পক্ষপাতী। এমনকী বরাক উপত্যকায় বিজেপি স্থানে স্থানে গিয়ে সিএএ-র কথা বুঝিয়েছেন, এর পরও সাড়া মেলেনি। হিমন্ত অবশ্য শুনিয়ে রাখেন, ফরেনার্স ট্রাইবুনালে যে সব হিন্দুর মামলা চলছে, তাঁরা ইচ্ছা করলে এখনও সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তা মঞ্জুর হলে মামলা থেকে রেহাই মিলবে, মঞ্জুর না হলে মামলা অব্যাহত থাকবে।