Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ডিসি রবিবার বললেন, পোস্টাল ব্যালটে ১১২৭ ভোট, চারদিন পরে জানালেন ১৭৩২, বিস্মিত দিলীপ পাল
ওয়েটুবরাক, ৯ এপ্রিলঃ পোস্টাল ব্যালট নিয়ে নানা অনিয়মের ঘটনা সামনে আসতেই উদ্বেগে শিলচরের বিধায়ক তথা নির্দল প্রার্থী দিলীপকুমার পাল। তাঁর কাছে গোটা পোস্টাল ব্যালট কাণ্ড ভয়ঙ্কর, চিন্তার বিষয়। তাই তিনি আগামীকাল শনিবার পুরো বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবগত করাবেন। চিঠি পাঠাবেন দিল্লিস্থিত কার্যালয়ে।
দিলীপবাবু বিস্মিত জেলাশাসক কীর্তি জল্লির দুই ম্যাসেজে। তিনি পোস্টাল ব্যালটের ব্যাপারে গত রবিবার জেলাশাসকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। সকাল ১১টা ৩৬ মিনিটে জল্লি নিজের মোবাইল থেকে তাঁকে জানিয়েছেন, পোস্টাল ব্যালট ব্যবহার করে ভোট দিয়েছেন মোট ১১২৭জন। এর চারদিন পরে গতকাল তিনি ম্যাসেজ পাঠিয়ে জানান, আগের হিসাবটি ভুল ছিল। আসলে পোস্টাল ব্যালটে ভোট পড়েছে ১৭৩২টি। তিনি একটি চিরকূটে এর বিস্তৃত হিসেব দেন। জানান, ভোটের কাজে নিযুক্ত সরকারি কর্মীরা ৬৩১, জরুরিসেবায় নিয়োজিতরা ৭১, প্রবীণ নাগরিক ৭৬৮, প্রতিবন্ধী ১৭৬ এবং নিরাপত্তা রক্ষীরা ৮৬টি ভোট দিয়েছেন। দিলীপবাবুর প্রশ্ন, ভুল করে চারদিনে ৬০৫টি বাড়ে কী করে?
গতকাল রাতে তাঁর পাড়ায় (মৌলভী রোড) যে ঘটনা ঘটে, এ নিয়েও তাঁর মনে বহু প্রশ্ন। সত্যজিত দে পুরকায়স্থ নামে ভোটকর্মী পোস্টাল ব্যালট সংগ্রহ করতে রাতে কেন গেলেন? সরকারি গাড়ির বদলে স্কুটি চড়ে কেন গেলেন? সঙ্গে যিনি গিয়েছিলেন, তিনি আবার নির্বাচন কর্মী নন। এ-ও বড় রহস্যজনক। দিলীপবাবুর কথায়, তাঁর বাড়ি তারাপুরে। “সিন্ডিকেট প্রার্থী”র বাড়ির কাছে। ফলে একে অশনিসংকেত বলেই উল্লেখ করেন বিধায়ক পাল। সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দেন, পোস্টাল ব্যালট বলে হেলার ব্যাপার নয়। কারণ গত নির্বাচনে বড়খলা আসনে কিশোর নাথ জিতেছিলেন ৪২ভোটে, তা ওই পোস্টাল ব্যালট গণনাতেই।
নেট্রিপে কী চলছে, সে নিয়েও দিলীপবাবু উৎকণ্ঠায়। তিনি জানান, গতকাল লক্ষীপুর আসনের স্ট্রংরুমের সিসিটিভি আচমকা নষ্ট হয়ে যায়। সেখানেও যে “সিন্ডিকেট প্রার্থী” রয়েছেন।