Barak UpdatesHappeningsFeature Story
জিসি কলেজে বিজ্ঞাপন পুনঃপ্রকাশের দাবিতে অধ্যক্ষের হাতে বিডিএফের স্মারকপত্র
ওয়েটুবরাক, ৩০ ডিসেম্বর :গুরুচরণ কলেজে লাইব্রেরিয়ান সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপন বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তাতে প্রার্থীদের যোগ্যতার ক্ষেত্রে অসমিয়া অথবা ইংলিশ টাইপিং জানতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে । এর প্রতিবাদে আজ কলেজ অধ্যক্ষ বিভাস দেবের হাতে এক স্মারকলিপি তুলে দেন বরাক ডেমোক্রেটিক ইউথ ফ্রন্টের সদস্যরা।
এই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষের সাথে বিনিময়ের সময় যুবফ্রন্টের মূখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত বলেন যে অধ্যক্ষ নিশ্চয়ই অবগত রয়েছেন যে ১৯৬১ সালের আসাম ভাষা আইন সংশোধনী অনুযায়ী বরাকের তিন জেলার সরকারি ভাষা বাংলা। তিনি বলেন যে এই অধিকার জাতিধর্ম নির্বিশেষে বরাকের আপামর জনসাধারণ দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল। এবং একাদশ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই অধিকার অর্জিত হয়েছে। তাই ভাষিক ব্যাপারে বরাকের সবার সংবেদনশীলতা রয়েছে। কল্পার্ণব বলেন যে গুরুচরণ কলেজ বরাকের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। তাই এই কলেজের বিজ্ঞাপনে ভাষা আইন লঙ্ঘন করে যোগ্যতার জন্য অসমিয়া টাইপিং এর উল্লেখ সবাইকে অবাক করেছে। তিনি বলেন তাঁরা দাবি জানাচ্ছেন যে অবিলম্বে এই বিজ্ঞাপন সংশোধন করে অসমিয়ার পরিবর্তে বাংলা টাইপিং এ দক্ষতা চেয়ে এটি পুনঃপ্রকাশ করা হোক।
যুবফ্রন্ট সদস্যদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কলেজ অধ্যক্ষ বিভাস দেব বলেন যে তিনি ভাষা আইনের ব্যাপারে সম্পুর্ন ওয়াকিবহাল। উল্লেখিত এই বিজ্ঞাপনের ভুলটি ইচ্ছাকৃত নয় এটি খেয়ালের অভাবে প্রকাশিত হয়ে গেছে। তিনি বলেন যে গতকালই এই ব্যাপারটি তাঁদের নজরে এসেছে এবং সঙ্গে সঙ্গেই এরজন্য একটি সংশোধনী প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যা অনতিবিলম্বে তাঁদের পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। বিভাসবাবু এই স্মারকলিপি প্রদানের জন্য বিডিওয়াইএফ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যে তার কার্যকালে তিনি যথাসম্ভব নিয়মনীতি মেনেই কাজ করছেন এবং বরাকের উন্নতিকল্পে যতটুকু তার পক্ষে করার সুযোগ রয়েছে ততটুকু করার চেষ্টা করছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি গুরুচরণ কলেজের দীর্ঘ ঐতিহ্য ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই কলেজের পড়ুয়াদের অবদানের কথাও তুলে ধরেন।
এদিনের কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবফ্রন্টের আহ্বায়ক দেবায়ন দেব , আহ্বায়ক বাহার আহমেদ চৌধুরী, নবারুণ দে চৌধুরী , বিডিএফ কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে হৃষীকেশ দে ও জয়দীপ ভট্টাচার্য।