Barak UpdatesHappeningsBreaking News
জাতীয় বিজ্ঞান দিবসে শিলচরে বৈজ্ঞানিকদের উদ্ধৃতি প্রদর্শনী
২৮ ফেব্রুয়ারি: আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি নানা কার্যসূচির মাধ্যমে ‘জাতীয় বিজ্ঞান দিবস’ পালন করে ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটির শিলচর চাপ্টার৷ এ উপলক্ষ্যে সকাল নয়টায় শিলচরের ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে বৈজ্ঞানিকদের উদ্ধৃতি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। উদ্ধৃতি প্রদর্শনীর পাশাপাশি সেখানে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আসাম চাপ্টারের অন্যতম সদস্য হিল্লোল ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ১৯২৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের অন্যতম বিখ্যাত বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন আলোর উপর গবেষণা করে যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছিলেন, যা রমন ইফেক্ট নামে খ্যাত। এই আবিষ্কার পদার্থ বিজ্ঞানের পাশাপাশি চিকিৎসা বিজ্ঞানেও অনেক সহায়তা করেছিল।
সি ভি রমনের এই আবিষ্কারের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৩০ সালে তাকে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। তিনি পরবর্তীতে ভারতে বিজ্ঞান গবেষণার অগ্রগতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কাজ করেছিলেন। তার প্রচেষ্টায় ১৯৩৪ সালে ‘ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সস’ গড়ে উঠেছিল। পরবর্তীতে তিনি ১৯৫৪ সালে ভারতরত্ন ও ১৯৫৭ সালে লেনিন শান্তি পুরষ্কার লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে সি ভি রমন এর আবিষ্কারের প্রতি সম্মান জানিয়ে ভারত সরকার ২৮ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস ঘোষণা করে।
হিল্লোল ভট্টাচার্য বলেন, বিজ্ঞানমনস্কতা তৈরির উদ্দেশ্যে ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি প্রতি বছর দেশে এই দিবস পালন করে৷ ভারতের প্রখ্যাত বৈজ্ঞানিক আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, জগদীশ বসু, সি ভি রমন, মেঘনাদ সাহা, সতেন্দ্রনাথ বসু প্রমুখ বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তাভাবনা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে যে কাজ করেছিলেন আজ তার বিপরীতে কাজ চলছে। জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের মঞ্চকে অবৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা ছড়িয়ে দেওয়ার মঞ্চে পরিণত করা হয়েছে। তথাকথিত ভারতীয়করণের নামে মধ্যযুগীয় অযৌক্তিক, অবৈজ্ঞানিক ধারণাকে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। এসব প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
এই কার্যসূচিতে অংশগ্রহণ করেন অভিষেক গুপ্ত, এ এস এম ইসলামুল হক লস্কর, রাজশ্রী রোহন শুক্লবৈদ্য, সইদ আমজাদ আহমেদ, ভৃগু চক্রবর্তী, বাহারুল ইসলাম, তুতন দাস প্রমুখ।