Barak UpdatesHappeningsBreaking NewsFeature Story
একদিন ওষুধ দেওয়ায় এখন বিশ্বনাথ মজুমদার ডাকলেই হাজির হয় পেঁচা
ওয়েটুবরাক, ১১ মে: অসুস্থ পেঁচাকে ওষুধ দিয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে পরদিন ডাক্তারবাবুকে ধন্যবাদ জানিয়ে গেল, উড়ে-উড়ে দেখিয়ে গেল, সুস্থ হয়ে উঠেছে সে। এখন ডাকলেই এসে হাজির হয়। বিশ্বনাথ মজুমদারের ভাল লাগছে, পেঁচাটি সুস্থ হয়ে উঠেছে, উড়তে পারছে।
বিশ্বনাথবাবু আসলে শিলচর পলিটেকনিক ইনস্টিট্যুটের সিনিয়র গ্রেড লেকচারার। করেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাও। তাই নিজের বা পরিবারের কারও সমস্যায় ডাক্তারের কাছে ছুটোছুটি করতে হয় না। হোমিওপ্যাথি ওষুধ ঘরেই থাকে।
বিশ্বনাথবাবু জানান, দুদিন আগে সন্ধ্যায় তার ছেলে প্রথম পেঁচাটিকে দেখে। খেঁজুর গাছের গোড়ায় বসেছিল। উড়তে পারছিল না। কিছুক্ষণ পরে আসে তাদের চৌবাচ্চার কাছে। তিনি দেখেন, ডান দিকের ডানায় চোট পেয়েছে সে। কিন্তু মলের রং দেখে চিন্তা পড়ে যান তিনি। মারা যাওয়ার আগে পাখিরা এমন সাদা রঙের মলত্যাগই করে। তিনি তাকে কয়েক ফোঁটা ওষুধ দিয়ে একটি টুকরি দিয়ে ঢেকে রাখেন। ঘণ্টা দুয়েক পরে সে ডাকাডাকি শুরু করে। বিশ্বনাথবাবু বুঝতে পারেন, ওষুধ কাজ করছে। তিনি টুকরি তুলতেই পোষা পাখির মত আচরণ করতে থাকে। আবার একটু ওষুধ দিয়ে তিনি তাকে বাড়ির পেছনে ঝোঁপঝাড়ের মধ্যে ছেড়ে দেন।
পরদিন সকালে ওই পেঁচার ডাকে ঘুম ভাঙে তাঁর৷ দরজা খুলে বেরোতেই পেঁচাটি তাকে ঘিরে ঘুরতে থাকে৷ ডানা মেলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিল সে। বাড়ির মধ্যে দু-চারবার উড়ে দেখাল, সে সুস্থ হয়ে উঠেছে। এর পরই একবার ফুড়ুৎ করে তাঁর বাড়ির সীমা ছাড়িয়ে যায়। এখন ডাকলেই হাজির হয়৷ বিশ্বনাথবাবুর কথায়, মানুষের কৃতজ্ঞতাবোধ দিনদিন উধাও হতে চলেছে, কিন্তু পেঁচাটি জানিয়ে দেয়, তারা ওইসব ভুলে যায়নি।