Barak UpdatesHappeningsBreaking News
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক ও ক্রীড়া-সংস্কৃতিপ্রেমী জগদিন্দু দাস প্রয়াত
২২ মে: প্রয়াত হলেন শিলচর কাঁঠাল রোডের অবসর প্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক জগদিন্দু দাস। শুক্রবার দুপুর ২ টা ৫০ মিনিটে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। ক’দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এর জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের প্রাক্তন সঞ্চালক ছিলেন জগদিন্দু দাস। সেসঙ্গে ছিলেন সংস্কৃতি ও ক্রীড়াপ্রেমী। তাঁর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহল থেকে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। আজ সুভাষণগর শ্মশানঘাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সংসদ ডা: রাজদীপ রায়, বিধায়ক দিলীপ কুমার পাল উপস্থিত ছিলেন তাঁর শেষ যাত্রায় সামিল ছিলেন। প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায়ও এক শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
জগদিন্দু দাস দেশভাগের যন্ত্রণা বুকে নিয়েই বাবা যোগেশ চন্দ্র দাসের সঙ্গে শিলচরে আসেন। খুব মেধাবী ছিলেন ছোটবেলা থেকেই। তৎকালীন সময়ে দু’দুটি লেটার পেয়ে মেট্রিক পাশ করেন। জিসি কলেজ থেকে বিএসসি উত্তীর্ণের পর বড়খলা উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে বিজ্ঞান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু তাঁর মেধা তাঁকে আরও বড় পরিসরে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিল। আর তাই হলো।
পরিসংখ্যান বিভাগে যোগ দিলেন জগদিন্দু। এরপর ধাপে ধাপে বিভাগীয় সঞ্চালক পদের দায়িত্ব পান । এই বিভাগের আধিকারিক থাকাকালীনই বিভিন্ন বিভাগে ডেপুটেশনে যান তিনি। ডিআরডিএ- তে এসিস্টেন্ট প্রজেক্ট মনিটরিং অফিসার হিসেবে বরাক সহ ডিমাহাসও-এ সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ক্রীড়া ও সংস্কৃতিপ্রেমী হিসেবেও বেশ নাম ডাক ছিল তাঁর। একসময় ডিসি একাদশ দলের হয়ে খেলে ক্রিকেটে ম্যান অব দ্য ম্যাচও পান জগদিন্দু দাস।
প্রয়াত জগদিন্দু দাসের পরিবারে আছেন তার স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা জয়শ্রী দাস, একমাত্র ছেলে যশবন্ত দাস ও মেয়ে জয়িতা দাস সহ আত্মীয়-স্বজন, নাতি, নাতনি। তাঁর মৃত্যুতে পরিচিত মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।