India & World UpdatesHappeningsBreaking News
West Bengal CM Mamata turns painter to protest against NRC, CAAসিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় এ বার ছবি এঁকে প্রতিবাদ মমতার
২৮ জানুয়ারি : সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় তুলি হাতে নিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ছবি এঁকে ‘নিঃশব্দে’ সিএএ-র প্রতিবাদ জানালেন তিনি। ছবি এঁকে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মমতা বলেন, ”আমি কিন্তু শিল্পী নই। মাঝে মধ্যে একটু চেষ্টা করি মাত্র। তুলির টানে, প্রাণের টানে, একই কথা বললাম রঙের মাধ্যমে। আমরা কোনও ভেদাভেদ মানব না। নীরবে যে কথা বলা যায়, কথা বলার থেকে কথা না বলে নিজের ভাষা ব্যক্ত করা সভ্যতার বড় শিষ্টাচার, বড় শিক্ষা। বিচ্ছিন্নতাবাদ, ধর্মের নামে ঘৃণার রাজনীতি ভালবাসি না। ভাষা নিয়ে গুলিগোলা চালাই না। ভাষা দিয়ে আমরা বাংলার সাহিত্য-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করি”।
এর আগে সিএএ ও এনআরসি বিরোধিতায় মমতা রাজপথে নেমে দীর্ঘপথ হেঁটেছেন। সমতল থেকে পাহাড়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সভাও করেছেন তিনি। আর এ দিন ক্যানভাসে একঝাক শিল্পীর সঙ্গে তিনিও তুলি হাতে নিলেন। শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, শুভপ্রসন্ন থেকে যোগেন চৌধুরী, এমন অনেকেই ছিলেন এই নীরব প্রতিবাদে। এঁরা সবাই ক্যানভাসে ভিন্ন ভিন্ন রঙের ছবি ফুটিয়ে তুললেও সবার আঁকার বিষয় ছিল একই। সিএএ-এনআরসি বিরোধিতা। যা ভিন্ন আঙ্গিকে চিত্রকরদের সৃষ্টিশীলতায় ফুটে ওঠে।
এ দিন এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাংলার ৪২ জন প্রথমসারির চিত্রকর অংশ নেন। আর এঁদের সঙ্গেই এ দিন তুলির টানে বিরোধিতার সুর গেঁথে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। এসব ছবি এ দিন ক্যানভাস বন্দি হওয়ার পর পাড়ি দেবে পশ্চিমবঙ্গের কোণায় কোণায়। সেখানে প্রদর্শিত হবে ছবিগুলি। মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আলোচনা চাইতেই পারেন। গণতন্ত্রে আলোচনাও হতে পারে। কিন্তু তার আগে এনআরসি ও সিএএ প্রত্যাহার করতে হবে। তারপরই আলোচনা সম্ভব।
মমতার এই প্রতিবাদকে কটাক্ষ করে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ”অনেক দিন পর ছবি আঁকার সুযোগ পেলেন মমতা। যখন মানুষ হতাশ হয়ে যান, তখন কেউ গিটার বাজান, ছবি আঁকেন। সিএএ-এনআরসি বিক্ষোভে তিনি একা হয়ে গিয়েছেন। মানুষ তাঁর সঙ্গে নেই। আমাদের সভায় হাজার হাজার লোক আসে। মমতা হতাশ হয়ে গিয়েছেন, তিনি অসফল প্রশাসক”।