India & World UpdatesAnalyticsBreaking News
তিহার জেল থেকে ছাড়া পেলেন চিদাম্বরম, বৃহস্পতিবার যাবেন সংসদSupreme Court grants bail to Chidambaram, will go to Parliament from Tihar on Thursday
৪ ডিসেম্বরঃ আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় ১০০দিনেরও বেশি হেফাজতে থাকার পর অবশেষে জামিন পেলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। এই মামলার প্রেক্ষিতে তাঁকে আর কোনও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন না হলে দিল্লির তিহার জেল থেকে তাঁর মুক্তির নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। চিদাম্বরম পুত্র কার্তি জানান, দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের এইবরিষ্ঠ নেতা সংসদে।
এ দিকে, গত ২৮ নভেম্বর চিদম্বরমের জামিনের আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি হয়। সেদিন রায়দান স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্টের ৩ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার সর্বোচ্চ আদালত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে স্বস্তি দিল। এই মামলায় সিবিআইয়ের করা মামলায় আগেই জামিন পেয়েছিলেন চিদম্বরম। এবার ইডির মামলাতেও জামিন পেলেন। ফলে তাঁর আর জেল থেকে বেরোতে কোনও বাধা রইল না। জামিন দিলেও চিদম্বরমের উপর বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছে ইডি। চিদম্বরমকে আদালতে ২ লক্ষ টাকার বন্ড জমা দিতে হবে। তাঁকে আইএনএক্স মিডিয়া মামলার তদন্তে সবরকমভাবে সহযোগিতা করতে হবে। এবং তদন্ত চলাকালীন দেশ থেকে বাইরে যেতে পারবেন না প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।
বুধবার চিদাম্বরম পুত্র কার্তি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তাঁর বাবা দেশের অর্থনৈতিক মন্দার বিষয়টি উত্থাপন করতেই বৃহস্পতিবার সকাল১১টায় সংসদে যাবেন। ২০০৭ সালে অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন একটি বিদেশি বিনিয়োগ প্রচার বোর্ডের কার্যপ্রণালীতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে। অবশেষে চিদম্বরমের জামিন পেয়ে মুক্তির পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে তাঁর পরিবার।
অন্যদিকে,বিজেপির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় সংস্থা গুলির প্রসঙ্গেও তীব্র কটাক্ষ করতে দেখা যায় কার্তি চিদম্বরমকে। পাশাপাশি কার্তি এই গোটা মামলার প্রসঙ্গে অভিযোগ করে বলেন, “এই মামলা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কেন্দ্রীয় সংস্থা গুলির যদি আমাদের বিরুদ্ধে সঠিক নথি এবং প্রমাণ থাকে তবে তা বিচার করা হোক, আমরা নিশ্চিত সেখানেও আমরা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারব।”
অন্যদিকে গান্ধী পরিবার এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ওপর থেকে বিশেষ এসপিজির নিরাপত্তা প্রত্যাহারের বিষয়টিকেও তীব্র নিন্দা করে চিদাম্বরম জানান, “এই নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার কোনও কারণ নেই। যেহেতু এই সরকার সংসদে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই তারা রাজনৈতিক প্রতিশোধ চরিতার্থ করে চলেছে”।