NE UpdatesBarak UpdatesBreaking News
বৈঠকে এলেন না শিক্ষামন্ত্রী, এ বার জনতা ভবন ঘেরাও করে অনশনের হুমকি রাঁধুনিদেরEducation Minister did not turn up in the meeting, MDM workers now to gherao Janata Bhawan
১৩ নভেম্বর : মধ্যাহ্নভোজনের রাঁধুনিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েও শেষমেশ উপস্থিত হননি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটায় দিসপুর জনতা ভবনে রাঁধুনি সংস্থার সঙ্গে সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
১২ নভেম্বর শিক্ষা বিভাগের এক আধিকারিকের হাত দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তিনি বুধবার সারা আসাম প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক রাঁধুনি সহায়িকা সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হবেন। কিন্তু এ দিন পূর্বনির্ধারিত সময়ে জনতা ভবনের ই-ব্লকে রাঁধুনি সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকা সত্বেও শিক্ষামন্ত্রী সেখানে যাননি। ফলে শিক্ষামন্ত্রীর পরিবর্তে শিক্ষা বিভাগের কমিশনার প্রীতম শইকিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হয় রাঁধুনি সংস্থা।
এতে রাঁধুনি সংস্থার কর্মকর্তারা এই আলোচনাকে নিষ্ফলা এবং অসম্মানজনক আখ্যা দিয়ে তাদের প্রাপ্য সম্মান এবং গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। রাঁধুনি সংস্থার উপদেষ্টা কৃষ্ণা নাথ অভিযোগ করেন, শিক্ষামন্ত্রী আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েও পালিয়ে গেছেন। তিনি এনজিও’র হাতে বিক্রি হয়ে গেছেন বলে আজ উপস্থিত হননি। সেজন্য তিনি এনজিওকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাতিল করার ব্যাপারে লিখিত কিছু দেননি।
রাঁধুনি সংস্থার কর্মকর্তারা বলেছেন, আলোচনায় শিক্ষা বিভাগের কমিশনার প্রীতম শইকিয়া রাঁধুনিদের বেতন ‘বেতন’ হিসেবে থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি তা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন, কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সাহস করেননি। তবে এনজিওর ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে এ দিন উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে এই আলোচনা নিষ্ফলা হওয়ার পর রাঁধুনি সংস্থা পুনরায় তাদের আন্দোলন কার্যসূচি ঘোষণা করেছে। তারা জনতা ভবন ঘেরাও করে আমরণ অনশন করার হুমকি দিয়েছেন। তারা আরও বলেছেন, আন্দোলন কর্মসূচির আওতায় জনতা ভবন ঘেরাও বা রেলপথ অবরোধ করলে তার জন্য শিক্ষামন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী দায়ী থাকবেন। প্রসঙ্গত, ১ নভেম্বর থেকে মধ্যাহ্নভোজনের কাজ রাঁধুনি ও সহায়িকাদের কাছ থেকে সরিয়ে তা রাজ্যের কয়েকটি এনজিওকে ঠিকাভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে। এর জেরেই সারা রাজ্যব্যাপী আন্দোলন শুরু করেছে রাঁধুনি ও সহায়িকা সংস্থা।