Barak UpdatesHappeningsAnalyticsBreaking News
ত্রিপুরায় কোয়রান্টাইনে পশ্চিমবঙ্গের ট্রাকচালক! সন্দেহের আবর্তে কায়স্থগ্রামের চালকও!
৯ মেঃ ত্রিপুরায় এক ট্রাকচালকের দেহে শুক্রবার করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। কিন্তু তাকে হাসপাতালে পাঠানোর সময় দেখা যায়, কোয়রান্টাইন সেন্টারে নেই তিনি। খোঁজ করে চুরাইবাড়ি গেট থেকে গাড়ির নম্বর, ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হয়। সেখানেই গোলমাল হয়ে যায়। ট্রাকের যে নম্বর দেওয়া হয় ওই সূত্রে বেরিয়ে আসে, চালকের নাম জফিরুল হক। বাড়ি করিমগঞ্জ জেলার কায়স্থগ্রামে। দ্রুত খবর পাঠানো হয় করিমগঞ্জ পুলিশকে। পড়িমরি করে মাঠে নেমে পুলিশ তার বাড়ি খুঁজে বের করে।
ALERT !
30 persons found #COVID19 POSITIVE in Tripura today. 25 persons from 86th-Bn #BSF, 4 family members from 138th-Bn #BSF & 1 truck driver.
📌Total #COVID19 patients in Tripura now stands: 118
⏩Active cases: 116
⏩Discharged: 02Stay Safe !#TripuraCovid19Count
— Biplab Kumar Deb (@BjpBiplab) May 8, 2020
জফিরুল জানান, তিনি এলপিজি সিলিন্ডার নিয়ে ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন বটে, কিন্তু তাকে গেটে থার্মাল স্ক্রিনিং করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। লালারসের নমুনা সংগ্রহই করা হয়নি। তাঁর প্রশ্ন, লালারস ছাড়া পজিটিভ হয়ে গেলেন কী করে? জেলা প্রশাসন ঝুঁকি না নিয়ে পুরো বাড়ি কোয়রান্টাইন করে দেয়। তাকে সহ বাড়ির ১৯ সদস্যের সবাইকে বাড়িতেই থাকতে বলা হয়। স্বাস্থ্যকর্মীরা তার লালারস সংগ্রহ করে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে পাঠান। শুক্রবার ত্রিপুরা থেকে করিমগঞ্জ জেলার রাতাবাড়িতে ফিরেছিলেন ৮ শ্রমিক। তাদের সবাইকেও এ দিন পাথারকান্দি মডেল হাসপাতালে এনে কোয়রান্টাইন করা হয়। ডিআইজি দিলীপকুমার দে চুরাইবাড়ি ছুটে যান। দুই রাজ্যের সীমান্ত পারাপার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।
এ দিকে যখন এতসব চলছিল, তখন ত্রিপুরাতেও তদন্ত অব্যাহত থাকে। মাধববাড়ি ট্রাক টার্মিনাসে সন্ধান মেলে পশ্চিমবঙ্গের নম্বরযুক্ত বইবোঝাই এক গাড়ির। চালককে খুঁজে বের করে কোয়রান্টাইন করা হয়। লালারসের নমুনা নেওয়া হয়। বইবোঝাই গাড়িটিকেও নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। ত্রিপুরার সার্ভেল্যান্স অফিসার ডা. দীপ দেববর্মা জানান, রাতে তার লালারসের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। এতে আরেক বিপদের গন্ধ পাওয়া যা্চ্ছে। করিমগঞ্জের এসপি কুমার সঞ্জিতকৃষ্ণ জানান, প্রাথমিক তদন্তে তাদের জফিরুল হকের বক্তব্য সঠিক বলেই মনে করছেন। অর্থাত ত্রিপুরায় তার লালারসের নমুনা সংগ্রহই হয়নি।
সেখান থেকেই প্রশ্ন, ওখানে যে ট্রাকচালকের লালারসের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়ল, তিনি এখন কোথায়? পালিয়ে গিয়েছেন? সাধারণ জনতার স্রোতে মিশে গিয়েছেন? তাই যদি হয়, তাহলে যে মারাত্মক ভয়ের কথা! শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব সামাজিক মাধ্যমে কায়স্থগ্রামের চালকের গাড়ির নম্বর দিয়েছিলেন। শনিবার দেখা যায়, তিনি গাড়ির নম্বর তুলে দিয়েছেন। রহস্য কোথায়?