Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
এনআরসিঃ শিলচরে মহিলা সমারোহে আশ্বাস সর্বা-হিমন্তের
এনআরসি ইস্যুতে আজও সকলকে আশ্বস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ও অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। উতকণ্ঠিত না হতে পরামর্শ দিয়ে আজকের মহিলা সমারোহে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘বরাকের মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার। মনে রাখবেন, সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে।’ বিদেশির নামে কোনও ধরনের হয়রানি চলবে না বলে তিনি জোর গলায় দাবি করেন। হিমন্তবাবু বললেন, এনআরসি থেকে একজন ভারতীয় নাগরিকের নামও যেন বাদ না পড়ে, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এর পরও খসড়ায় যাদের নাম থাকবে না, তাদের দাবি-আপত্তি জানাতে হবে। এই কাজে তাঁদের সরকার ও দল সব ধরনের সাহায্য করবে।
শিলচরে মহিলা সমারোহে আজ ২ হাজার ৩৯২টি আত্ম-সহায়ক গোষ্ঠী (এসএইচজি)-কে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দিল অসম সরকার। সর্বানন্দ সোনোয়ালের নেতৃত্বে বিজেপি জোট সরকারের দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে লোকসভা আসন ভিত্তিক এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মঙ্গলদৈ ছাড়া সর্বত্র এই মহিলা সমারোহ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী নবকুমার দোলে। তাঁর কথায়, এই সময়ে অসমে ১ লক্ষ ২৬ হাজার মহিলা এসএইচজি রয়েছে। রাজনৈতিক মতাদর্শ বা জাতি-ধর্ম বাছবিচার না করে সবাইকে সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হচ্ছে। সে জন্য ৬৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।
তবে এই টাকা দিয়েই তাঁর মন্ত্রক দায় সারছে না বলে তিনি জানিয়ে রাখেন। নববাবু বলেন, এর পর শুরু হবে বাছাই প্রক্রিয়া। যারা প্রথম কিস্তির টাকা ভালো ভাবে ব্যবহার করবেন, তাদের দ্বিতীয় কিস্তিতে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। এর ৪০ শতাংশ ছাড় মিলবে। পরে আরও দুই কিস্তিতে সরকার ক্রমে ১ লক্ষ ও ২ লক্ষ টাকা প্রদান করবে। উভয় ক্ষেত্রে ছাড়ের পরিমাণ ৩০ শতাংশ। ভালো কাজ করলে ২৫ শতাংশ ছাড়ে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদানের কথা ঘোষণা করেন মন্ত্রী দোলে।
কিন্তু কীভাবে এই অনুদানকে ভালোভাবে কাজে লাগানো সম্ভব? মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন, সে জন্য ব্লকে ব্লকে ওয়ার্কশপ হবে। অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার অনুমান, তাতে প্রতিটি বিধানসভা আসনে অন্তত ১ হাজার করে মহিলা উপকৃত হবেন। ডেপুটি স্পিকার দিলীপকুমার পাল আশাবাদী, এতে উদ্বুদ্ধ হয়ে এখন স্থানে স্থানে মহিলা এসএইচজি গড়ে উঠবে। শিলচর লোকসভা কেন্দ্র বা কাছাড় জেলায় এই ধরনের ১৬ হাজার এসএইচজি তৈরির লক্ষ্য তাঁদের।
আজকের সভায় মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আরও জানান, বরাক নদীর ওপর সদরঘাট সেতুর কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। এর আগেই উপত্যকার রাস্তাঘাটের উন্নতি হবে। সেজন্য অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা মঞ্জুরির কথা আজ ফের উল্লেখ করেন। তিনি শোনান করিমগঞ্জে ৫০০ শয্যার মেডিক্যাল কলেজ তৈরির পরিকল্পনার কথাও। সে জন্য ৩৫০ কোটি এরই মধ্যে মঞ্জুর করা হয়েছে। এ ছাড়া, শিলচর শহরের উন্নয়নে ২০০ কোটি টাকা এবং জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহের জন্য ২৬ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে বলেও অর্থমন্ত্রী আজ জানান।
এ ছাড়াও বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা হাউসফেড চেয়ারম্যান রঞ্জিতকুমার দাস, গুয়াহাটি পুর নিগমের ডেপুটি মেয়র বিজলি কলিতা মেধিও আজ বক্তৃতা করেন।