Barak UpdatesHappeningsBreaking News
চম্বলের মতো অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে না তো বরাক নদী ! ক্লিন গঙ্গা ডিজির আশঙ্কা
ওয়েটুবরাক, ২৯ মেঃ কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের উদ্যোগে বরাক নদীতে পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা চলছে। মোট ১৪টি জায়গাকে চিহ্নিত করে এই প্রথম বরাকে পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষার কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে মণিপুরের ১০ জায়গায় ৫০ কিলোমিটার সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। দক্ষিণ অসমে হবে চার জায়গায় ২০ কিলোমিটার।
কিন্তু পঞ্চাশ কিলোমিটারের কাজেই আঁতকে উঠছেন সমীক্ষক দল। চম্বল সহ রাজস্থানের বহু নদীর সঙ্গে বরাকের প্রকৃতিগত সাযুজ্য ধরা পড়ে। সেখান থেকেই তাঁদের আশঙ্কা, চম্বলের মতো বরাক এক সময় অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে না তো!
ক্লিন গঙ্গা মিশনের ডিরেক্টর জেনারেল জি অশোক কুমার বলেন, চম্বল নদী শুকিয়ে যাওয়ার পর সেখানকার অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাব পড়েছিল। মানুষ বাধ্য হয়ে চুরি-ডাকাতি শুরু করে। তাঁর দুশ্চিন্তা, বরাক নদীও কি একসময় গতিরু্দ্ধ হয়ে পড়বে! দক্ষিণ অসমের পরিণতি কি শেষপর্যন্ত চম্বলের মতো হতে চলেছে?
এর পরই অশোক কুমার কিছু আশার বাণী শোনান। বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ধারা প্রকল্পের অধীনে যদি শিলচরকে যুক্ত করা যায়, সে ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তার অনেকটা উপশম হবে। ওই প্রকল্পেই জল সুরক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হবে। তবে ধারায় ঢোকার জন্য শিলচরের মানুষকে প্রথমে নদীবান্ধব হয়ে উঠতে পরামর্শ দেন তিনি। নদীকে যাতে কোনও ভাবে অপব্যবহার করা না হয়, নদীদূষণ ঠেকাতে যেন প্রতিটি মানুষ সর্বদা সচেতন থাকেন, তাহলে ধারার আওতায় এসে শিলচরই হবে উত্তরপূর্বের প্রথম নদীবান্ধব শহর। সে ক্ষেত্রে শিলচরের প্রতিটি উন্নয়ন মূলক পরিকল্পনা তৈরি হবে বরাক নদীকে কেন্দ্র করে, জল সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে, জানিয়েছেন অশোক কুমার।
কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকও যে বরাককে নিয়ে বিশেষ ভাবে ভাবছে, শিলচরে এসে এর উদাহরণও দেন নদীবিজ্ঞানীরা। বলেন, ক্লিন গঙ্গা মিশনের অধীনে ইকোলজিক্যাল অ্যাসেসমেন্টের জন্য দেশের ছয়টি নদীকে বেছে নেওয়া হয়। নর্মদা, মহানদী, গোদাবরী, কাবেরী, পেরিয়ারের সঙ্গে তালিকায় স্থান পেয়েছে উত্তর-পূর্বের বরাক নদীও। এর পরই গত বছর ওই সমীক্ষা শুরু হয়েছে।