Barak UpdatesHappeningsBreaking News
চা শ্রমিকদের মজুরিতে বরাক-ব্রহ্মপুত্রের বৈষম্য এক জায়গায়, ক্ষুব্ধ বিডিএফ
ওয়েটুবরাক, ৩১ মেঃ শপথ নিয়েই আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩৮ টাকা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার চা শ্রমিকরা দৈনিক ২০৫ টাকা করে পাবেন। কিন্তু বরাকের শ্রমিকেরা পাবেন দৈনিক ১৮৩ টাকা। মজুরি বাড়লেও দুই উপত্যাকার মজুরি কাঠামোতে পার্থক্য একই জায়গায় থেকে গিয়েছে। তাতে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে বরাক ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট।
মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিডিএফ-এর মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন, বরাকের চা শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এই বঞ্চনা অনেকদিন ধরেই চলছে। যুক্তি দেখানো হয়, বরাকের চায়ের বিক্রয়মূল্য ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা বা উজান আসামের চায়ের চেয়ে কম। তাঁর বক্তব্য, তা সত্যি হলে এর জন্য বাগান কর্তৃপক্ষ এবং সরকার দায়ী। কাছাড় টি-র একসময় রাজ্যে সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল তার বর্তমান অবনয়ন কেন হচ্ছে তা সরকারকে ভাবতে হবে এবং এই উপত্যকার চায়ের গুণমান ও চাহিদা বৃদ্ধির জন্য সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।
তিনি বলেন, বরাকের চায়ের চাহিদা কমার পিছনে এখানকার বাগান মালিকদের উদাসীনতা, পরিকল্পনার দীনতা ও প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের অভাবই মূলতঃ দায়ী। কিন্তু এইসবকে গুরুত্ব না দিয়ে তারা শ্রমের মূল্য কম দিয়ে নিজেদের লাভের অঙ্ক কষে চলেছেন। তা সম্পূর্ণ অনৈতিক।
বিডিএফ এর আরেক আহ্বায়ক পার্থ দাস বলেন, কিছুদিন আগে কাটিগড়ার কুরকুরি চা বাগান ও জালালপুর চা বাগানে কোভিড রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা এই উপত্যাকার সব চা শ্রমিককে কোভিড পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু সে ব্যাপারেও কোন সরকারি সক্রিয়তা চোখে পড়ছে না। পার্থ বাবু বলেন, বাগান এলাকায় সচেতনতার অভাব রয়েছে এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামো একদমই নড়বড়ে। তাই একবার সংক্রমণ শুরু হলে ভয়াবহ পরিস্থিতি ও প্রচুর প্রাণহানি হতে পারে। তাই সরকারকে অবিলম্বে এই ব্যাপারটিকে প্রাথমিকতা দিতে হবে বলে দাবি জানান তিনি।