Barak UpdatesHappenings
মৃত্যুর পর নেত্রদানের অঙ্গীকার স্ত্রী সহ আইনজীবীর
ওয়ে টু বরাক, ২৬ জুলাই : শিলচর শহরের বিশিষ্ট আইনজীবী শিব কলোনির বাসিন্দা সৌমেন চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী বর্ণালী চৌধুরী তাদের ১৭তম বিবাহ বার্ষিকীতে এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বুধবার মৃত্যুর পর নেত্রদানের অঙ্গীকার করলেন। তাদের এই মহৎ কার্য সম্পাদনে এগিয়ে আসেন সক্ষম দক্ষিণ আসাম প্রান্তের সহ সভাপতি তথা কর্ণিয়া অন্ধত্ব মুক্ত ভারত অভিযানের প্রান্ত সংযোজক বিশ্বরাজ চক্রবর্তী।
নেত্রদানের উপর সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এদিন ঘরোয়া আলোচনায় বিশ্বরাজ চক্রবর্তী বলেন, আমাদের দেশে প্রতি বছর ৪০ থেকে ৫০ হাজার লোক কর্ণিয়া অন্ধত্বের শিকার হন। কিন্তু সেই তুলনায় কর্ণিয়ার যোগান আমাদের দেশে প্রতি বছর ২৫ হাজারের মতো হয়। কাজেই চক্ষু দানের ব্যাপারে সমগ্র দেশে আরও ব্যাপক সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরও বলেন যে মৃত্যুর পর আমাদের চক্ষু প্রায় ছয় ঘন্টার মত সতেজ থাকে এবং এই সময়ের মধ্যেই মৃত ব্যাক্তির চক্ষু থেকে কর্ণিয়া উৎপাটন করতে হয় ও ৭২ ঘন্টার মধ্যে অন্য ব্যাক্তির চক্ষুতে প্রতিস্থাপন করতে হয়।
সক্ষমের দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে বর্তমানে শিলচরেও আই ব্যাঙ্ক স্থাপিত হয়েছে এবং এতদঅঞ্চলের প্রায় ২০ জন লোক কর্ণিয়া প্রতিস্থাপনের ফলে পৃথিবীর আলো দেখতে পাচ্ছেন। তারজন্য এদিনের আলোচনা সভায় তিনি সমাজের সর্বস্তরের লোককে মৃত্যুর পর নেত্রদানের অঙ্গীকার করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। নেত্রদানের ব্যাপারে সৌমেন বাবু ও তাঁর স্ত্রী আগামীতে দিব্যাঙ্গদের জন্য সমর্পিত সংস্থা সক্ষমের পাশে থাকবেন বলে মত ব্যক্ত করেন।
পরিশেষে বিশ্বরাজ চক্রবর্তী সক্ষম পরিবারের পক্ষ থেকে সৌমেন বাবু ও তাঁর স্ত্রীকে এই মহৎ কার্য সম্পাদনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এদিনের এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৌনিকা চৌধুরী, সায়ন্তিকা চৌধুরী, বনশ্রী চক্রবর্তী, তৃপ্তি চক্রবর্তী, বৈভব চক্রবর্তী, বিথীকা চক্রবর্তী, তৃষিতা ভট্টাচার্য্য, সুদীপ্তা চৌধুরী, কমলাক্ষ চক্রবর্তী, বিশ্বজ্যোতি চৌধুরী প্রমুখ।