Barak UpdatesBreaking News
বাবা তো নেই, প্রথম ভাষণের পরই ফোন করি কবীন্দ্রজেঠু-নিত্যকাকুকে, লিখেছেন ডাঃ রাজদীপ রায়My Dad is no more, so after my 1st speech I rang Kabindra Uncle & Nitya Uncle, writes Dr. Rajdeep Roy
।।ডাঃ রাজদীপ রায়।।
অধিবেশন চলার ফাঁকে অনেকের সঙ্গে দেখা করি। এমনিতেও অনেকের সঙ্গে দেখা-কথা হয়ে যায়। এর মধ্যে দলের কার্যবাহী সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাত করি। শিলচরের সঙ্গে তাঁর একটা পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। এখানকার ধ্রুবজ্যোতি পুরকায়স্থের তিনি আত্মীয়। তাঁর বাড়িতে একটা বাঙালি আদব-কায়দা আমার নজরে পড়েছে।
মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, হর্ষবর্ধনের সঙ্গেও নানা ইস্যুতে আলোচনা হয়। কথা হয় জিতেন্দ্র কুমারের সঙ্গেও। আর বরুণ গান্ধী, পুনম মহাজনের সঙ্গে তো বন্ধুত্বই গড়ে উঠেছে। বরুণ তাঁর বাড়িতেও আমাকে নেমন্তন্ন করেছিল। যদিও বিশেষ কারণে আমার যাওয়া হয়নি।
এ সবের সূত্র মনে হয়, রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আমার সাড়ে ১৪ মিনিটের ভাষণ। সংসদে দাঁড়িয়ে প্রথম বক্তৃতা আমার। প্রথম ভাষণের জন্যই আমাকে ১০ মিনিট সময় বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছিল। এর মর্যাদা রক্ষা করা, সেই সঙ্গে শিলচরের নাম উজ্জ্বলতর করা—–চাপ কিছুটা ছিলই। ৩৬ ঘণ্টা প্রস্তুতি নিই সে জন্য। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, রঞ্জিত দাসের পরামর্শ চেয়ে নিই।
শিলচরে যে কয়জন উপদেষ্টা হিসেবে সবসময় আমাকে পরামর্শ দেন, তাঁদের সবাইকে ফোন করি। জানতে চাই কী কী বলা প্রয়োজন। বক্তৃতা শেষে সকলের চোখ-মুখ দেখে নিশ্চিত হই, ভালই হয়েছে। অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়েই ফোন করি, কবীন্দ্র পুরকায়্স্থ এবং নিত্যভূষণ দে-র কাছে। বাবা তো নেই, বাবার অবর্তমানে তাঁরাই আমার অভিভাবক। মনে পড়ে যায় বাবার কথা। বাবা থাকলে এই দিনগুলি দেখে কী খুশিই না হতেন!
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিলেও বলার জন্য আমাকে ডেকে নেওয়া হয়। এও কম বড় ব্যাপার নয়।
(শেষ পর্ব—গৌতম রায়কে নিয়ে কখনও আগ্রহ দেখাইনি)
।।অনুলিখন।।