Barak UpdatesHappeningsBreaking News
স্কুল-কলেজ খুলল, ছাত্র আসারই ইঙ্গিত মিলল প্রথম দিনেSchool-college reopen after 6 long months, lukewarm response
২১ সেপ্টেম্বর: প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর রাজ্যে স্কুল-কলেজ খুলল। সোমবার প্রথম দিন ছাত্রদের উপস্থিতি তেমন বেশি ছিল না। শহরে তা একেবারেই কম ছিল। গ্রামে অবশ্য প্রচুর ছাত্রছাত্রী উপস্থিত হয়েছে৷ অনেকে অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছে। তাঁরা লিখে দিয়ে এসেছেন, কোভিড বিধি মেনেই ছেলে-মেয়েদের পাঠাবেন, তারা শিক্ষকদের কাছ থেকে ক্লাশ নিক৷
এমনিতেই ছাত্রছাত্রীরা স্কুল-কলেজে যেতে চায় না, করোনা সংক্রমণের সময়ে মা-বাবার কাছ থেকে সম্মতিপত্র সই করিয়ে কত জন আর হাজির হবে, এমনটাই ভাবা হচ্ছিল৷ কিন্তু প্রথম দিনেই ভিন্ন বার্তার ইঙ্গিত মিলল৷ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে থাকতে চাইছে না৷ অভিভাবকরাও অনলাইন লেখাপড়ায় আশ্বস্ত হতে পারছেন না৷
ছাত্রদের উপস্থিতি দেখে শিক্ষকরা দুর্ভাবনায় পড়ে গিয়েছেন৷ উৎকন্ঠায় সাধারণ জনতাও৷ কারণ গত দিনদশেক ধরে করোনার ঊর্ধ্বগতিতে লাগাম পরানো সম্ভব হয়েছিল৷ এখন না ছাত্রদের মাধ্যমে সংক্রমণ মাত্রা ছাড়ায়৷ সোমবার বহু জায়গায় দেখা গিয়েছে, গলাগলি করেই সময় কাটিয়েছে ছাত্ররা৷ অভিভাবকদেরও অনেকে গিয়েছেন মাস্ক না পরে বা মাস্কটা থুতনিতে সেঁটে৷
কাছাড়ের বিদ্যালয় পরিদর্শক সেমিনা ইয়াসমিন আরা রহমান জানান, শহরের চেয়ে গ্রামের স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীরা বেশি হারে গিয়েছে৷ তাঁর ব্যাখ্যা, শহরের মানুষ বেশি সচেতন৷ গ্রামের অভিভাবকদের অনেকে আবার নির্দেশটি ভাল করে বুঝতেই পারেননি৷ ভেবেছেন, সম্মতিপত্র দেওয়া যেমন বাধ্যতামূলক, তেমনি ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোও বুঝি বাধ্যতামূলক৷
এ দিকে, করিমগঞ্জ জেলা জনসংযোগ জানিয়েছে, সরকারি নির্দেশ মেনে এ দিন করিমগঞ্জ জেলাতেও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাশ শুরু হয়। পড়ুয়াদের পারস্পরিক দূরত্ব, মাস্ক পরিধান ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার নিশ্চিত করেই ক্লাশ চালু করা হয়েছে। জল ও সাবানের ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে স্কুল-কলেজগুলিকে। অতিরিক্ত জেলাশাসক এন হিভারে বিদ্যালয় পরিদর্শককে সঙ্গে নিয়ে সকালে পাঁচটি ও বিকালে তিনটি স্কুল ঘুরে দেখেছেন।
জেলায় এ দিন সবচেয়ে বেশি ছাত্রের উপস্থিতি দেখা যায় ভাঙ্গা হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে। সকালে ১১৫ এবং বিকালে ৬৪জন উপস্থিত হয়েছিল।