India & World UpdatesBreaking News
রঞ্জন গগৈ মামলাঃ অভিযোগকারিণীকে ছাড়া শুনানিতে আপত্তি দুই বিচারপতিরRanjan Gogoi case: 2 judges expresses unwillingness to decide case without presence of complainant
৫ মেঃ অভিযোগকারিণীর অনুপস্থিতিতে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে শুনানি হবে কি না, প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি। বিচারপতি রোহিনটন ফলি নরিম্যান এবং বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়ের মতে, অভিযোগকারিণীর অনুপস্থিতিতে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে শুনানি হলে তা সুপ্রিম কোর্টের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তিতেই আঘাত আসবে।
রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মামলায় শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের মধ্যে যে মতপার্থক্য রয়েছে, তা এ বার প্রকাশ্যে চলে এল। এই মামলার তদন্তে তিন সদস্যের অভ্যন্তরিণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাতে অবশ্য বিচারপতি নরিম্যান বা বিচারপতি চন্দ্রচূড় নেই। রয়েছেন বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই তিন বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেন বিচারপতি নরিম্যান ও বিচারপতি চন্দ্রচূড়। সে সময় বিচারপতি নরিম্যান তাঁদের পরামর্শ দেন, শুনানির সময় অভিযোগকারিণীর আইনজীবীকে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হোক অথবা শুনানির জন্য একজন নিরপেক্ষ পরামর্শদাতা নিয়োগ করা হোক।
গত ১৯ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন কর্মী, পঁয়ত্রিশ বছরের এক তরুণী। সুপ্রিম কোর্টের ২২ জন বিচারপতিকে লেখা এক হলফনামায় তিনি দাবি করেন, ২০১৮ সালে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন প্রধান বিচারপতি গগৈ। যদিও ওই অভিযোগের কথা অস্বীকার করেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর দাবি, এর পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে।
এ দিকে, অভ্যন্তরিণ কমিটির কাছে দু’দিন হাজিরা দেওয়ার পর তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে সরে আসেন অভিযোগকারিণী। তাঁর আশঙ্কা, ওই মামলায় সুবিচার পাবেন না। কারণ শুনানির সময় তাঁর আইনজীবীকে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি, শুনানির অডিয়ো-ভিডিয়ো রেকর্ডিংও করা হচ্ছে না। তদন্ত প্রক্রিয়া কোন পথে চলবে, তা-ও তাঁকে জানানো হচ্ছে না। বরং কেন এত দেরি করে এই অভিযোগ করা হয়েছে, তা নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছে। এই তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে অভিযোগকারিণী সরে দাঁড়ালে তাঁকে ছাড়াই শুনানি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। তবে তা কতখানি যুক্তিযুক্ত, এ বার তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন শীর্ষ আদালতেরই দুই বিচারপতি।