Barak UpdatesHappeningsBreaking News
Proposal of Lockdown: What do the people of Cachar think about itলকডাউনের সুপারিশঃ কী ভাবছেন কাছাড়ের মানুষ
হিতব্রত ভট্টাচার্য, প্রোগ্রাম এগজিকিউটিভ, আকাশবাণী
লকডাউন অতিমারির ছড়িয়ে পড়া কমিয়ে দেয় বলে একাংশ বিজ্ঞানীর অভিমত। সাদা চোখে বিজ্ঞান নিয়ে ভাবলেও কথাটা সত্যি বলে মনে হয়। কিন্তু বাস্তবে এই করোনাকালে আমরা কী দেখেছি। দেড় মাসব্যাপী লকডাউন সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তকে রুখতে পারেনি। গতমাসে গুয়াহাটির লকডাউনের পরও ফল যথাপূর্বম। কোভিড নিয়ন্ত্রণে লকডাউন বোধহয় আর ব্রহ্মাস্ত্র নয়। বরং লকডাউনে অর্থনীতি ধ্বংস হয়, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় সম্পূর্ণ লকডাউন কখনো কাম্য হতে পারে না। অন্য অস্ত্রগুলো, যেমন মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা এগুলো কঠোরভাবে পালন করতে সবাইকে বাধ্য করাই এখন সময়ের প্রয়োজন।
নিখিল পাল, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্তা
একনাগাড়ে লকডাউন করার পক্ষপাতী আমি নই। কারণ এর আগেও বহু দিন সমগ্র ভারতবর্ষে লকডাউন ছিল। এর ফলস্বরূপ বর্তমান ভারতবর্ষে কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লক্ষের উপর ছাড়িয়ে গেছে। আসামে আজ ৫২ হাজারের উপর হয়ে গেছে।তাই আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে জনগণকে সচেতন করা। আমার মতে, একমাত্র সচেতনতার মাধ্যমেই এই কোভিড আক্রমণকে আমরা রোধ করতে পারব। তাছাড়া, দিনমজুরদের কথা চিন্তা করলে আমার মতে এখন আর একদিনের জন্যেও লকডাউন দেওয়া উচিত নয়। তাছাড়া, সমস্ত ধরনের ব্যবসা বাণিজ্যের কথা বলে তো আর লাভ নেই, খুবই শোচনীয় অবস্থা। ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থাও বিপর্যস্ত।
তবে বর্তমানে শনি-রবি যে লকডাউন চলছে সেটাকে পরিবর্তন করে অন্য যে কোনও দুদিন দেওয়া যেতে পারে। সেটি বিশেষজ্ঞরাই বলতে পারবেন। যদি রোগীদের সরকারি ব্যবস্থায় রাখার জায়গা সংকুলান না হয়, তাহলে উপসর্গহীন রোগীদের হোম আইসোলেশনে রাখার অনুমতি দিয়ে দিলে খুবই ভাল হয়। বর্তমানে তো শিলচর শহরের বেশ কয়েকটি পাড়ায় দেখেছি, হোম আইসোলেশনে থাকার জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট জেলা উপায়ুক্তের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাদের আমি সাধুবাদ জানাই। এটি একটি খুবই ভালো পদক্ষেপ। এরকম প্রতিটি পাড়ায় যদি হোম আইসোলেশনের ব্যবস্থা হয়ে যায়, তাহলে সরকারের উপর চাপ কমবে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিরা বাড়িতে থেকে অতিসত্বর সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমি শিলচর শহরের সকল সংস্কৃতিপ্রেমী জনসাধারণ ও সকল নাগরিকদের আহ্বান করছি, আসুন আমরা সবাই মিলে জনগণকে সচেতন করার কাজে এগিয়ে যাই।
রাজীব কর, ডাক্তার
কোভিড-১৯ আটকাতে মানুষের কন্টাক্ট চেন ভাঙার পরামর্শ সেই মার্চ থেকে। লক-ডাউন কাকে বলে আমাদের দেশ হাতে-কলমে শিখেছে। সরকারের চূড়ান্ত দায়িত্ব নিয়ে মানুষ বাঁচানোর দায়বদ্ধতা দেশের মানুষ দেখেছেন। সেই কারণে দেশের সাধারণ মানুষও নিজের এবং পরিবারের সুস্থতার প্রশ্নে দায়িত্ববান হয়ে উঠেছেন ক্রমান্বয়ে। কিন্তু দীর্ঘ লকডাউনে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, শ্রমিক-কৃষক-দিনমজুর, বিভিন্ন ছোট বড় ব্যবসায়ী সহ অগণিত ভারতবাসী করোনা থেকে বাঁচলেও অর্ধাহার-অনাহার থেকে বাঁচতে পারছেন না। ক্ষিদের যন্ত্রণা কিছুটা লাঘব করার জন্য সরকারি-বেসরকারি ভাবে অল্প-বিস্তর চেষ্টা হয়ত হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এটাই ঠিক, করোনা আটকাতে লক-ডাউন কর্মনাশাও বটে। আমি মনে করি আমাদের বরাক উপত্যকার মানুষ আজকের সময়ে অনেকটাই সচেতন। ভালোভাবেই শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করতে শিখে গেছেন সরকারি তত্বাবধানে। কাজেই শিলচর বা কাছাড়ে আর লক-ডাউনের দরকার নেই।
দীপক সেনগুপ্ত, শিক্ষক, অধরচাঁদ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল
আবার লকডাউন? কেন? কোন যুক্তিতে? এই প্রশ্নগুলো শ্রাবণের মেঘের মত মনকে মেঘাচ্ছন্ন করে রেখেছে । ২২শে মার্চের একদিবসীয় কার্ফুর অবসানে একাংশ গণদেবতাদের উল্লাস, জয়ধ্বনি এবং শঙ্খধ্বনির পর দুই পর্যায়ের লকডাউনের বিভীষিকাময় মাসাধিককাল কাটিয়ে আনলক পর্যায়ে এসে আবার লকডাউনে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব কে বা কারা কোন যুক্তিতে করলেন বুঝলাম না। করোনাকে প্রতিহত করতে লকডাউন যে একমাত্র সমাধান নয়, এই কথা ইতিমধ্যে প্রমাণিত। মাসাধিককালের দুই পর্যায়ের লকডাউন করোনাকে কতটা প্রতিহত করেছে, জানি না। তবে অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে জীবন এবং জীবিকাকে বিপন্ন করেছে । অনাহারে মৃত্যু এবং মানসিক অবসাদ করোনা ব্যাধির থেকে কম যন্ত্রণাদায়ক নয় । অপরিকল্পিত লকডাউন এবং অব্যবস্থা অর্থনৈতিক মন্দাকেই আবাহন করেনি শুধু, বিপন্ন হতদরিদ্র মানুষের জীবনকে বিপন্নতর করেছে । অথচ করোনার তীব্রতা তিলমাত্র কমেনি ।
সংক্রমণ প্রতিরোধে দূরত্ব বজায় রেখে বিজ্ঞানকে মেনে বিধি নিষেধ অবশ্যই পালন করা উচিত এবং এই ক্ষেত্রে লকডাউন যতটা কার্যকরী হবে বলে মনে হয়েছিল বাস্তবে কিন্তু ব্যুমেরাং হয়েছে । অন্যদিকে লকডাউনের নিষেধের ঘেরাটোপে অনেকই প্রাণ হারিয়েছেন। আবার কেন লকডাউন? খোলা বাজারে আলু পেয়াজ সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের উর্দ্ধমুখী দাম যে সংকটকে ডেকে এনেছে তার মোকাবিলা না করে আবার লকডাউনের দিকে ঠেলে দেওয়ার কোন যুক্তি দেখি না। তবুও মেনে নিতাম যদি জানতাম সীমিত কয়েকদিনের কষ্ট বৃহত্তর স্বার্থে চিরন্তন সমাধানের রাস্তা বাতলে দিবে । কিন্তু তা হওয়ার নয় । স্বস্তির কোন রূপালী রেখাই দিগন্তে দেখা যাচ্ছে না । বাস্তব পরিস্থিতিতে লকডাউনের বিকল্পকেই সমাধান ধরে সমস্যা মুক্তির পথ অনুসন্ধান করা উচিত।
Santosh Chakraborty, Retd. HoD, Deptt. of English, Cachar College, Silchar.
It’s always a guess work and conjecture. But looking at preceding months, not much can be expected. So total lockdown is not a good action. Rather stronger insistence must be on other protocols and improving of health care facilities.
Tamal Kanti Banik, Former Municipal Chairperson & Socio-cultural activist
As far as the situation of Silchar is concerned as of now, lockdown is not the solution.The prime necessity is to develop the medical infrastructure along with all the medical facilities for which patients of other diseases are to get treatment in every possible manner. I personally oppose that lock down shouldn’t be given, which will again increase the unemployment of daily labourours and other street vendors that may hamper there daily income. I feel, in all these days, the people have become more conscious of how to deal in this pandemic situation as regards the protocol set by the government to prevent themselves from this disease.
Dr. Debashish Sharma, Asstt Professor, Deptt of Mathematics, Gurucharan College
The number of covid positive cases in Barak Valley is increasing at an alarming rate. However, I feel that another lockdown for a few days will not serve any purpose. It will rather put additional trouble on people whose livelihood depends on daily income. The need of the hour is increasing the number of testing facilities and allowing home isolation of the positive patients who are not critically ill. As per my experience as a Covid positive patient, I feel that hospitalization is not necessary unless the patient has breathing difficulty or other critical complications.
The overload of positive patients in SMCH is also responsible, in a way, for several instances of critically ill patients being left unattended. Further, we do not have proper medical service and infrastructure here to deal with so many patients in Covid Care Centres. The centres are unclean and mismanaged. It has been reported by many patients that some Covid Care Centres do not even have doctors on duty. In such a situation, lockdown cannot be a solution. The existing system of lockdown on weekends may be continued. I also suggest that private clinical testing labs and hospitals should be allowed to conduct covid testing maintaining protocols.
Dr. Debotosh Chakraborty, Asstt. Professor, Deptt. of Political Science, Assam University, Silchar
Lockdown is not a solution to the ongoing problem. If it is the case, India would not have faced the problem. Instead of declaring lockdown, certain expeditious steps are required, e.g., providing more oxygen facility, repairing huge faulty oxygen cylinders (at Silchar Medical college), medicine, allowing some selected private hospitals to treat Covid patients. One week or ten days Lockdown may simply delay the process causing more troubles for the people. As it has already spread at the community level so now it is very difficult to streamline it. Better option is to face the Covid which consequently will lead to “herd immunity.” Already a good number of people at Silchar were infected and cured at home isolation. Such cases are not even reported. Proper counselling (including Telephonic counselling) is the need of the hour.
Santanu Sutradhar, Entrepreneur
I feel total lockdown is not necessary in Cachar. Already common people like daily wage earners, vendors, has suffered due to the continuous restrictions since March 25th. The widespread of covid infection could be controlled to a some extent if we maintain social distancing, wear masks and maintain hygiene. The economic activities has resumed since last July in the rest of India and keeping in line with that, we should resume our economic activities following all precautionary measures. I personally feel we should not get scared of the Covid . Total lockdown will only create panic and encourage hoarding of essential commodities which will result in price rise again. Lastly, common people will be more happy to earn their livelihood by doing their job rather than receiving relief from anyone.
Dr. Debashish Roy, Principal, Radhamadhab College, Silchar
I believe that total lockdown at this hour is of no consequence. Rather what I would suggest is partial lockdown in only those areas of the district where the number of positive cases are more. So what I feel is that hotspots should be earmarked by the administration and lockdown should only be imposed in those hotspot localities as an experimental basis. If, after a week’s lockdown in the hotspot zones, it is found that the number of positive cases are decreasing, only then, this model could be replicated in the whole district. But total lockdown is not at all a welcome step at this juncture.
Joydeep Biswas, Advocate
It is very difficult to say whether lockdown is absolutely necessary now or not at the present moment without going through the pros and cons of the situation. The fact that Covid-19 situation has reached dangerous proportion in the Barak Valley as a whole and Silchar in particular cannot be denied and the health infrastructure is being stressed to the limit and very soon people will be facing acute shortage of medical facilities. But on the other hand, I don’t believe that lockdown is the solution to the current situation either. I strongly believe that the safety measures should be strictly adhered to and the District Administration has to enforce them more rigorously. People are still seen on the roads moving around without masks or without properly wearing them. Moreover, Social Distancing is not properly adhered to. Public transportation is being carried out without maintaining the norms. More and more test and proper medical facilities are the necessity of the day.
From the records of the places where complete lockdown was implemented, the picture does not look very rosy either, so I feel the awareness among the people, implementation of the guidelines laid down and most importantly improvement and proper utilization of the medical facility is more important than complete lockdown as because complete lockdown will render lots of people without income and ensure more difficulties. At present, total Lockdown is not necessary to control the pandemic situation. Government should increase the number of health workers with adequate and proper training. If not possible, at present, Government could arrange home quarantine for the affected people with proper guidelines. Awareness programs should be initiated by the regulatory bodies.
Some of them in the public meeting held at on 23 July, pleaded for a week’ s lock down to keep the trend of Covid infection under control. At that critical juncture, the representatives of merchant association and others including the senior citizens and public representatives had shown opposition expressing view that the district authority was going the right way in combating the situation. Now that the situation is going out of control with the increased problem of accommodation in hospitals, service etc and problem of adequate diet to the patient, the same merchant association is demanding lockdown. For what purpose? Business prospects or for what? Instead of lock down, home isolation, and home treatment is preferable. Public would take their own care under the situation. What’s needed is steady supply of essential commodities and price control. Can the district authority ensure that?
বাসুদেব শর্মা, সারা আসাম বাঙালি হিন্দু অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি
সম্পূর্ণ লকডাউনের পক্ষে আমি নই। লকডাউন হলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনগণ এক চরম ভোগান্তিতে পড়বেন। আজ যেখানে কমিউনিটি স্প্রেড হয়ে গেছে, সেখানে লকডাউন করে এই মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এখন কিছুটা হলেও নাগালের মধ্যে, লকডাউন ঘোষণায় দেখা যাবে, শুধু কিছু ব্যবসায়ীর লাভ বা মুনাফা লোটার ব্যবস্থা হয়েছে। সরকারের উচিৎ জনসাধারণকে এই রোগ সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। বিভিন্ন এনজিও-কে দিয়ে এই কাজ করানো উচিত। আমি আরও এক ব্যপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, করোনা ছাড়া যেসব রোগী আছেন তাদের স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা হোক। কারন অনেক রোগী স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। করোনার জন্য অন্যান্য রোগেরও অন্যত্র চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। করোনা পজিটিভ হলেও উপসর্গহীনদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হোক। জনগণ যাতে মাস্ক পরেন এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখেন, তার প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হোক।
Tamal Chakraborty, social activist
Lockdown ? or unlock ? Seeing the increasing number of cases, the rapid growth in Cachar as well as in my neighborhood, it is not so tough to say that people in general are still in ‘who cares’ mood; and that is the sole ‘epicenter’ of spreading the virus, i feel. Because, it is the people who can contain the spread. Administration, government can just help us, not more then that. Main task lies with the people. But what we see actually, we blame the government, we blame administration and we ourselves are actually breaking, disobeying norms. So, here, strict lockdown is the only solution. Not only lockdown, strict implementation is also necessary to make the people understand that they ‘must’ take care, of themselves and of the society.
Again, condition of daily wage earner, labourers, lower and middle-middle class families who literally ‘fight’ day and night just to satisfy their hunger, lockdown is a curse. They are actually fighting with a twin mode of problem, virus and poverty. So where’s the solution ?
I feel, early identification and isolation, lockdown-unlock strategy ( as we have seen in last few days that total unlock maintaining social distancing remains in paper only) and strict action against those who disobey norms can give some result. Let’s identify the law- breakers and boycott them socially. Five months have already passed, still some people are in vacation mood, which is most dangerous then the virus itself !
Premangshu Paul Choudhury, Silchat Doordarshan
The word lockdown is not a one dimensional word. Once lockdown is imposed in a country, state or a particular geographical area; it has many implications. It affects the economy, general health etc etc. Lockdown started in India by the end of March, it might have helped us to contain the spread of virus to certain extent. After thoughtful consideration, lockdown was withdrawn in phased manner. Today, when we are in mid-August, stress should be given to make people aware about the importance of social distancing, mask,hand washing and hygiene. We must get adapted to a life with Covid-19. Health facilities should be given highest priority and work should start on war footing. Lockdown at this hour is no solution.
দিলীপ কুমার দে, অধ্যাপক
আজ ৮ আগস্ট, ২০২০। আমি মনে করি, এখন আবার লক ডাউন করার কোন প্রয়োজন নেই। এর পরিবর্তে সচেতনতামূলক প্রচার ও নিয়ম ভঙ্গকারীদের উপর জরিমানা আরোপ করা প্রয়োজন। মাস্ক ছাড়া চলাচল, ভিড় করা, অটো-মোটরসাইকেল প্রভৃতিতে অধিক যাত্রী বহন প্রভৃতির উপর তাৎক্ষণিক জরিমানা আদায় হোক। কিছু লোকের অনিয়মিত চলাফেরার জন্য আমজনতা ভুগবে কেন? জরিমানা আদায়ের টাকা চিকিৎসা খাতে ব্যয় করা হোক। লকডাউনের ফলে মেহনতি মানুষ ও রোগীদের কষ্ট বাড়বে।
ধর্মানন্দ দেব, আইনজীবী
কোভিড-১৯-এর প্রকোপ থেকে সাময়িক পালিয়ে বাঁচবার জন্য যে সময় চুরির কৌশল বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে অবলম্বন করা হয়েছে তারই কেতাবি নাম লকডাউন বা তালাবন্দি। তবে সব দেশ যে ‘লকডাউন’ শব্দটি ব্যবহার করেছে, তেমন নয়। পড়শি দেশ বাংলাদেশ বলেছে ‘গণছুটি’, আবার শ্রীলঙ্কায় ‘কার্ফু’। তা যে নামেই ডাকা হোক না কেন, মোদ্দা কথা হল করোনা সংক্রমণের তীব্রতা কমানোর পাশাপাশি নিজেদের একটু গুছিয়ে নেওয়ার পদ্ধতি। কেন এই গুছিয়ে নেওয়া? জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে লকডাউন আদতে শারীরিক বিচ্ছিন্নতার কথা বলে—যেন ছোঁয়াছুঁয়ি না হয়। করোনা সংক্রমণের অন্যতম মাধ্যম এটিই।
অামরা জানি এক-একটি রাজ্যে এক-এক সময়ে শীর্ষে পৌঁছবে করোনা সংক্রমণ। অর্থাৎ, দেশ জুড়ে একবারে নয়, বরং বিভিন্ন অংশে বিচ্ছিন্নভাবে একাধিকবার (মাল্টিপল) সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটবে করোনার। কারণ ‘মাল্টিপল পিক’-এর অর্থই হল দেশে সংক্রমণের মেয়াদ দীর্ঘায়িত হওয়া। কাছাড়েও করোনার গ্রাফ এখনও ঊর্ধবমুখী। আসাম রাজ্যেও সংক্রমণ পৌঁছেছে মাত্রাছাড়া পর্যায়ে । গোষ্ঠী সংক্রমণের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে তাই এ বার সপ্তাহে দু’দিন করে খাতায়-কলমে সম্পূর্ণ লকডাউন করছে রাজ্য সরকার।
‘দ্য সেন্টার ফর ডিজ়িজ়, ডায়নামিক্স, ইকনমিক্স অ্যান্ড পলিসি’-র ডিরেক্টর রামানন লক্ষ্মীনারায়ণ বলেছেন, এই সংক্রমণ সব জায়গায় সমানভাবে হচ্ছে না বা আগামী দিনেও হবে না। সংক্রমণের হার কোথাও তুলনামূলকভাবে বেশি, কোথাও কম হবে। তাঁর কথায়, উত্তর ও পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে আস্তে আস্তে এপিডেমিক কার্ভ উপরে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফলে সংক্রমণের মেয়াদ স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাবে । তাই এক সাপ্তাহের জন্য হলেও কাছাড় জেলায়ও সম্পূর্ন লকডাউন এখন প্রয়োজন বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।
মানুষের সঙ্গে মানুষের কন্ট্যাক্ট বন্ধ করাই লকডাউনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য। শুধু খাতায়-কলমে লকডাউন হলে সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয় না। যে সব রাজ্যে লকডাউন সফল হয়নি, তাদেরই ভুগতে হয়েছে বা হচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে সমস্ত রাজ্য সফলভাবে লকডাউন করতে পেরেছে, সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। কিন্তু যে রাজ্যগুলির লকডাউন প্রক্রিয়াতেই ফাঁক রয়েছে, সেখানে ধীরে ধীরে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ।
এছাড়াও আমি মনে করি, দূরত্ব-বিধি মানা এবং মাস্ক পরাটা শুধু বাধ্যতামূলক করাই নয়, সেগুলো ঠিকভাবে মানা হচ্ছে কি না, তা দেখা দরকার প্রশাসনের। কিন্তু সেই মনিটরিং ঠিকভাবে হয়নি বলেই সংক্রমণ এ ভাবে ছড়িয়েছে বরাকে বা আরো ছড়াবে।যেখানে একাংশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করেন না, সেখানে মনিটরিং কতটুুকু হবে ভাবলেই অবাক লাগে। উদাহরণ দিয়ে বলতে পারি, বরাকের দৈনিক পত্রিকায় সম্প্রতি একটি ছবি আমার চোখে পড়ে, একটি শিশুকে কোলে নিয়ে মাস্কবিহীন ও কোন দূরত্ব-বিধি না মেনে কাছাড় জেলা প্রশাসনের অভিভাবক ।
যাক, সাতদিনের সম্পূর্ণ লকডাউন হোক এবং সেটা সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কিনা তার দায়িত্ব নিতে হবে কাছাড় প্রশাসনকে। সাতদিন শেষে পরিস্থিতি বিচার-বিবেচনা করে ও কাছাড়ের এপডেমিক কার্ভ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। উল্লেখ্য, আবার তালাবন্দি চলাকালীন ভাইরাস নিজস্ব চারিত্রিক গঠন পালটে দুর্বল হয়েও পড়তে পারে। অর্থাৎ, কার্যকরী লকডাউনের বিকল্পের দিশা এখনও কেউ দিতে পারেনি। আবার কার্যকরী ও দীর্ঘায়িত লকডাউন এবং আর্থ-সামাজিক সংকটের মধ্যেও এক ধরনের স্ববিরোধিতা রয়েছে। সহজ কথায়, লকডাউনে সার্বিক অর্থনৈতিক ক্রিয়াকাণ্ড বন্ধ থাকে, কমে কর্মসংস্থান, খাদ্যদ্রব্য থেকে যাবতীয় উৎপাদন হ্রাস পায়, আরও সংকুচিত হয় আয়ের পরিমাণ, ইত্যাদি। তবুও এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে লকডাউনের উপকারিতা টের পেতে হলে, তার প্রয়োগের মাত্রা ও তীব্রতা যত বাড়বে ততই মঙ্গল।তাই রোগটি তাত্ক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর এমনকি স্বল্প-মেয়াদী হলেও লকডাউন করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে ।এই লকডাউনের সময় স্হানীয় স্বাস্হ্য প্রশাসনকে বেশি সংখ্যায় টেস্ট করতে হবে ঘরে ঘরে গিয়ে এবং সেই সঙ্গে ছোট ছোট হটস্পট এলাকাগুলোতে কড়াকড়ি বাড়াতে হবে। কোথা থেকে অসুখটা দ্রুত ছড়াচ্ছে, তা চিহ্নিত করা জরুরি স্হানীয় স্বাস্হ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ।
পরিশেষে একটাই আর্জি মানুষের এই দুর্দিনে খাতায়-কলমে নয়, মাঠে নেমে অন্তত মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানুক কাছাড় জেলা প্রশাসন । কাছাড়ের সুদিন ফেরাতে না পারলেও আইএএস বা আইপিএস অফিসাররা মানুষের দুর্দিনে মৃল্যবৃদ্ধি রোধ করে অন্তত সহায়ক ভূমিকা পালন করুন, প্লিজ ।
আশু পাল, রক্তদান আন্দোলনের নেতা
করোনা নিয়ে সচেতনতার চেয়ে বিভ্রান্তি বেশি। সরকার, প্রশাসন, চিকিৎসক সমাজ, সোশ্যাল মিডিয়া এবং টেলিভিশন — সবাই বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ দিশাহারা। এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে, লকডাউন করোনা সংক্রমণ রোধে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের দুর্গতি ছাড়া আর কোনো ইতিবাচক কাজই হয়নি লকডাউনে। দুনিয়ার সব দেশেই লকডাউনকে ব্যবহার করা হয়েছে অতিমারী মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। আমাদের দেশে থালা বাজানো হয়েছে। প্রস্তুতি কিছুই হয়নি, হবেও না। সরকারের সেই সদিচ্ছাও নেই। এখন লকডাউন চাইছেন কারা? বড় বড় ব্যবসায়ীদের সংগঠন। টানা এক বছর লকডাউনেও তাদের ভাঁড়ারে আঁচড় পড়বে না। করোনায় না মরুক, না খেয়ে, অন্যান্য অসুখে মরবে সাধারণ মানুষ। দিন আনা দিন খাওয়াদের কথা ভাববে কে? আমি মনে করি, যারা এই প্রস্তাব দিয়েছেন, তারা তাদের দোকান প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে চাইলে রাখুন। সমাজের বাকি অংশে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত থাকুক
Santanu Sengupta, Cultural activist
I am totally against complete lockdown in Cachar distict. If at all necessary, then selecting hotspot areas, local lockdown may be imposed, that too in extreme necessity. We are already under deep financial crisis, specially for those people who are middle class, lower middle class and those below poverty line. They are the most vulnerable people in this pandemic situation. Govt should take note of this and take initiatives to help them in their distress situation. Total lockdown now will create havoc in their lives. We should maintain social distancing, wear mask and also sanitize our hands regularly.
Rotarian Chandana Purakayastha, Social activist
No I don’t think Lockdown is a solution. Social distancing is not at all observed by the common people. Wearing a mask is just a show. Most of the people do not wear mask properly. Wearing face masks properly and hand washing can prevent 70% infection. Administration should be extremely tough to implement these measures.
Niharendu Dhar, Deputy Registrar, Assam University
Lockdown has positive as well as negative impacts. On the positive side, going by the national experience, it was highly successful in containing & reducing the rate of transmission of coronvirus; giving the government the much needed breathing space for preparatory arrangements and development of health infrastructure & logistics for combating COVID-19 and in creating awareness among the masses about the inevitable requirements of maintaining health hygiene ( frequent hand wash/ sanitisation, mandatory wearing of mask), social distancing and avoidance of crowd.
On the negative side, the lockdown has hit the economy hard, resulting in large scale unemployment,drastic downslide in the GDP rate and affecting the poor and daily wage earners severely. Besides, it put a huge drain on government exchequer towards pro-poor welfare measures. Given the above backdrop and spike in the rate of detection of COVID-19 positive cases in Cachar District over the last 10 days or so, I feel that a total lockdown of 7 to 10 days may be extremely helpful in putting a break in the rate of increase in COVID positive cases, especially in view of acute shortage of beds & other facilities in hospitals including SMCH in Cachar District.
চার্বাক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক
আবার সম্পূর্ণ লকডাউন, বা এখন যেমন শনি আর রবি পৌর এলাকায় লকডাউন এবং জেলা জুড়ে সন্ধ্যা ও রাতের কারফিউ, এই সমস্তের বদলে দৈনিক কারফিউের সময়সীমা কমিয়ে রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা করে দিয়ে বিভিন্ন ধরণের দোকানপাট ও অফিস-কাছারির সাপ্তাহিক ছুটির দিন সপ্তাহের আলাদা আলাদা তিনটি দিনে এবং কাজের দিনেও কাজের সময়কে এক এক ধরণের প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা আলাদা সময় স্লটে বরাদ্দ করে দেখা যেতে পারে।
যেহেতু এখন শনি ও রবি লকডাউন এবং অন্য দিন কাজের সময় এখন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে, আমাদের সকলের যে জরুরি কাজ রয়েছে, আমরা এই অল্প সময়ের মধ্যেই সেগুলি সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি। এর ফলে কাজের দিনগুলির সীমিত সময়সীমায় আমাদের চলাফেরা বেশি হচ্ছে এবং ওই সীমিত কাজের সময়টুকুতে আমরা রাস্তাঘাট অফিস-কাছারিতে মানুষের ঘনত্ব/চলাচল বাড়িয়ে চলেছি।
এখন ধরা যাক, অফিস এবং সংস্থাগুলির কিছু অংশ সকাল সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকল, অন্য একটা অংশ সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা হল এবং আরও একটা অংশ বেলা ১ টা থেকে রাত ৯ টা কাজের সময় পালন করল, তাহলে এখনকার পরিস্থিতির চেয়ে দিনের যে কোনও সময় রাস্তাঘাট অফিস কাছারিতে মানুষজন কম দেখা যাবে।
একইভাবে কিছু প্রতিষ্ঠান সোমবার সাপ্তাহিক ছুটি নিতে পারে, আবার অন্য কিছু প্রতিষ্ঠান বুধবার, এবং তৃতীয় একটি দল শুক্রবারের সাপ্তাহিক ছুটি নিতে পারে। এর ফলে সপ্তাহের যে কোনো দিনেই রাস্তায় ভিড় কম থাকবে। বিভিন্ন ধরণের প্রতিষ্ঠানের জন্য তিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং তিনটি ভিন্ন শিফট চালু করা, শারীরিক দূরত্ব মেনে চলাফেরা, কাজকর্ম করার জন্য একটি সফল বিকল্প হতে পারে। গাড়ির নম্বর জোড়-বেজোড় তারিখ অনুসারে চলতে পারে।
Dr Jayanta Debroy, Academician
No total lockdown at this moment. It will enhance harassment for the people who earn their livelihood from daily wages. Total Lockdown is not the solution until and unless awareness program at grass-root levels, random test of the disease of every family members is done and precautions and treatment of the disease is arranged by the government and NGOs.
At the same time, maintenance of physical distance, wearing of masks and black marketing should be strictly handled by the administration for the sake of the common people. In my opinion, night curfew is of no use in controlling the disease, rather it effects essential movement of the public and smooth running of small scale business.
Shrestha Paul, College Student
I have a mixed opinion on this. For the last few days, there has been a rapid growth in the covid-19 cases in Cachar, the average cases per day stands at 150+, somewhere a lockdown might be necessary to contain the spread of this disease.
But then again, as per the notice that has been doing rounds on the internet that some Merchant Association has proposed a lockdown is not something which should not be endorsed. In the initial stages of Lockdown 1, there had been a rapid increase in the price of the commodities. Merchant association calling a lockdown seems a bit contradictory with reference to the previous price hike.
It must also be mentioned that a major section of Cachar doesn’t seem to follow the guidelines put forward by the administration. There are several instances wherein I have seen people not wearing the masks properly, which is again a serious matter. With the rise in the covid -19 cases, if the people do not follow the Guidelines then another lockdown would be inevitable.
সুব্রত রায়, নাট্যকর্মী
আমি এই সময়ে পূর্ণ লকডাউনের বিরোধিতা করি। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে, একজন সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে এবং একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আমি যা দেখছি, আমার মনে হয়, এই মুহুর্তে লকডাউনের কোনও দরকার নেই। কারণ করোনা যতটা না মানুষের ক্ষতি করছে, এখন লকডাউন সৃষ্ট আর্থিক সঙ্কটে ক্ষতির মাত্রা হবে পঞ্চাশ গুণ বেশি। এই মানুষগুলো হয়তো করোনা থেকে বেঁচে যাবেন, কিন্তু না খেতে পেয়ে কতদিন বাঁচবেন! বিবাহ ভবন, রিকশাওয়ালা, অটো, বাদ্যশিল্পী, সবজি বিক্রেতা, মাছ বিক্রেতা তারা বড় মুশকিলে পড়বেন। যাদের দোকানে কর্মচারী রয়েছেন, তাঁরা নিজেরা কী খাবেন, কর্মচারীদের কী খেতে দেবেন! তাই লকডাউন অপরিহার্য হলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কী করা, এ নিয়ে ভাবা দরকার।
এখন যে রাতের কার্ফু চলে, এর লাভালাভের জায়গাটাও আমি বুঝি না। সারাদিন আমি ভিড়ের মধ্যে থাকলাম, রাতের বেলায় ঘরে চলে গেলাম। আর আমি সংক্রমিত হলে ঘরে গিয়ে সবাইকে সংক্রমিত করে দিলাম। এর কী যুক্তি! বরং শুরুর যে লকডাউন ছিল, একেই আরও টানলে ভাল হতো।
Santosh Chakraborty, Retd. HoD, Deptt. of English, Cachar College, Silchar.
It’s always a guess work and conjecture. But looking at preceding months, not much can be expected. So total lockdown is not a good action. Rather stronger insistence must be on other protocols and improving of health care facilities.
Tamal Kanti Banik, Former Municipal Chairperson & Socio-cultural activist
As far as the situation of Silchar is concerned as of now, lockdown is not the solution.The prime necessity is to develop the medical infrastructure along with all the medical facilities for which patients of other diseases are to get treatment in every possible manner. I personally oppose that lock down shouldn’t be given, which will again increase the unemployment of daily labourours and other street vendors that may hamper there daily income. I feel, in all these days, the people have become more conscious of how to deal in this pandemic situation as regards the protocol set by the government to prevent themselves from this disease.
Dr. Debashish Sharma, Asstt Professor, Deptt of Mathematics, Gurucharan College
The number of covid positive cases in Barak Valley is increasing at an alarming rate. However, I feel that another lockdown for a few days will not serve any purpose. It will rather put additional trouble on people whose livelihood depends on daily income. The need of the hour is increasing the number of testing facilities and allowing home isolation of the positive patients who are not critically ill. As per my experience as a Covid positive patient, I feel that hospitalization is not necessary unless the patient has breathing difficulty or other critical complications.
The overload of positive patients in SMCH is also responsible, in a way, for several instances of critically ill patients being left unattended. Further, we do not have proper medical service and infrastructure here to deal with so many patients in Covid Care Centres. The centres are unclean and mismanaged. It has been reported by many patients that some Covid Care Centres do not even have doctors on duty. In such a situation, lockdown cannot be a solution. The existing system of lockdown on weekends may be continued. I also suggest that private clinical testing labs and hospitals should be allowed to conduct covid testing maintaining protocols.
Dr. Debotosh Chakraborty, Asstt. Professor, Deptt. of Political Science, Assam University, Silchar
Lockdown is not a solution to the ongoing problem. If it is the case, India would not have faced the problem. Instead of declaring lockdown, certain expeditious steps are required, e.g., providing more oxygen facility, repairing huge faulty oxygen cylinders (at Silchar Medical college), medicine, allowing some selected private hospitals to treat Covid patients. One week or ten days Lockdown may simply delay the process causing more troubles for the people. As it has already spread at the community level so now it is very difficult to streamline it. Better option is to face the Covid which consequently will lead to “herd immunity.” Already a good number of people at Silchar were infected and cured at home isolation. Such cases are not even reported. Proper counselling (including Telephonic counselling) is the need of the hour.
Santanu Sutradhar, Entrepreneur
I feel total lockdown is not necessary in Cachar. Already common people like daily wage earners, vendors, has suffered due to the continuous restrictions since March 25th. The widespread of covid infection could be controlled to a some extent if we maintain social distancing, wear masks and maintain hygiene. The economic activities has resumed since last July in the rest of India and keeping in line with that, we should resume our economic activities following all precautionary measures. I personally feel we should not get scared of the Covid . Total lockdown will only create panic and encourage hoarding of essential commodities which will result in price rise again. Lastly, common people will be more happy to earn their livelihood by doing their job rather than receiving relief from anyone.
Dr. Debashish Roy, Principal, Radhamadhab College, Silchar
I believe that total lockdown at this hour is of no consequence. Rather what I would suggest is partial lockdown in only those areas of the district where the number of positive cases are more. So what I feel is that hotspots should be earmarked by the administration and lockdown should only be imposed in those hotspot localities as an experimental basis. If, after a week’s lockdown in the hotspot zones, it is found that the number of positive cases are decreasing, only then, this model could be replicated in the whole district. But total lockdown is not at all a welcome step at this juncture.
Joydeep Biswas, Advocate
It is very difficult to say whether lockdown is absolutely necessary now or not at the present moment without going through the pros and cons of the situation. The fact that Covid-19 situation has reached dangerous proportion in the Barak Valley as a whole and Silchar in particular cannot be denied and the health infrastructure is being stressed to the limit and very soon people will be facing acute shortage of medical facilities. But on the other hand, I don’t believe that lockdown is the solution to the current situation either. I strongly believe that the safety measures should be strictly adhered to and the District Administration has to enforce them more rigorously. People are still seen on the roads moving around without masks or without properly wearing them. Moreover, Social Distancing is not properly adhered to. Public transportation is being carried out without maintaining the norms. More and more test and proper medical facilities are the necessity of the day.
From the records of the places where complete lockdown was implemented, the picture does not look very rosy either, so I feel the awareness among the people, implementation of the guidelines laid down and most importantly improvement and proper utilization of the medical facility is more important than complete lockdown as because complete lockdown will render lots of people without income and ensure more difficulties. At present, total Lockdown is not necessary to control the pandemic situation. Government should increase the number of health workers with adequate and proper training. If not possible, at present, Government could arrange home quarantine for the affected people with proper guidelines. Awareness programs should be initiated by the regulatory bodies.
Some of them in the public meeting held at on 23 July, pleaded for a week’ s lock down to keep the trend of Covid infection under control. At that critical juncture, the representatives of merchant association and others including the senior citizens and public representatives had shown opposition expressing view that the district authority was going the right way in combating the situation. Now that the situation is going out of control with the increased problem of accommodation in hospitals, service etc and problem of adequate diet to the patient, the same merchant association is demanding lockdown. For what purpose? Business prospects or for what? Instead of lock down, home isolation, and home treatment is preferable. Public would take their own care under the situation. What’s needed is steady supply of essential commodities and price control. Can the district authority ensure that?
বাসুদেব শর্মা, সারা আসাম বাঙালি হিন্দু অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি
সম্পূর্ণ লকডাউনের পক্ষে আমি নই। লকডাউন হলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনগণ এক চরম ভোগান্তিতে পড়বেন। আজ যেখানে কমিউনিটি স্প্রেড হয়ে গেছে, সেখানে লকডাউন করে এই মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এখন কিছুটা হলেও নাগালের মধ্যে, লকডাউন ঘোষণায় দেখা যাবে, শুধু কিছু ব্যবসায়ীর লাভ বা মুনাফা লোটার ব্যবস্থা হয়েছে। সরকারের উচিৎ জনসাধারণকে এই রোগ সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। বিভিন্ন এনজিও-কে দিয়ে এই কাজ করানো উচিত। আমি আরও এক ব্যপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, করোনা ছাড়া যেসব রোগী আছেন তাদের স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা হোক। কারন অনেক রোগী স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। করোনার জন্য অন্যান্য রোগেরও অন্যত্র চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। করোনা পজিটিভ হলেও উপসর্গহীনদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হোক। জনগণ যাতে মাস্ক পরেন এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখেন, তার প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হোক।
রাজীব কর, ডাক্তার
কোভিড-১৯ আটকাতে মানুষের কন্টাক্ট চেন ভাঙার পরামর্শ সেই মার্চ থেকে। লক-ডাউন কাকে বলে আমাদের দেশ হাতে-কলমে শিখেছে। সরকারের চূড়ান্ত দায়িত্ব নিয়ে মানুষ বাঁচানোর দায়বদ্ধতা দেশের মানুষ দেখেছেন। সেই কারণে দেশের সাধারণ মানুষও নিজের এবং পরিবারের সুস্থতার প্রশ্নে দায়িত্ববান হয়ে উঠেছেন ক্রমান্বয়ে। কিন্তু দীর্ঘ লকডাউনে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, শ্রমিক-কৃষক-দিনমজুর, বিভিন্ন ছোট বড় ব্যবসায়ী সহ অগণিত ভারতবাসী করোনা থেকে বাঁচলেও অর্ধাহার-অনাহার থেকে বাঁচতে পারছেন না। ক্ষিদের যন্ত্রণা কিছুটা লাঘব করার জন্য সরকারি-বেসরকারি ভাবে অল্প-বিস্তর চেষ্টা হয়ত হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এটাই ঠিক, করোনা আটকাতে লক-ডাউন কর্মনাশাও বটে। আমি মনে করি আমাদের বরাক উপত্যকার মানুষ আজকের সময়ে অনেকটাই সচেতন। ভালোভাবেই শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করতে শিখে গেছেন সরকারি তত্বাবধানে। কাজেই শিলচর বা কাছাড়ে আর লক-ডাউনের দরকার নেই।
দীপক সেনগুপ্ত, শিক্ষক, অধরচাঁদ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল
আবার লকডাউন? কেন? কোন যুক্তিতে? এই প্রশ্নগুলো শ্রাবণের মেঘের মত মনকে মেঘাচ্ছন্ন করে রেখেছে । ২২শে মার্চের একদিবসীয় কার্ফুর অবসানে একাংশ গণদেবতাদের উল্লাস, জয়ধ্বনি এবং শঙ্খধ্বনির পর দুই পর্যায়ের লকডাউনের বিভীষিকাময় মাসাধিককাল কাটিয়ে আনলক পর্যায়ে এসে আবার লকডাউনে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব কে বা কারা কোন যুক্তিতে করলেন বুঝলাম না। করোনাকে প্রতিহত করতে লকডাউন যে একমাত্র সমাধান নয়, এই কথা ইতিমধ্যে প্রমাণিত। মাসাধিককালের দুই পর্যায়ের লকডাউন করোনাকে কতটা প্রতিহত করেছে, জানি না। তবে অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে জীবন এবং জীবিকাকে বিপন্ন করেছে । অনাহারে মৃত্যু এবং মানসিক অবসাদ করোনা ব্যাধির থেকে কম যন্ত্রণাদায়ক নয় । অপরিকল্পিত লকডাউন এবং অব্যবস্থা অর্থনৈতিক মন্দাকেই আবাহন করেনি শুধু, বিপন্ন হতদরিদ্র মানুষের জীবনকে বিপন্নতর করেছে । অথচ করোনার তীব্রতা তিলমাত্র কমেনি ।
সংক্রমণ প্রতিরোধে দূরত্ব বজায় রেখে বিজ্ঞানকে মেনে বিধি নিষেধ অবশ্যই পালন করা উচিত এবং এই ক্ষেত্রে লকডাউন যতটা কার্যকরী হবে বলে মনে হয়েছিল বাস্তবে কিন্তু ব্যুমেরাং হয়েছে । অন্যদিকে লকডাউনের নিষেধের ঘেরাটোপে অনেকই প্রাণ হারিয়েছেন। আবার কেন লকডাউন? খোলা বাজারে আলু পেয়াজ সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের উর্দ্ধমুখী দাম যে সংকটকে ডেকে এনেছে তার মোকাবিলা না করে আবার লকডাউনের দিকে ঠেলে দেওয়ার কোন যুক্তি দেখি না। তবুও মেনে নিতাম যদি জানতাম সীমিত কয়েকদিনের কষ্ট বৃহত্তর স্বার্থে চিরন্তন সমাধানের রাস্তা বাতলে দিবে । কিন্তু তা হওয়ার নয় । স্বস্তির কোন রূপালী রেখাই দিগন্তে দেখা যাচ্ছে না । বাস্তব পরিস্থিতিতে লকডাউনের বিকল্পকেই সমাধান ধরে সমস্যা মুক্তির পথ অনুসন্ধান করা উচিত।
Tamal Chakraborty, Social activist
Lockdown ? or unlock ? Seeing the increasing number of cases, the rapid growth in Cachar as well as in my neighborhood, it is not so tough to say that people in general are still in ‘who cares’ mood; and that is the sole ‘epicenter’ of spreading the virus, i feel. Because, it is the people who can contain the spread. Administration, government can just help us, not more then that. Main task lies with the people. But what we see actually, we blame the government, we blame administration and we ourselves are actually breaking, disobeying norms. So, here, strict lockdown is the only solution. Not only lockdown, strict implementation is also necessary to make the people understand that they ‘must’ take care, of themselves and of the society.
Again, condition of daily wage earner, labourers, lower and middle-middle class families who literally ‘fight’ day and night just to satisfy their hunger, lockdown is a curse. They are actually fighting with a twin mode of problem, virus and poverty. So where’s the solution ?
I feel, early identification and isolation, lockdown-unlock strategy ( as we have seen in last few days that total unlock maintaining social distancing remains in paper only) and strict action against those who disobey norms can give some result. Let’s identify the law- breakers and boycott them socially. Five months have already passed, still some people are in vacation mood, which is most dangerous then the virus itself !
হিতব্রত ভট্টাচার্য, প্রোগ্রাম এগজিকিউটিভ, আকাশবাণী
লকডাউন অতিমারির ছড়িয়ে পড়া কমিয়ে দেয় বলে একাংশ বিজ্ঞানীর অভিমত। সাদা চোখে বিজ্ঞান নিয়ে ভাবলেও কথাটা সত্যি বলে মনে হয়। কিন্তু বাস্তবে এই করোনাকালে আমরা কী দেখেছি। দেড় মাসব্যাপী লকডাউন সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তকে রুখতে পারেনি। গতমাসে গুয়াহাটির লকডাউনের পরও ফল যথাপূর্বম। কোভিড নিয়ন্ত্রণে লকডাউন বোধহয় আর ব্রহ্মাস্ত্র নয়। বরং লকডাউনে অর্থনীতি ধ্বংস হয়, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় সম্পূর্ণ লকডাউন কখনো কাম্য হতে পারে না। অন্য অস্ত্রগুলো, যেমন মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা এগুলো কঠোরভাবে পালন করতে সবাইকে বাধ্য করাই এখন সময়ের প্রয়োজন।
নিখিল পাল, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্তা
একনাগাড়ে লকডাউন করার পক্ষপাতী আমি নই। কারণ এর আগেও বহু দিন সমগ্র ভারতবর্ষে লকডাউন ছিল। এর ফলস্বরূপ বর্তমান ভারতবর্ষে কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লক্ষের উপর ছাড়িয়ে গেছে। আসামে আজ ৫২ হাজারের উপর হয়ে গেছে।তাই আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে জনগণকে সচেতন করা। আমার মতে, একমাত্র সচেতনতার মাধ্যমেই এই কোভিড আক্রমণকে আমরা রোধ করতে পারব। তাছাড়া, দিনমজুরদের কথা চিন্তা করলে আমার মতে এখন আর একদিনের জন্যেও লকডাউন দেওয়া উচিত নয়। তাছাড়া, সমস্ত ধরনের ব্যবসা বাণিজ্যের কথা বলে তো আর লাভ নেই, খুবই শোচনীয় অবস্থা। ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থাও বিপর্যস্ত।
তবে বর্তমানে শনি-রবি যে লকডাউন চলছে সেটাকে পরিবর্তন করে অন্য যে কোনও দুদিন দেওয়া যেতে পারে। সেটি বিশেষজ্ঞরাই বলতে পারবেন। যদি রোগীদের সরকারি ব্যবস্থায় রাখার জায়গা সংকুলান না হয়, তাহলে উপসর্গহীন রোগীদের হোম আইসোলেশনে রাখার অনুমতি দিয়ে দিলে খুবই ভাল হয়। বর্তমানে তো শিলচর শহরের বেশ কয়েকটি পাড়ায় দেখেছি, হোম আইসোলেশনে থাকার জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট জেলা উপায়ুক্তের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাদের আমি সাধুবাদ জানাই। এটি একটি খুবই ভালো পদক্ষেপ। এরকম প্রতিটি পাড়ায় যদি হোম আইসোলেশনের ব্যবস্থা হয়ে যায়, তাহলে সরকারের উপর চাপ কমবে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিরা বাড়িতে থেকে অতিসত্বর সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমি শিলচর শহরের সকল সংস্কৃতিপ্রেমী জনসাধারণ ও সকল নাগরিকদের আহ্বান করছি, আসুন আমরা সবাই মিলে জনগণকে সচেতন করার কাজে এগিয়ে যাই।
Premangshu Paul Choudhury, Silchar Doordarshan
The word lockdown is not a one dimensional word. Once lockdown is imposed in a country, state or a particular geographical area; it has many implications. It affects the economy, general health etc etc. Lockdown started in India by the end of March, it might have helped us to contain the spread of virus to certain extent. After thoughtful consideration, lockdown was withdrawn in phased manner. Today, when we are in mid-August, stress should be given to make people aware about the importance of social distancing, mask,hand washing and hygiene. We must get adapted to a life with Covid-19. Health facilities should be given highest priority and work should start on war footing. Lockdown at this hour is no solution.
দিলীপ কুমার দে, অধ্যাপক
আজ ৮ আগস্ট, ২০২০। আমি মনে করি, এখন আবার লক ডাউন করার কোন প্রয়োজন নেই। এর পরিবর্তে সচেতনতামূলক প্রচার ও নিয়ম ভঙ্গকারীদের উপর জরিমানা আরোপ করা প্রয়োজন। মাস্ক ছাড়া চলাচল, ভিড় করা, অটো-মোটরসাইকেল প্রভৃতিতে অধিক যাত্রী বহন প্রভৃতির উপর তাৎক্ষণিক জরিমানা আদায় হোক। কিছু লোকের অনিয়মিত চলাফেরার জন্য আমজনতা ভুগবে কেন? জরিমানা আদায়ের টাকা চিকিৎসা খাতে ব্যয় করা হোক। লকডাউনের ফলে মেহনতি মানুষ ও রোগীদের কষ্ট বাড়বে।
ধর্মানন্দ দেব, আইনজীবী
কোভিড-১৯-এর প্রকোপ থেকে সাময়িক পালিয়ে বাঁচবার জন্য যে সময় চুরির কৌশল বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে অবলম্বন করা হয়েছে তারই কেতাবি নাম লকডাউন বা তালাবন্দি। তবে সব দেশ যে ‘লকডাউন’ শব্দটি ব্যবহার করেছে, তেমন নয়। পড়শি দেশ বাংলাদেশ বলেছে ‘গণছুটি’, আবার শ্রীলঙ্কায় ‘কার্ফু’। তা যে নামেই ডাকা হোক না কেন, মোদ্দা কথা হল করোনা সংক্রমণের তীব্রতা কমানোর পাশাপাশি নিজেদের একটু গুছিয়ে নেওয়ার পদ্ধতি। কেন এই গুছিয়ে নেওয়া? জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে লকডাউন আদতে শারীরিক বিচ্ছিন্নতার কথা বলে—যেন ছোঁয়াছুঁয়ি না হয়। করোনা সংক্রমণের অন্যতম মাধ্যম এটিই।
অামরা জানি এক-একটি রাজ্যে এক-এক সময়ে শীর্ষে পৌঁছবে করোনা সংক্রমণ। অর্থাৎ, দেশ জুড়ে একবারে নয়, বরং বিভিন্ন অংশে বিচ্ছিন্নভাবে একাধিকবার (মাল্টিপল) সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটবে করোনার। কারণ ‘মাল্টিপল পিক’-এর অর্থই হল দেশে সংক্রমণের মেয়াদ দীর্ঘায়িত হওয়া। কাছাড়েও করোনার গ্রাফ এখনও ঊর্ধবমুখী। আসাম রাজ্যেও সংক্রমণ পৌঁছেছে মাত্রাছাড়া পর্যায়ে । গোষ্ঠী সংক্রমণের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে তাই এ বার সপ্তাহে দু’দিন করে খাতায়-কলমে সম্পূর্ণ লকডাউন করছে রাজ্য সরকার।
‘দ্য সেন্টার ফর ডিজ়িজ়, ডায়নামিক্স, ইকনমিক্স অ্যান্ড পলিসি’-র ডিরেক্টর রামানন লক্ষ্মীনারায়ণ বলেছেন, এই সংক্রমণ সব জায়গায় সমানভাবে হচ্ছে না বা আগামী দিনেও হবে না। সংক্রমণের হার কোথাও তুলনামূলকভাবে বেশি, কোথাও কম হবে। তাঁর কথায়, উত্তর ও পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে আস্তে আস্তে এপিডেমিক কার্ভ উপরে ওঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফলে সংক্রমণের মেয়াদ স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাবে । তাই এক সাপ্তাহের জন্য হলেও কাছাড় জেলায়ও সম্পূর্ন লকডাউন এখন প্রয়োজন বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।
মানুষের সঙ্গে মানুষের কন্ট্যাক্ট বন্ধ করাই লকডাউনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য। শুধু খাতায়-কলমে লকডাউন হলে সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয় না। যে সব রাজ্যে লকডাউন সফল হয়নি, তাদেরই ভুগতে হয়েছে বা হচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে সমস্ত রাজ্য সফলভাবে লকডাউন করতে পেরেছে, সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। কিন্তু যে রাজ্যগুলির লকডাউন প্রক্রিয়াতেই ফাঁক রয়েছে, সেখানে ধীরে ধীরে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ।
এছাড়াও আমি মনে করি, দূরত্ব-বিধি মানা এবং মাস্ক পরাটা শুধু বাধ্যতামূলক করাই নয়, সেগুলো ঠিকভাবে মানা হচ্ছে কি না, তা দেখা দরকার প্রশাসনের। কিন্তু সেই মনিটরিং ঠিকভাবে হয়নি বলেই সংক্রমণ এ ভাবে ছড়িয়েছে বরাকে বা আরো ছড়াবে।যেখানে একাংশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করেন না, সেখানে মনিটরিং কতটুুকু হবে ভাবলেই অবাক লাগে। উদাহরণ দিয়ে বলতে পারি, বরাকের দৈনিক পত্রিকায় সম্প্রতি একটি ছবি আমার চোখে পড়ে, একটি শিশুকে কোলে নিয়ে মাস্কবিহীন ও কোন দূরত্ব-বিধি না মেনে কাছাড় জেলা প্রশাসনের অভিভাবক ।
যাক, সাতদিনের সম্পূর্ণ লকডাউন হোক এবং সেটা সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কিনা তার দায়িত্ব নিতে হবে কাছাড় প্রশাসনকে। সাতদিন শেষে পরিস্থিতি বিচার-বিবেচনা করে ও কাছাড়ের এপডেমিক কার্ভ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। উল্লেখ্য, আবার তালাবন্দি চলাকালীন ভাইরাস নিজস্ব চারিত্রিক গঠন পালটে দুর্বল হয়েও পড়তে পারে। অর্থাৎ, কার্যকরী লকডাউনের বিকল্পের দিশা এখনও কেউ দিতে পারেনি। আবার কার্যকরী ও দীর্ঘায়িত লকডাউন এবং আর্থ-সামাজিক সংকটের মধ্যেও এক ধরনের স্ববিরোধিতা রয়েছে। সহজ কথায়, লকডাউনে সার্বিক অর্থনৈতিক ক্রিয়াকাণ্ড বন্ধ থাকে, কমে কর্মসংস্থান, খাদ্যদ্রব্য থেকে যাবতীয় উৎপাদন হ্রাস পায়, আরও সংকুচিত হয় আয়ের পরিমাণ, ইত্যাদি। তবুও এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে লকডাউনের উপকারিতা টের পেতে হলে, তার প্রয়োগের মাত্রা ও তীব্রতা যত বাড়বে ততই মঙ্গল।তাই রোগটি তাত্ক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর এমনকি স্বল্প-মেয়াদী হলেও লকডাউন করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে ।এই লকডাউনের সময় স্হানীয় স্বাস্হ্য প্রশাসনকে বেশি সংখ্যায় টেস্ট করতে হবে ঘরে ঘরে গিয়ে এবং সেই সঙ্গে ছোট ছোট হটস্পট এলাকাগুলোতে কড়াকড়ি বাড়াতে হবে। কোথা থেকে অসুখটা দ্রুত ছড়াচ্ছে, তা চিহ্নিত করা জরুরি স্হানীয় স্বাস্হ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ।
পরিশেষে একটাই আর্জি মানুষের এই দুর্দিনে খাতায়-কলমে নয়, মাঠে নেমে অন্তত মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানুক কাছাড় জেলা প্রশাসন । কাছাড়ের সুদিন ফেরাতে না পারলেও আইএএস বা আইপিএস অফিসাররা মানুষের দুর্দিনে মৃল্যবৃদ্ধি রোধ করে অন্তত সহায়ক ভূমিকা পালন করুন, প্লিজ ।
আশু পাল, রক্তদান আন্দোলনের নেতা
করোনা নিয়ে সচেতনতার চেয়ে বিভ্রান্তি বেশি। সরকার, প্রশাসন, চিকিৎসক সমাজ, সোশ্যাল মিডিয়া এবং টেলিভিশন — সবাই বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ দিশাহারা। এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে, লকডাউন করোনা সংক্রমণ রোধে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের দুর্গতি ছাড়া আর কোনো ইতিবাচক কাজই হয়নি লকডাউনে। দুনিয়ার সব দেশেই লকডাউনকে ব্যবহার করা হয়েছে অতিমারী মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। আমাদের দেশে থালা বাজানো হয়েছে। প্রস্তুতি কিছুই হয়নি, হবেও না। সরকারের সেই সদিচ্ছাও নেই। এখন লকডাউন চাইছেন কারা? বড় বড় ব্যবসায়ীদের সংগঠন। টানা এক বছর লকডাউনেও তাদের ভাঁড়ারে আঁচড় পড়বে না। করোনায় না মরুক, না খেয়ে, অন্যান্য অসুখে মরবে সাধারণ মানুষ। দিন আনা দিন খাওয়াদের কথা ভাববে কে? আমি মনে করি, যারা এই প্রস্তাব দিয়েছেন, তারা তাদের দোকান প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে চাইলে রাখুন। সমাজের বাকি অংশে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত থাকুক
Santanu Sengupta, Cultural activist
I am totally against complete lockdown in Cachar distict. If at all necessary, then selecting hotspot areas, local lockdown may be imposed, that too in extreme necessity. We are already under deep financial crisis, specially for those people who are middle class, lower middle class and those below poverty line. They are the most vulnerable people in this pandemic situation. Govt should take note of this and take initiatives to help them in their distress situation. Total lockdown now will create havoc in their lives. We should maintain social distancing, wear mask and also sanitize our hands regularly.
Rotarian Chandana Purakayastha, Social activist
No I don’t think Lockdown is a solution. Social distancing is not at all observed by the common people. Wearing a mask is just a show. Most of the people do not wear mask properly. Wearing face masks properly and hand washing can prevent 70% infection. Administration should be extremely tough to implement these measures.
Niharendu Dhar, Deputy Registrar, Assam University
Lockdown has positive as well as negative impacts. On the positive side, going by the national experience, it was highly successful in containing & reducing the rate of transmission of coronvirus; giving the government the much needed breathing space for preparatory arrangements and development of health infrastructure & logistics for combating COVID-19 and in creating awareness among the masses about the inevitable requirements of maintaining health hygiene ( frequent hand wash/ sanitisation, mandatory wearing of mask), social distancing and avoidance of crowd.
On the negative side, the lockdown has hit the economy hard, resulting in large scale unemployment,drastic downslide in the GDP rate and affecting the poor and daily wage earners severely. Besides, it put a huge drain on government exchequer towards pro-poor welfare measures. Given the above backdrop and spike in the rate of detection of COVID-19 positive cases in Cachar District over the last 10 days or so, I feel that a total lockdown of 7 to 10 days may be extremely helpful in putting a break in the rate of increase in COVID positive cases, especially in view of acute shortage of beds & other facilities in hospitals including SMCH in Cachar District.
Charvak, Associate Professor, Deptt of Mass Communication, Assam University, Silchar’
Instead of total Lockdown, or even Saturday-Sunday-Lockdown in municipal area and early evening and night curfew throughout the district (as is the case now), we can consider of limiting daily curfew to 10pm to 5 am, and doing away with the weekend lockdown, along with shifting the weekly holidays – spreading it across three different days of the week as well as shift in working hours to different time slots within 24 hours for all days for different sections of workforce and establishments which are operational right now.
Since Saturdays and Sundays are already under Lockdown, and other working days are now limited to 6 am to 6 pm, whatever urgent works we all have, we are trying to complete those within this scarcity of available working hours. This is certainly increasing our movement on other days and we are having increased density/frequency of movement of the people of the district during the limited working hours.
Now suppose, some section of the offices and establishments are open during morning 7 am to 3 pm, some other sections are kept open during 10 am to 6pm, and yet some more observes 1 pm to 9 pm working hours, then there will be less people moving outside during any time of the day than the present situation.
Similarly, only some establishment may observe Monday as weekly off, whereas some others may observe Wednesday, and a third group may opt for Friday. That would also decrease the crowd on street as a cascading effect. Observing three different shifts for the existing open establishments along with three different weekly off days for various types of establishment could be a better option for better management of physical distancing.
Vehicle movement could be restricted according to odd even date and registration number.
Dr Jayanta Debroy, Academician
No total lockdown at this moment. It will enhance harassment for the people who earn their livelihood from daily wages. Total Lockdown is not the solution until and unless awareness program at grass-root levels, random test of the disease of every family members is done and precautions and treatment of the disease is arranged by the government and NGOs.
At the same time, maintenance of physical distance, wearing of masks and black marketing should be strictly handled by the administration for the sake of the common people. In my opinion, night curfew is of no use in controlling the disease, rather it effects essential movement of the public and smooth running of small scale business.
Jashobanta Das, Cultural Activist
I strongly demand lockdown at this juncture. Unlock means all people will have to go out in their respective work places. So naturally, people will mingle in their work places. This will result in community spread. So i request the administration to declare atleast 7 to 10 days lockdown in Cachar. Actually, lockdown should have been declared much earlier in this district. If the lockdown is not imposed now, then it will be too late and probably then we will have to pay a heavy price for it. Lockdown is the need of the hour.
Shrestha Paul, College Student
I have a mixed opinion on this. For the last few days, there has been a rapid growth in the covid-19 cases in Cachar, the average cases per day stands at 150+, somewhere a lockdown might be necessary to contain the spread of this disease.
But then again, as per the notice that has been doing rounds on the internet that some Merchant Association has proposed a lockdown is not something which should not be endorsed. In the initial stages of Lockdown 1, there had been a rapid increase in the price of the commodities. Merchant association calling a lockdown seems a bit contradictory with reference to the previous price hike.
It must also be mentioned that a major section of Cachar doesn’t seem to follow the guidelines put forward by the administration. There are several instances wherein I have seen people not wearing the masks properly, which is again a serious matter. With the rise in the covid -19 cases, if the people do not follow the Guidelines then another lockdown would be inevitable.
সুব্রত রায়, নাট্যকর্মী
আমি এই সময়ে পূর্ণ লকডাউনের বিরোধিতা করি। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে, একজন সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে এবং একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আমি যা দেখছি, আমার মনে হয়, এই মুহুর্তে লকডাউনের কোনও দরকার নেই। কারণ করোনা যতটা না মানুষের ক্ষতি করছে, এখন লকডাউন সৃষ্ট আর্থিক সঙ্কটে ক্ষতির মাত্রা হবে পঞ্চাশ গুণ বেশি। এই মানুষগুলো হয়তো করোনা থেকে বেঁচে যাবেন, কিন্তু না খেতে পেয়ে কতদিন বাঁচবেন! বিবাহ ভবন, রিকশাওয়ালা, অটো, বাদ্যশিল্পী, সবজি বিক্রেতা, মাছ বিক্রেতা তারা বড় মুশকিলে পড়বেন। যাদের দোকানে কর্মচারী রয়েছেন, তাঁরা নিজেরা কী খাবেন, কর্মচারীদের কী খেতে দেবেন! তাই লকডাউন অপরিহার্য হলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কী করা, এ নিয়ে ভাবা দরকার।
এখন যে রাতের কার্ফু চলে, এর লাভালাভের জায়গাটাও আমি বুঝি না। সারাদিন আমি ভিড়ের মধ্যে থাকলাম, রাতের বেলায় ঘরে চলে গেলাম। আর আমি সংক্রমিত হলে ঘরে গিয়ে সবাইকে সংক্রমিত করে দিলাম। এর কী যুক্তি! বরং শুরুর যে লকডাউন ছিল, একেই আরও টানলে ভাল হতো।