Barak UpdatesHappeningsBreaking News
সেতুতে গাড়ি ক্রসিং নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে জখম ২২, উত্তাল কাটিগড়ায় সিআরপিএফ টহলPetty conflict between 2 vehicle drivers assume big clash, 22 injured at Katogorah
২৯ এপ্রিল : একটি সেতুর ওপর দুটি গাড়ির ক্রসিং নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠল কাটিগড়া। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন হয়ে ওঠে যে, মারপিটে কম করেও জখম হয়েছেন ২২ জন। এদের প্রথমে কালাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে গুরুতর জখম প্রায় ১০ জনকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিলচর থেকে ছুটে যান ডিআইজি দিলীপ কুমার দে, কাছাড়ের জেলাশাসক বর্ণালী শর্মা, পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র দেবরায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জগদীশ দাস সহ বিশাল পুলিশ ও সিআরপিএফ ব্যাটেলিয়ন। পরে জেলাশাসক দু-পক্ষের কয়েকজনকে নিয়ে বৈঠক করেন। তিনি কড়া ভাষায় এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বৃহস্পতিবার একটি শান্তি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ। কাটিগড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ভৈরবপুর দ্বিতীয় খণ্ডে একটি সেতুর ওপর দুটি ছোট গাড়ি ক্রস করতে গিয়ে ধাক্কা লেগে যায়। এ নিয়েই প্রথমে দুই গাড়ি চালঅকের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কিন্তু সে সময় এলাকার মানুষ সেখানে জড়ো হয়ে তাদের ঝগড়া মিটমাট করে দেন। কিন্তু এর একটু পরেই এই দুই চালকের সূত্র ধরে তাদের পক্ষের লোকজন সেখানে ছুটে আসেন। মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দু-পক্ষের অনেকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক পক্ষ অন্যপক্ষের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে জখম হন কম করেও ২২ জন। প্রথমে তাদের কালাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। জানা গেছে, জখম ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জনকে শিলচর পাঠানো হয়। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে, প্রায় ২০০-২৫০ লোকের জমায়েত ও সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কাটিগড়া পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নেমে পড়েন সার্কল অফিসার মদিরা বেগম। ততক্ষণে খবর পৌছায় শিলচরে। দলবল নিয়ে কাটিগড়া ছুটে যান ডিআইজি দিলীপ কুমার দে, পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র দেবরায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জগদীশ দাস। তাদের নেতৃত্বে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ ও সিআরপিএফ বাহিনী।
অন্যদিকে বেলা তিনটে নাগাদ কাটিগড়া পৌছান জেলাশাসক বর্নালী শর্মা। ঘটনাস্থলে যান কাটিগড়ার বিধায়ক অমরচাদ জৈনও। তাঁদের উপস্থিতিতে স্থানীয় বীণাপানি এমই স্কুলে দুই সম্প্রদায়ের লোকদের নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা বর্তমান দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে এমন ঘটনার নিন্দা জানান। তাঁরা জানিয়ে দেন, এই ঘটনার তদন্তের পর দোষী কাউকে ছাড়া হবে না। এর পাশাপাশি বৃহস্পতিবার এলাকায় একটি শান্তি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।