Barak UpdatesBreaking News
এনআরসিঃ আরও নথি সংগ্রহ করে রাখুন, পরামর্শ ধর্মানন্দেরNRC: Advocate Dharmananda Deb advises to keep more documents at hand
২১ জুলাইঃ আগামী দিনগুলি বড় অন্ধকার। কার ভাগ্যে কী লেখা রয়েছে, বলা মুশকিল। এনআরসি-র খসড়ায় নাম রয়েছে বলে যারা নিশ্চিত রয়েছেন, চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশের তাদের অনেকের রাতের ঘুম উড়ে যেতে পারে। তাই এনআরসি-তে নাম থাক বা না থাক, এখন থেকেই অতিরিক্ত নথি সংগ্রহ করে রাখতে পরামর্শ দিলেন আইনজীবী ধর্মানন্দ দেব।
রবিবার বরাক উপত্যকা বঙ্গসাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের শিলচর শহর আঞ্চলিক সমিতি আয়োজিত জগন-যিশু স্মরণানুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি। বঙ্গভবনের কনফারেন্স হলে শহিদদ্বয় স্মরণে সম্ভাব্য এনআরসি-ছুটদের ভবিষ্যত শীর্ষক বক্তৃতা হয়। নির্ধারিত বক্তা হিসেবে ধর্মানন্দবাবু বলেন, এনআরসি নিয়ে গত তিনবছরে মানুষ নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার। এ বার এনআরসি-তে যাদের নাম থাকবে না, তাদের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে গিয়ে নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে। সে বিষয়টি মোটেও সহজ নয়। উকিল-মোক্তার ধরাধরি তো রয়েছেই, এর ওপর ট্রাইব্যুনালের সদস্য-বিচারকরা যে কোনও নথিতে বিবেচনার অগ্রাহ্য বলে দিতে পারেন। এনআরসি-তে যেমন লিগ্যাসি আর লিঙ্কেজ দিলেই চলেছে, ট্রাইব্যুনালে তা হবে না।
সদস্য-বিচারকরা যে কোনও ধরনের নথি চেয়ে বসতে পারেন। তাই ধর্মানন্দবাবুর পরামর্শ, সবাই যতবেশি পারা যায়, নথি সংগ্রহ করে রাখলে ভালো। নাম উঠে গেলেও নথি রাখায় ক্ষতির কিছু নেই। না উঠলে সেগুলি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কারণ ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার জন্য মাত্র ৬০দিন সময় দেওয়া হবে। তখন একেকটি নথি সংগ্রহেই মাস পেরিয়ে যেতে পারে। তবে তখন যে লিগ্যাসি পরিবর্তনের সুযোগ মিলবে, একেই একটা পজিটিভ বিষয় বলে মন্তব্য করেন ধর্মানন্দবাবু।
সভার আরেক নির্ধারিত বক্তা বঙ্গ সাহিত্যের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ আশিসকুমার চৌধুরী এনআরসি-র বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, এনআরসি করতে গিয়ে বহু জায়গায় প্রচলিত আইনকে উল্লঙ্ঘন করা হয়েছে। একেক সময় একেক রীতি অবলম্বন করা হয়েছে। আবার মনগড়াভাবেও বহু বিষয়কে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গ সাহিত্যের শিলচর আঞ্চলিক সমিতির সভাপতি সঞ্জীব দেবলস্কর প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন। শুভদীপ আচার্য খালি গলায় মোদের গরব, মোদের আশা গানটি গেয়ে শোনান। নির্ধারিত বক্তাদের বক্তৃতার পর আলোচনায় অংশ নেন তৈমুর রাজা চৌধুরী, দীপক সেনগুপ্ত, অনিল পাল প্রমুখ।