Barak UpdatesAnalyticsBreaking News

আইএনএ-তে উত্তর-পূর্বের অবদান স্মরণ করলেন কপিল কুমার
Northeast India has immense contribution towards INA: Kapil Kumar

১২ মার্চঃ আজাদ হিন্দের ফাইলগুলি এখন আর মোড়কবন্দি নয়। বহু ফাইল খুলে দেওয়া হয়েছে। আগ্রহী গবেষক, ইতিহাসবিদরা সেগুলো পড়ছেন, ঘাঁটছেন। তাতেই নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। ওইসব তথ্যের ভিত্তিতে শিলচরে এসে ইতিহাসবিদ কপিল কুমারের দাবি, আজাদ হিন্দ ফৌজে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের বিরাট অবদান ছিল। কিন্তু ইতিহাসে এর উল্লেখ নেই বলে আক্ষেপ ব্যক্ত করেছেন দিল্লির আইএনএ মিউজিয়ামের কনভেনার কপিল কুমার। তিনি বলেন, মণিপুরি, মিজো, নাগা এবং উত্তর-পূর্বের বাঙালিরা নেতাজির বাহিনীকে প্রভূত সাহায্য করেন। সে জন্য তিনি এই অঞ্চল দিয়ে ভারতে ঢোকার পরিকল্পনা করেছিলেন। মণিপুরের মৈরাঙে স্বাধীন ভারতের পতাকা তুলেছিলেন। আজাদ হিন্দ বাহিনীতে প্রচুর বাগানশ্রমিক ছিলেন বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, ইম্ফলের লড়াইয়ে নিহতদের এক বড় অংশ তামিলনাড়ুর কুলি। কপিল কুমারের বিশ্বাস, আরও কিছুদিন সময় লাগবে। আজাদ হিন্দের ইতিহাস নতুন করে লেখা হবে।

আজাদ হিন্দ ফৌজের ৭৫ বছর উপলক্ষে সোমবার বঙ্গভবনে আলোচনা সভার আয়োজন করে বরাক উপত্যকা বঙ্গসাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কাছাড় জেলা সমিতি। শুরুতেই সম্মেলনের শিলচর আঞ্চলিক সভাপতি সঞ্জীব দেবলস্কর বলেন, আজাদ হিন্দ ফৌজ উত্তর-পূর্ব প্রান্তেই প্রথম এসেছিল। ফলে নেতাজি ও তাঁর ফৌজকে নিয়ে জানার বেশ আগ্রহ রয়েছে এই অঞ্চলে। সেখান থেকেই আইএনএ গবেষক কপিল কুমারকে ডেকে আনা। অধ্যাপক কপিল  কথায় কথায় নেহরু ও বামেদের দোষারোপ করলেও বঙ্গভাষীদের আবেগের জায়গাটা সারাক্ষণ ধরে রাখেন। শুরুতেই বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কেউ বলেন বিশ্বকবি, কেউ বলেন কবিগুরু। তিনি মনে করেন, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন মহাবিপ্লবী। তাঁর নাইট উপাধি ত্যাগ এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। নেতাজি ও কবিগুরুর মধ্যে বেশ কয়েকবার সাক্ষাত হয়েছে। কিন্তু কী কথা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে, কেউ জানেন না। অধ্যাপক কপিলের বিশ্বাস, কবিগুরুর কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন নেতাজি সুভাষ।

মৈরাঙের লড়াই ইতিহাসে নেই কেন, প্রশ্ন করেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান স্টাডিজ (মাকাইজ)-এর চেয়ারম্যান সুজিতকুমার ঘোষও। তিনি বলেন, এক হাজারের বেশি শহিদ হয়েছেন সেই লড়াইয়ে। মাকাইজ এখন সেই কাজেই হাত দিয়েছে। মণিপুর সরকারের সহায়তায় ১৪ এপ্রিল মৈরাঙে সেমিনার করবে।

আজাদ হিন্দ ফৌজের ৭৫ বছর এবং জালিয়ানওয়ালা বাগের ঘটনা উপলক্ষে বছরভর অনুষ্ঠান চলবে বলে জানিয়েছেন সুজিতবাবু। অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন কাছাড় জেলা সভাপতি তৈমুর রাজা চৌধুরী। সঞ্চালনায় ছিলেন অমলেন্দু ভট্টাচার্য।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker