Barak UpdatesHappeningsBreaking News
Patients are dying due to break up of health infrastructure, Sushmita Dev allegesকোভিড সামলাতে গিয়ে কাছাড়ে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে, অভিযোগ সুস্মিতার
It's not the time to uphold an 'Assam Model' but to help patients to live & not die: former MP
৪ আগস্টঃ কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে কাছাড়ের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। এমনই অভিযোগ কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেবের। তিনি মঙ্গলবার জেলাশাসক কীর্তি জল্লির সঙ্গে দেখা করে সরাসরি বলেন, একদিকে কোভিড আক্রান্তদের অভিযোগের শেষ নেই। অন্যদিকে অন্য রোগের ক্ষেত্রে চিকিতসাই মিলছে না। একের পর এক বিনা চিকিতসায় মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। তিনি সাম্প্রতিক দুটো ঘটনার উদাহরণ টেনে জেলাশাসককে জানান, একমাত্র স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অভাবে প্রাণ হারালেন বিলপারের সায়ন দাস ও বড়খলার মাসুদ আহমেদ লস্কর। প্রথমে করোনা টেস্টের জন্য, পরে রিপোর্টের অপেক্ষায় অকালে ঝরে গেল দুই-দুটি তরুণ তাজা প্রাণ। সুস্মিতাদেবীর কথায়, সম্পূর্ণ বিনা চিকিতসায় মারা গেলেন তাঁরা। এর সমাধান হিসেবে তাঁর পরামর্শ, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কোভিড টেস্টের অনুমতি দেওয়া হোক।
জেলাশাসকের সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সংক্রান্ত আলোচনায় সামিল হন প্রাক্তন মন্ত্রী অজিত সিংহ এবং জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিজিত পালও। শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ তথা মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি সুস্মিতা দেব বলেন, কোভিড ওয়ার্ডগুলির স্বচ্ছতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। মহিলাদের জন্য পৃথক ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে সুস্মিতাদেবী এক মহিলার ফোনের কথা জানান। তাঁকে ফোন করে এক কোভিড আক্রান্ত মহিলা জানান, চক্ষু বিভাগে যেখানে তাকে থাকতে দিয়েছে, সেখানে পুরুষরা তো রয়েছেই, শৌচাগারের দরজা নেই।
শিলচর জেলা কংগ্রেস কমিটির পক্ষ থেকে তাঁদের আরও দাবি, যখনই কারও রিপোর্ট নেগেটিভ এল, তখনই তাঁকে সরিয়ে অন্যত্র রাখার ব্যবস্থা হোক। পরে ডিসচার্জ বোর্ড অনুমোদন জানালে সেখান থেকে ছাড়া হোক। নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পর একমুহুর্তও তাদের পজিটিভদের সঙ্গে রাখা ঠিক নয়।
আরও একটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন তাঁরা। পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরও ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়, রোগীদের জানানোই হয় না। আর বাড়ি থেকে তুলে আনার তো কেনও সময়সীমা নেই-ই। মানুষ একে রিপোর্ট জানতেই পারেন না, আবার জানলেও পজিটিভ হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘরে বসে থাকতে হয়। আর কোভিড ওয়ার্ডে গিয়ে তাঁদের খাবার নিয়েও ভুগতে হয়। এই সব বিষয়ে তাঁরা জেলাশাসককে দ্রুত পদক্ষেপ করতে আর্জি জানান।