Barak UpdatesHappeningsAnalytics
লকডাউনের সঙ্গে কতটা সম্পর্ক বক্তারের মৃত্যুর!Mystery intensifies: SP opines constable died due to stroke, family alleges lynched
২৮ মার্চ: বক্তারউদ্দিন বড়ভুইয়ার সঙ্গে কী নিয়ে বিবাদ বাঁধল? করোনা সংক্রমণের সতর্কতায় ঘোষিত লকডাউনের সঙ্গে কি কোনও সম্পর্ক রয়েছে তাঁর মৃত্যুর? শেষপর্যন্ত কীভাবে মৃত্যু ঘটল ওই পুলিশ কনস্টেবলের?
এই সব প্রশ্নে বিভিন্ন ধরনের চর্চা চলছে৷ এ কথা ঠিক, আসাম টি সিকিউরিটি ফোর্সের কনস্টেবল বক্তারউদ্দিনের কর্মক্ষেত্র সোনাবাড়িঘাট নয়৷ তিনি বিন্নাকান্দি চা বাগানে কর্মরত ছিলেন৷ সেখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসছিলেন৷ তাঁকে তেজপুরে বদলি করা হয়েছিল৷ এক পক্ষের বক্তব্য, তিনি আর দশজনের মতই সোনাবাড়িঘাটে বাজার করতে ভেতরে ঢুকছিলেন৷ তখনই বিবাদ বাঁধে৷ ফলে এর সঙ্গে লকডাউনের সম্পর্ক নেই৷
কিন্তু বক্তারউদ্দিনের পরিজনদের দাবি, তিনি মোটর সাইকেল থেকে নেমে বাজারে ঢুকতে গিয়ে লোকজনদের ভিড় দেখে সচেতন পুলিশকর্মী হিসাবেই লকডাউন, করোনা ইত্যাদি নিয়ে সতর্ক করছিলেন৷ এ থেকেই বিবাদের সূত্রপাত৷ আলম মজুমদার ও তার বাড়ির অন্যরা মিলে তার সঙ্গে তর্ক জুড়ে৷ পরে একসময় মোটা লাঠি দিয়ে বক্তারউদ্দিনের ঘাড়ে মারে৷ তিনি পড়ে যান৷ খবর পেয়ে পরিজনরা ছুটে সোনাবাড়িঘাটে গেলে তিনি আলম মজুমদার সহ অন্যান্যদের নাম উল্লেখ করেন৷ শেষে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়৷
পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র দেবরায় অবশ্য লকডাউনের সঙ্গে মৃত্যুর সম্পর্কের কথা উড়িয়ে দেন৷ তিনি গণপিটুনির কথাকেও গুজব বলে উল্লেখ করেন৷ তাঁর কথায়, প্রাথমিক তদন্তে বক্তারউদ্দিনের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই৷ তাই অনুমান করা হচ্ছে, উচ্চ রক্তচাপে তার মৃত্যু হতে পারে৷ মৃতদেহ মেডিক্যাল কলেজে ময়না তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে৷ এর রিপোর্ট পেলেই প্রকৃত কারণ জানা যাবে৷ পুলিশ সুপার আরও জানান, এই মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে৷
Also Read: Clash at Sonabarighat, 1 dies in lynching…সোনাবাড়িঘাটে বিবাদ, পিটুনিতে মৃত ১