Barak UpdatesHappeningsBreaking News
মাধ্যমিকের কৃতীদের সংবর্ধনা জানালেন দীপায়নMLA Dipayan Chakraborty felicitates meritorious students
১২ জুন : খুব সুন্দর ছিমছাম আয়োজনে রবিবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিলচর শহর এলাকার মাধ্যমিকে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা জানালেন বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। ৯০ শতাংশের উপর যারা পেয়েছে, সেইসব সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের এ দিন উত্তরীয় পরিয়ে ও সম্মানফলক তুলে দিয়ে আগামী জীবনে এগিয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন বিধায়ক সহ উপস্থিত সবাই। আর কৃতীদের মধ্যে অতি অবশ্যই ছিল এ বার মাধ্যমিকে বরাক উপত্যকা থেকে একমাত্র মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া শিলচর হলিক্রস স্কুলের বিশ্বদীপ নাথ।
এই কৃতীদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি শিলচরের তিনটি স্কুলকে ১০০ শতাংশ পাশের জন্য সম্মান জানানো হয়। এই তিনটি স্কুল হচ্ছে, শিলচর হলিক্রস স্কুল, ডেফোডিলস স্কুল ও সরস্বতী বিদ্যানিকেতন। সব মিলিয়ে এ দিন ৭৪ জনকে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে।
শিলচর হাসিখুশি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মঞ্চেও এ দিন ছিল জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ছড়াছড়ি। ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, শিলচর এনআইটির ডিরেক্টর শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়, পুলিশ সুপার রমণদীপ কৌর, অতিরিক্ত জেলাশাসক দীপক জিডুং, পত্রিকা সম্পাদক তৈমুর রাজা চৌধুরী এবং অবশ্যই বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। উপস্থিত সকলে এ দিন কৃতী পড়ুয়াদের হাতে সংবর্ধনা ফলক তুলে দিয়েছেন।
এ দিন পড়ুয়াদের সংবর্ধনা জানানোর ফাঁকে ফাঁকে ছিল অতিথিদের বক্তব্য। প্রত্যেক বক্তাই পড়ুয়াদের উতসাহিত করার পাশাপাশি তাদের আগামী জীবনের জন্য শুভেচ্ছা ও আশিস জানিয়েছেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে কবীন্দ্র পুরকায়স্থ বলেছেন, যে পড়ুয়ারা ভাল ফল করেছে, তাদের জন্য নিজেদের পরিবার, বন্ধুবান্ধব এমনকি গোটা সমাজ গর্বিত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রত্যেক কৃতীকে আগামী দিনে নিজের দেশ মাতৃকার কথা ভাবতে হবে। কীভাবে দেশের গোয়্রব আরও বাড়ানো যায়, সে চেষ্টা করে যেতে হবে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৈমুর রাজা চৌধুরী বলেন, সরকারি বিদ্যালয়ের আগে যে ঐতিহ্য ছিল, এ বার তা পুনরায় ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি ইংরেজি ভাষায় পড়াশোনায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এর পাশাপাশি মাতৃভাষা চর্চার ওপরও জোর দেন।
এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে এনআইটির ডিরেক্টর শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বরাক উপত্যকায় এসে তিনি দেখতে পেয়েছেন, এখানে শিক্ষা ও সংস্কৃতি সমানভাবে এগিয়ে চলেছে, যা একটি অঞ্চলের ভিত্তি ঠিক করে দেয়। তিনি বলেন, আজকের এই পড়ুয়ারা ভবিষ্যতে যেখানেই যাক না কেন, তাদের শেকড় বিচ্ছিন্ন হলে চলবে না। যে জায়গা থেকে তারা গিয়েছে, সেই জায়গাটাকে খেয়াল রাখতে হবে। এদ ইন পুলিশ সুপার রমনদীপ কৌর ও এডিসি দীপক জিডুংও বক্তব্য রাখেন। সবশেষে ধন্যবাদ জানান বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে এ দিন রোবট নির্মাতা স্কুল পড়ুয়াকেও সম্মান জানানো হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রুমলি চক্রবর্তী ও সমর্পিতা ভট্টাচার্য।