NE UpdatesBarak UpdatesHappenings
ফের কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ, জওয়ান সরিয়ে নিতে সম্মত মিজোরামMizoram agrees to remove forces after Centre’s re-intervention
৮ নভেম্বরঃ ফের আসাম ও মিজোরামের মুখ্যসচিবদের নিয়ে ভিডিও-বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে দুই রাজ্যের বক্তব্য শোনেন। এর আগেও তিনি একইভাবে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করেন। কিন্তু কাজে আসেনি। এ বার অবশ্য আলোচনার আগেই দুই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে দেন। তাদের কোথায় মোতায়েন করা হবে, তাও উভয় পক্ষের সম্মতিতে চূড়ান্ত হয়। এর পরই তাঁর প্রস্তাব, এ বার সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা কেন্দ্রীয় বাহিনীই দেখভাল করবে। ফলে ওই এলাকায় রাজ্যের কোনও জওয়ান থাকবে না। তাতে সম্মত হতে হয় মিজোরামকে। মুখ্যসচিব এল চুয়াঙ্গো কথা দেন, তারা সীমান্ত থেকে জওয়ানদের সরিয়ে আনবেন। আসামের মুখ্যসচিব জিষ্ণু বরুয়া জানিয়ে দেন, সে ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহারে কোনও সমস্যা হবে না। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে।
পরে মিজোরামের মুখ্যসচিব আইজলে সাংবাদিকদের জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীই যখন উভয় রাজ্যের সীমান্তে পাহারা দেবে, ফলে তাদের জওয়ানদের ফিরিয়ে আনতে আর সমস্যা রইল না। বারোদিন ধরে অর্থনৈতিক অবরোধ চলার প্রেক্ষিতে কেন্দ্র যে আন্তরিক পদক্ষেপ নিয়েছে, তিনি তাতে সাধুবাদ জানান।
মু্খ্যসচিব চুয়াঙ্গো বলেন, কেন্দ্র তিন কোম্পানি বিএসএফ পাঠিয়েছে। দুই কোম্পানি থাকবে কলাশিব জেলার ভাইরেংটি ও সাইহাপুইয়ে। আরেক কোম্পানি রাখা হবে মামিত জেলার থিংলুনে। আসামের দিকেও তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হচ্ছে।
তবে অর্থনৈতিক অবরোধে সরকার কুঁকড়ে যায়নি, তা বোঝাতে চুয়াঙ্গো সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা আবশ্যকীয় সামগ্রী পরিবহনের জন্য প্রতিবেশী রাজ্যের সঙ্গে কথাবার্তা সেরে নিয়েছিলেন। কথা হচ্ছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে পণ্য আনা নেওয়া নিয়েও। এ দিনের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব এবং দুই মু্খ্যসচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দুই রাজ্যের পুলিশ প্রধান ভাস্করজ্যোতি মহন্ত ও এসবিকে সিং, স্বরাষ্ট্র সচিব জিডি ত্রিপাঠি ও লালবিয়াকসাঙ্গি প্রমুখ।