Barak UpdatesHappenings
Mismanagement at Karimganj hospital, MLA sits for dharnaকরিমগঞ্জ হাসপাতালে অব্যবস্থা, ধরনা দিলেন বিধায়ক
৮ ফেব্রুয়ারি: ১০০ শয্যার হাসপাতালে আছে রোগী ভর্তি হতে পারেন মাত্র ৪৮জন৷ বাকি ৫২ জনের ব্যবস্থা, নামেই সীমিত৷ এখনও অর্ধেক শয্যা তৈরি হয়নি৷ কবে হবে, তারও ইয়ত্তা নেই৷ আবার ৪৮ শয্যায় রোগী ভর্তি করা হলেও নেই ন্যূনতম সংখ্যক ডাক্তার৷ নার্স নেই, ঔষধও নেই৷ সদ্যোজাত শিশুদের চিকিৎসায় অব্যবস্থা একদম চরমে৷ একই হাল প্রসূতিদের চিকিৎসাব্যবস্থাও৷ প্রতিবাদে ধর্নায় বসলেন উত্তর করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ l সঙ্গে করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস৷
পরপর তিনবার তারিখ বদল করে শেষে মাস ছয়েক আগে ঘটা করে করিমগঞ্জের মা ও শিশুদের জন্য একশ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি অসামরিক হাসপাতালের তিনতলা বিশিষ্ট নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা l হাসপাতালে মা ও শিশুর জন্য ভবন হলেও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাবে নানা সমস্যায় রোগীরা l
হাসপাতাল চত্ত্বরে বিধায়কের নেতৃত্বে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের দুঘন্টার ধর্নায় অবশ্য টনক নড়ে জেলা প্রশাসন ও রাজ্য স্বাস্থ্যকর্তাদের৷ টেলিফোনে সাত দিনের সময় চেয়ে ধর্না প্রত্যাহার করালেন রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগের কমিশনার অনুরাগ গোয়েল l
বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বলেন, মাস ছয়েক আগে অসম্পূর্ণ হাসপাতালের উদ্বোধন করে মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, করিমগঞ্জ হাসপাতালে রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সব ধরনের আধুনিক মেশিন আনা হয়েছে l থাকবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধের ব্যবস্থাও l বাস্তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কথার সঙ্গে কাজের কোনও মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না l মন্ত্রী করিমগঞ্জের নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন l কমলাক্ষ বলেন, রোগী সংখ্যার তুলনায় বেড, চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা একদম কম৷ ফলে মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেনl বিধায়কের আরও অভিযোগ, সামান্য এদিক-সেদিক হলেই করিমগঞ্জ থেকে রেফার করে দেওয়া হয় শিলচরে l অনেক রোগীর পরিবার অর্থের অভাবে শিলচরে নিয়ে যেতে পারেন না l ফলে অনেক রোগীকে প্রাণ দিতে হয় l
বিধায়ক কমলাক্ষ বিষ্মিত, মা ও শিশুর জন্য নির্মিত ভবনটিতে শুধু নিচের তলায় রোগীর চিকিৎসা চলছে৷ উপরের দুই তলা রোগীদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে নাl এ ছাড়া, করিমগঞ্জ হাসপাতালে রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টের সঙ্গে গুয়াহাটির রিপোর্টের অনেক ফারাক ধরা পড়ে৷ বিধানসভার আগামী অধিবেশনে তিনি ওইসব অব্যবস্থার প্রসঙ্গ তুলবেন বলেও কমলাক্ষ এ দিন সাংবাদিকদের জানান৷ বিধায়ক বলেন, গর্ভবতী রোগীকে হাসপাতালের মেঝেতে রাখার খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে ছুটে যান৷ দেখেন, চরম অব্যবস্থা৷ তখনই কগ্রেসের নেতা কর্মীদের নিয়ে ধর্নায় বসেন l পরে হাসপাতালে ছুটে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক সহ হাসপাতালের যুগ্ম সঞ্চালক ডা:অনুপ দৈত্যারি ও হাসপাতাল সুপার অরুণাভ চৌধুরী৷ রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগের কমিশনার অনুরাগ গোয়েল, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সমীর সিনহা এবং এনআরএইচএমের ম্যানেজিং ডিরেক্টার এস লক্ষণন ফোনে কথা বলেন৷ ৭ দিনের মধ্যে সমস্যাগুলি সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন কমিশনার গোয়েল৷ এর পর তাঁর আবেদনে ধর্না প্রত্যাহার করেন কমলাক্ষ সহ কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরাl
এদিকে করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস সভাপতি সতু রায় বলেন, যদি সাতদিনের মধ্যে করিমগঞ্জ হাসপাতালের সমস্যার সমাধান না হয় তা হলে জেলা ভিত্তিক আন্দোলন করা হবে l সতুবাবু বলেন, করিমগঞ্জ হাসপাতালে নার্স ট্রেনিং সেন্টারে করিমগঞ্জের শিক্ষিত মেয়েদের ভর্তি করানো হয় না l নিযুক্তির ক্ষেত্রে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীও জেলার বাইরে থেকে দেওয়া হয় l আমরা সরকারের এই সীমান্ত জেলার প্ৰতি চরম বৈষম্য মেনে নিতে পারছি না l
হাসপাতালের যুগ্ম সঞ্চালক ডা:অনুপ দৈত্যারি জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা ও নার্সের সমস্যা অনেক আগেই৷ এখনই কম করে কুড়ি জন নার্স দিতে হবে করিমগঞ্জ হাসপাতালে৷