Barak UpdatesBreaking News
কালীপূজার মুখে ডুবল শহরMini flood at Silchar on the eve of Kali Puja
২৬ অক্টোবরঃ বৃষ্টি আর বৃষ্টি। ঝরছে তো ঝরছেই। সেই সকাল থেকে শুরু হয়েছে। সারাক্ষণ। একেবারে ঝমঝমিয়ে। কালীপূজার মুখে এমন বর্ষণ! অনেকেই বলছেন, এমনটা আগে দেখিনি। দুর্গাপূজা-লক্ষ্মীপূজায় কখনও কখনও হয়। কিন্তু তা কখনও কালীপূজা পর্যন্ত এগোয় না। দিনভর এতটাই বৃষ্টি যে, কালীপূজার মুখে শহর জলে ডুবছে। গোটা শিলচর জুড়ে জল আর জল। চার্চ রোড, অম্বিকাপট্টিতে স্রোতে জল বইছে। জলে ভাসছে প্রেমতলা, নাজিরপট্টি, শিলংপট্টি। লিংকরোডের অধিকাংশ গলি-উপগলিতে কৃত্রিম বন্যার চেহারা।
শহরেও বহু বাড়িঘর, দোকানপাটে জল ঢুকে পড়েছে। ন্যাশনাল হাইওয়ের ডানে-বামে অনেক জায়গা নদীর চেহারা নিয়েছে। পঞ্চায়েত রোডেরও বড় অংশ জুড়ে থইথই অবস্থা। কনকপুর, খালপার অঞ্চলেও একই হাল। সঙ্কটে কালীপূজার আয়োজকরা। বহু পূজাকমিটি খোলা আকাশের নীচে নিজেদের থিম ফুটিয়ে তোলে। তাদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। বহু মণ্ডপ সরিয়ে নিতে হচ্ছে। বৃষ্টির দরুন শেষমুহূর্তের চাঁদা আদায়, কেনাকাটা সবই বাধাপ্রাপ্ত। ভুগতে হয়েছে পরম্পরা মেনে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে চৌদ্দবাতি ভাসাতে গিয়েও। ঘর থেকে বেরনোর উপায় নেই বাতি জ্বালিয়ে ভাসাবে কী করে!
উদ্বেগে দূরে থাকা ভাইবোনেরাও। ভাইফোঁটার জন্য শেষপর্যন্ত বেরনো সম্ভব হবে কিনা, তাও দুশ্চিন্তার। অকালবর্ষার জন্য এ দিনে তিনটি বিমান কুম্ভীরগ্রামে নামতে পারেনি। ফলে দুর্ভোগে যাত্রীরা। রেল যথারীতি চললেও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সেই সঙ্গে চিন্তা বাড়ছে অভ্যন্তরিণ পরিবহন ব্যবস্থায়। অনেক রাস্তাই জলে ডোবা। এইভাবে বৃষ্টি হতে থাকলে রবিবার বহু রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়বে।