Barak UpdatesHappeningsBreaking News
মেয়াদ পেরোলেও মন্ত্রক ঘুমে, উপাচার্যের কাজ চালিয়ে যাবেন দিলীপ নাথইMHRD in deep slumber, Dilip Nath to continue as VC of Assam Univ even after his tenure
ওয়েটুবরাক, ১৫ মেঃ উপাচার্য পদে অধ্যাপক দিলীপচন্দ্র নাথের আজ ১৫ মে-ই ছিল শেষ কর্মদিবস। স্থায়ী উপাচার্য নিযুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ায় তিনি কাকে দায়িত্ব দিয়ে যাবেন, তা তিনি নিজে যেমন মন্ত্রক বা ইউজিসির কাছে জানতে চাননি, তেমনি এতদিন জানতে চায়নি এগজিকিউটিভ কাউন্সিলও। এমনকী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিজেরাও খেয়াল করেননি, একজন উপাচার্যের মেয়াদ ফুরোচ্ছে, তিনি এখন কাকে দায়িত্ব দিয়ে যাবেন। ফলে আজ শেষদিনে এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য বৈঠক হওয়ায় দিলীপবাবু তাতে পৌরোহিত্য করেননি। পৌরোহিত্য করেছেন সহকারী উপাচার্য শিবাশিস বিশ্বাস। রেজিস্ট্রার প্রদোষকিরণ নাথ জানিয়েছেন, সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত দিলীপবাবুই কাজ চালিয়ে যাবেন। উপাচার্য নিয়োগ হলে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন দিলীপবাবু। তবে এর আগেই যদি তাঁর সত্তর বছর বয়স হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে তাঁকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত মন্ত্রককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত, এর ব্যাখ্যা দিয়ে প্রদোষবাবু বলেন, এই ধরনের পরিস্থিতিতে বিদায়ী উপাচার্যের কী করণীয়, কোথাও স্পষ্ট করে কিছু লেখা নেই। সে জন্য এগজিকিউটিভ কাউন্সিল দিলীপবাবুকেই কাজ চালিয়ে যেতে বলেছে। তবে তা নির্ভর করবে এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তে মন্ত্রকের অনুমোদন পাওয়ার ওপর। অবশ্য মন্ত্রকের অনুমোদন পাওয়ার আগে পর্যন্ত দিলীপবাবুই উপাচার্য থাকছেন।
প্রসঙ্গত, স্ট্যাট্যুইটের ২.৪ অনুচ্ছেদে উপাচার্যের কার্যকালের উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, একজন উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর হবে তাঁর কার্যকাল। তবে এর আগে সত্তর বছর বয়স হয়ে গেলে তখনই তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ফুরোবে। সত্তর বছর না হলে তিনি আবার দ্বিতীয় বারের জন্য নিযুক্তি পেতে পারেন। সেই পুনর্নিযুক্তির মেয়াদ পেরনোর সময় তিনি নতুন উপাচার্যের নিযুক্তি পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন। তবে ভিজিটর কোনও উপাচার্যকে তাঁর মেয়াদ পেরনোর পরও কাজ চালিয়ে যেতে বলতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তিনি সর্বোচ্চ আরও এক বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
উপাচার্যের দায়িত্বপ্রদান নিয়ে আরও কিছু কথার উল্লেখ রয়েছে স্ট্যাট্যুইটের ২.৬ অনুচ্ছেদে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনও উপাচার্যের মৃত্যু বা পদত্যাগ অথবা অসুস্থতার দরুন বা অন্য কোনও কারণে তিনি কাজ চালিয়ে যেতে অক্ষম হলে সহকারী উপাচার্য উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন। যদি সহকারী উপাচার্য না থাকেন, সে ক্ষেত্রে বরিষ্ঠতম বা সিনিয়র মোস্ট অধ্যাপক হবেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। নতুন উপাচার্য নিযুক্তি বা পুরনো উপাচার্যের দায়িত্বে ফিরে আসা পর্যন্ত তিনিই কাজ চালিয়ে যাবেন। অর্থাত ২.৬ অনুচ্ছেদে শুধুই বিশেষ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের পরিস্থিতিতে বরিষ্ঠতম অধ্যাপককেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ অন্যথা হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, দিলীপবাবুর পাঁচ বছর কার্যকালের অন্তিম দিনেই কেন এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হল? কিছুদিন আগে ডেকে মন্ত্রকের অনুমোদন কেন চাওয়া হল না? এ ছাড়া, মন্ত্রকের কেন অনুমোদন চাইতে হল? মন্ত্রক কি জানে না, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ শূন্য হয়ে যাচ্ছে ১৫ মে তারিখে? সে ক্ষেত্রে তাদের কি কোনও দায়িত্ব নেই?