Barak UpdatesHappenings
এনআরসিতে স্ত্রীর নাম যদি না থাকে! আতঙ্কে আত্মহত্যাMan commits suicide worrying if wife’s name gets excluded from NRC
২৯ আগস্টঃ এনআরসিতে স্ত্রীর নাম যদি না থাকে, তাহলে কী হবে? পুলিশ এসে তাঁকে ধরে নিয়ে যাবে ! কোথা্য় রাখবে? ডিটেনশন ক্যাম্পে ! নাকি সোজা বাংলাদেশে! কিছুদিন ধরে ওইসবই ভাবছিলেন করিমগঞ্জ জেলার রাতাবাড়ি থানার সোনাইরপারের প্রীতিভূষণ দত্ত। শেষে বুধবার রাতে আত্মহত্যা করেন।
৫৪ বছর বয়সী প্রীতিবাবুর নাম ঠিকই উঠেছিল এনআরসি খসড়ায়। ছিল না স্ত্রী নমিতা দত্তের নাম। তাঁর বাবার বাড়ি ধর্মনগরে। এনআরসি-তে বাবার নথি দিয়েছিলেন। সেগুলি ত্রিপুরায় পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। ফিরে আসেনি। পরে পুনরাবেদন করেছেন। এখানেই নথি পরীক্ষা হয়েছে। এর পরও আতঙ্কে ভুগছিলেন নিঃসন্তান প্রীতিবাবু। খালি বলতেন, তোমাকে নিয়ে গেলে আমি কী করে বাঁচব।
বিষয়টি মানসিক রোগে পরিণত হচ্ছে বুঝতে পেরেই বুধবার সন্ধ্যায় ডাক্তারের কাছে স্বামীকে নিয়ে গিয়েছিলেন নমিতাদেবী। ফিরেই প্রীতিভূষণ এনআরসি-র সমস্ত কাগজপত্র বের করেন। বিড়বিড় করে কী সব বলছিলেন! রাতে দুজনই একসঙ্গে ঘুমোতে যান। সাড়ে ১১টা নাগাদ দরজা খোলার শব্দ পান নমিতাদেবী। অনেকক্ষণেও না ফেরায় তিনি ওঠেন। বেরিয়েই দেখেন, বারান্দার কাঠে ঝুলে আছেন। তাঁর চিতকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গেলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। যাকে বাদ দিয়ে একা বাঁচতে পারবেন না, তাঁকে একা ফেলে চলে গেলেন চিরদিনের মতো।
খবর পেয়ে করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বৃহস্পতিবার প্রীতিবাবুর বাড়িতে যান। নমিতাদেবীর সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে অভয় দেন, পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।