Barak UpdatesCultureBreaking News
ধীরেন্দ্রলালের শেষকৃত্য সম্পন্ন, শোকস্তব্ধ সাংস্কৃতিকমহলLast rites of Dhirendralal Nath performed, cultural arena mourns his death
১৮ মার্চঃ সঙ্গীতগুরু ধীরেন্দ্রলাল নাথকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন অসংখ্য সাংস্কৃতিক কর্মী। রবিবার মাঝরাতে শিলচর শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। তাঁর লিঙ্করোডের বাড়িতে কি শোভাযাত্রা করে শ্মশানঘাটে যাওয়া, সারাক্ষণ নিথর দেহের পাশে ছিল এই অঞ্চলের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।
শিলচর সঙ্গীত চক্রের সভাপতি ধীরেন্দ্রলালের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাড়িতে ভিড় জমে। প্রবীণ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান সংস্কৃতি ও সমাজ কর্মীরা। পরে রাধামাধব রোডের রাধামাধব বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেও শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিভিন্ন সস্থার প্রতিনিধিরা। সঙ্গীত চক্রের পক্ষে ছিলেন নিলয় কান্তি দত্ত, ড.শ্যামলী কর ভাওয়াল, প্রবীর ভট্টাচার্য, অঙ্কন কংসবণিক, বর্ণালী মিশ্র, অনুপ সাহা প্রমুখ।
নাদবৃন্দের প্রসেনজিৎ চৌধুরী ও বাসুদেব ভট্টাচার্য , সঙ্গীত মুকুলের তরফে পান্নালাল গুপ্ত ও স্বপন দেবনাথ, ছন্দনীড় ও শিলচর সঙ্গীত বিদ্যালয়ের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভাস্কর দাস। বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদের দক্ষিণ অসম প্রান্তের দায়িত্বে থাকা ধীরেন্দ্রলাল নাথকে পরিষদের প্রতিনিধি হিসেবে শেষ সম্মান জানান শ্যামল সাহা। এছাড়া সঞ্জয় প্রকাশ দাশ, প্রবীর ভট্টাচার্য, শিপ্রা পুরকায়স্থ, সব্যসাচী পুরকায়স্থ সহ আরও বহু বিশিষ্ট সংষ্কৃতি কর্মীরা সামিল ছিলেন শেষ যাত্রায়। প্রত্যেকে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তাঁদের কথায়, বরাকের সঙ্গীত জগতের এই ক্ষতি কখনও পূরণ হবার নয়।
প্রসঙ্গত, ধীরেন্দ্রলাল নাথ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রচার-প্রসারে আজীবন কাজ করে গেছেন। তাঁর হাত ধরে যাত্রা শুরু করা সঙ্গীত চক্রের সঙ্গীত সম্মেলন এবার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন করছে। পন্ডিত চিন্ময় লাহিড়ী, ওস্তাদ আল্লারাখা, পন্ডিত ভিজি যোগ,পন্ডিত ভীমসেন জোশি, পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী, ওস্তাদ রশিদ খাঁন, ওস্তাদ জাকির হোসেন, পন্ডিত শঙ্কর ঘোষ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত শতাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের প্রখ্যাত শিল্পী ধীরেন্দ্র লালের আমন্ত্রণে বিশুদ্ধ শাস্ত্রীয় গায়ন-বাদনের মাধুরী ছড়িয়ে গেছেন। একজন শিল্পী ও সংগঠক হিসেবে অনবদ্য অবদানের জন্য শাস্ত্রীয় ঘরানার এই ব্যক্তিত্বকে ২০১৭ সালে শিল্পী পেনশন দিয়ে সম্মানিত করে রাজ্য সরকার।