Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বরাকের ৪০ শূন্য পদের সবকটিতে বাইরের প্রার্থীকে নিযুক্তি, এএসআরএলএম ঘেরাও
কাজে যোগ দিতে দেব না, জানিয়ে দিল ইউথ ফ্রন্ট
৪ ফেব্রুয়ারি: ‘আসাম রাজ্যিক গ্রামীণ জীবিকা অভিযান’-এর অধীনে ৭৮ টি শূন্যপদে নিযুক্তি প্রদান করা হয়েছে৷ এর মধ্যে ৪০টি পদ পূরণ হয়েছে বরাক উপত্যকায়৷ কিন্তু ব্রহ্মপুত্র বা বরাক, কোনও তালিকায় বরাকের কোনও প্রার্থীর নাম নেই৷ বরাকের সবকটিিতেও বহির্বরাক থেকে প্রার্থী নিয়োগ করা হয়েছে৷ এর প্রতিবাদে এবার মাঠে নামল বরাক ডেমোক্রেটিক ইউথ ফ্রন্ট৷ আজ বৃহস্পতিবার ‘আসাম রাজ্যিক গ্রামীন জীবিকা অভিযান’ (এএসআরএলএম) অফিস ঘেরাও করেন তাঁরা৷ এদিন সকাল সাড়ে এগারোটায় গ্রামোন্নয়ন বিভাগের ওই শাখা অফিসে গিয়ে রিপোর্টিং অফিসার দীপশিখা দে সহ উর্ধ্বতন কোনও কর্তৃপক্ষকে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং শ্লোগান দিতে শুরু করেন।
বিডিএফ ইউথ ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক কল্পার্নব গুপ্ত জানিয়ে দেন, তাঁরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা না বলে এখান থেকে নড়বেন না। উর্ধ্বতন অফিসাররা ফিল্ডে বা যেখানেই থাকুন, আসতে হবে। পরে ছুটে আসেন ডিস্ট্রিক্ট প্রজেক্ট ম্যানেজার বিপ্লব কুমার নাথ। তাকে ঘেরাও করে বিডিএফ ইউথ ফ্রন্টের সদস্যরা বলেন, বরাকের প্রতি ক্রমাগত বৈষম্যের ফলে যুবসমাজের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। প্রতি পদক্ষেপে বৈষম্য করছে সরকার। ইদানীং কোনও লিখিত পরীক্ষাকেন্দ্র দেওয়া হয় না বরাকে। পরীক্ষার জন্য গাঁটের পয়সা খরচ করে গুয়াহাটিতে যেতে হয়, থাকতে হয় এই অঞ্চলের বেকারদের।
কল্পার্নব গুপ্ত, ইকবকল হাসান চৌধুরী, দেবরাজ দাশগুপ্তরা বলেন, বহির্বরাকের নিযুক্তিপ্রাপ্তদের অধিকাংশই এখানকার মাটি, মানুষের সঙ্গে স্বভাবতই একাত্মবোধ করেন না৷ কয়েক মাস কাজ করেই ট্রান্সফার নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় চলে যেতে আগ্রহী থাকেন৷ বাধাপ্রাপ্ত হয় স্থানীয় উন্নয়ন। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সরকার কী করবেন সেটা তাদের ব্যাপার। তবে বিডিএফ ইউথ ফ্রন্ট এই তালিকাকে মেনে নেবে না।যদি এরপরও সরকার নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে, তবে তাঁরা গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের মাধ্যমে বহিরাগত প্রার্থীদের কাজে যোগ দিতে বাধা দেবেন।
অন্যান্যদের মধ্যে এদিন এই কর্মসূচিতে অংশ নেন বিডিএফের মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়, আহ্বায়ক পার্থ দাস, জওহর তারণ, হৃষীকেশ দে, জয়দীপ ভট্টাচার্য প্রমুখ।