Barak UpdatesHappeningsBreaking News
রাধামাধব কলেজের পঞ্চাশ বছর, কাল উদ্বোধন থিমসঙের, রবিবার শোভাযাত্রাRadhamadhab College to celebrate Golden Jubilee
Theme song to be released on 6 Feb; grand rally on 7 Feb
৫ ফেব্রুয়ারিঃ সোনাই রোড থেকে রঘুনাথ রোডে ঢুকে সামান্য এগোলেই বোঝা যায়, রাধামাধব কলেজে বড়সড় কোনও কর্মযজ্ঞ হতে চলেছে। একযোগে ২০-২৫ তরুণ শিল্পী কলেজের প্রাচীর চিত্রিত করে চলেছেন। কয়েকজন কর্মী বিশাল সাইজের এক ব্যানার টাঙানোর জন্য অনেকক্ষণ ধরে কসরত করছেন। কলেজের ভেতরে এদিকে-ওদিকে চলছে সাফাই অভিযান৷ তাও ছাত্রছাত্রী দিয়ে নয়, লোক লাগিয়ে জোরকদমে কাজ চলছে। মাইকে বাজছে, “এ বার রাধামাধব কলেজের পঞ্চাশ বছর।” ক্ষণে ক্ষণে শোনা যায় গানের কয়েক কলি, সঙ্গে সুবর্ণ জয়ন্তীর নানা কথা, আহ্বান।
উদযাপন সমিতির সভাপতি, কলেজের অধ্যক্ষ ড. দেবাশিস রায় জানান, আগামী রবিবার শোভাযাত্রা দিয়ে পঞ্চাশের উদযাপন শুরু করা হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে জমায়েত হয়ে সকাল সাতটায় শোভাযাত্রা বের হবে। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পরিক্রমা করে কলেজে এসে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শোভাযাত্রার সমাপ্তি ঘটবে।
উদযাপন কমিটির কার্যবাহী সভাপতি তথা উপাধ্যক্ষ অসীমা রায় ও সাংগঠনিক সম্পাদক তথা ইতিহাসের বিভাগীয় প্রধান সুদর্শন গুপ্ত জানান, ১৯৭১ সালের ৩১ মে রাধামাধব কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পঞ্চাশ বছর শুধু কলেজের শিক্ষক-ছাত্রদের গৌরবের কথা নয়। গোটা শহর সহ বরাক উপত্যকারও মর্যাদার ব্যাপার। তাই রবিবারের শোভাযাত্রায় সকলের অংশগ্রহণ তাঁরা কামনা করেন।
পঞ্চাশ বছরের একটি থিমসং-ও তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বরাজ ভট্টাচার্যের কথা ও সুরে গানটি গেয়েছেন বিক্রমজিৎ বাউলিয়া ও প্রাক্তনী মেঘা দাস । শনিবার সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে এর উদ্বোধন করা হবে। রবিবারের শোভাযাত্রায় এটি যেমন বাজানো হবে, তেমনি এই ভাবনাকে একটি ট্যাবলুতেও ফুটিয়ে তোলা হবে। মোট দুটি ট্যাবলো থাকবে শোভাযাত্রায়।
সুবর্ণ জয়ন্তীর বিশেষ বছরটিকে স্মরণীয় করে রাখতে কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজ চত্বরে একটি স্থায়ী শহিদ বেদী নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। করা হচ্ছে ফেসবুক পেজও। বছরভর নানা অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্টজনদের সংবর্ধনা জানানো হবে। প্রকাশ করা হবে একটি স্মরণিকা। হবে প্রতিযোগিতামূলক নানা অনুষ্ঠান।
প্রাক্তনী সংস্থার সভাপতি দেবাশিস সোম এবং সম্পাদক রাজদীপ অধিকারীও শুক্রবার কলেজে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা জানান, কলেজের পঞ্চাশ বছরের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে প্রাক্তনীরা জড়িয়ে রয়েছেন। পৃথকভাবে কিছু কর্মসূচির কথাও তাঁরা ভাবছেন।