Barak UpdatesBreaking News
ভূমিপূজায় বসেননি বটে, কিন্তু জনসভায় গৌতম রায়ই মধ্যমণিHe did not sit for Bhoomi Pujan, but Gautam Roy remained centre of attraction of the meeting
২০আগস্টঃ যেমন কংগ্রেসে, তেমনি বিজেপিতে। গৌতম রায় বক্তব্য রাখার জন্য মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়াতেই হাততালি আর থামে না। পরে তিনিই তা থামান। রসিকতার সুরে বললেন, এত হাততালি দেবেন না। অন্যরা খারাপ পাবেন।
ভূমিপূজন অনুষ্ঠানের মঞ্চে মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্কর, দুই সাংসদ রাজদীপ রায় ও কৃপানাথ মালা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ এবং ছয় বিধায়কও। সকলের মধ্যে মঞ্চের প্রথম সারিতে লাল টুপি পরে বসা গৌতম রায়ই সকলের আকর্ষণ কেড়ে নেন। তাঁকে টিকা-টিপ্পনি না কাটলেও সকলের বক্তৃতাতেই অভিযোগ ছিল, এতদিন কংগ্রেস কিছুই করেনি। নেতা-মন্ত্রীরা মোটেও বরাকের উন্নয়নে আন্তরিক ছিলেন না। উধারবন্দের বিধায়ক মিহিরকান্তে সোম সোজাই বলে দিলেন, আগেও তো বরাকে মন্ত্রী ছিলেন! সব হজম করতে হয়েছে তাঁকে। নিজের বক্তৃতায় গৌতমবাবু সব না-পারার দায় চাপান সুস্মিতা দেবের কাঁধে। বলেন, কাছাড়ে নাক গলানোর কোনও সুযোগ ছিল না। রাজদীপ রায়কে প্রশংসা করতে গিয়েও তিনি সু্স্মিতাকেই ঠুকেন। তাঁর কথায়, রাজদীপ সংসদের প্রথম অধিবেশনেই তাক লাগানো বক্তৃতা করেছেন। আগে শোনা যেত, সুস্মিতাই নাকি সেরা সাংসদ!
তাঁর এ সব বলার ঢঙে কেউই না হেসে পারেননি। হাসেননি শুধু শিলচরের বিধায়ক দিলীপকুমার পাল। এ দিনের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন গৌতম রায়কে হারিয়ে কাটলিছড়ায় নির্বাচিত সুজামউদ্দিন লস্করও। তিনি গৌতম প্রসঙ্গে নীরব থাকলেও বিজেপি সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে প্রশংসায় ভাসান।
পূর্ত বিভাগের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার প্রবাল দেব জানান, ভূমিপূজনের মধ্য দিয়ে আসলে জমি উন্নয়ন, সীমান্ত পাচিল ও রিটেইনিং ওয়াল তৈরির কাজ শুরু হল। শ্রীকোণায় মোট ১৬ বিঘা ১৫ কাঠা ১ ছটাক জমি মিলেছে মিনি সচিবালয়ের জন্য। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজের জন্য ৪ কোটি ১৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৬২ টাকা মঞ্জুর হয়েছে। পরে আরও ১৩৫ কোটি ৭ লক্ষ টাকার এস্টিমেট পাঠানো হয়েছে। সরকার এরই মধ্যে কনসালটেন্সির জন্য দরপত্র ডেকেছে। তাঁর আশা, পূর্ণ মাত্রায় কাজ শুরু হতে বেশিদিন সময় লাগবে না।